জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, তাঁর স্বামী-সন্তানসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ ছাড়া এক মন্ত্রী, চার প্রতিমন্ত্রী ও হুইপের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তাঁর স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন, তাঁদের ছেলে সৈয়দ এবতেশাম রফিক ও মেয়ে লামিসা শিরীন হোসাইন এবং মো. শফিউল ইসলামের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ। পৃথক চিঠিতে সাবেক এক মন্ত্রী, চার প্রতিমন্ত্রী ও হুইপের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে বলেছে বিএফআইইউ।
ব্যাংক হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিরা হলেন সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল হক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন।
একই সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী-সন্তানদের ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠা?নিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাক?বে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে। লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। জব্দ করা ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার ফলে এখন থেকে তাঁরা লেনদেন করতে ও কোনো টাকা তুলতে পারবেন না।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।