সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক সীমিত এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা যাবে না। যদি তা করা হয় তাহলে হাজার হাজার মানুষের জীবন, জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। একই সঙ্গে এ দ্বীপের সব পর্যটন স্থাপনাকে অপসারণের পরিবর্তে পর্যটন শিল্পকে চলমান রেখে সেখানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নেতৃবৃন্দ এসব দাবি উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর প্রেসিডেন্ট মো. রাফেউজ্জামান।
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সেন্টমান্টিন দ্বীপের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করে, নীতিমালা অনুযায়ী পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলেই এ দ্বীপ, এর অধিবাসী এবং সংশ্লিষ্ট সবার উত্তরোত্তর উন্নয়ন ঘটবে বলে আস্থা রাখি। কক্সবাজারের পাশাপাশি এ দ্বীপ দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বীপবাসী এবং সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব বোতলজাত পানির কারখানা স্থাপন অথবা পরিবেশবান্ধব পানির বোতল ও পানির পাত্র সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সরবারাহের ব্যবস্থা করা এবং সেন্টমার্টিনে বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করতে হবে। তিনি সেন্টমার্টিন বিষয়ে বিগত সরকারের গৃহীত সব দেশবিরোধী ও পর্যটনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করেন।