সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব এবং সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গতকাল বিএফআইইউ দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী, সন্তান ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামের ব্যাংক হিসাবের সব ধরনের তথ্য পাঠাতে হবে। এ ছাড়া আ স ম ফিরোজের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং স্ত্রী, সন্তানদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, হিসাব জব্দকৃতদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে।
আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পরবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। অপর চিঠিতে আ স ম ফিরোজসহ পরিবারের সদস্যের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। হিসাব জব্দ এবং তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানী থেকে আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পটুয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আ স ম ফিরোজ দশম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।