ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া ইব্রাহিম হাসান সিনওয়ারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল এক যৌথ শোক বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এ শোক জানান।
তারা বলেন, ১৮ অক্টোবর সৌদির একটি সংবাদমাধ্যম গাজায় হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়ার বরাত দিয়ে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। গত ৬ আগস্ট তেহরানে নিহত সাবেক রাজনৈতিক প্রধান শহীদ ইসমাইল হানিয়াহর উত্তরসূরি হিসেবে সিনওয়ারকে দলের সর্বোচ্চ নেতা ঘোষণা করা হয়েছিল। ইসরায়েলি হামলায় সিনওয়ারের হত্যার প্রচেষ্টা কয়েকবার ব্যর্থ হলেও ১৭ অক্টোবর গাজায় এক ইসরায়েলি হামলায় তিনি শহীদ হন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ার ১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী ক্যাম্পে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের ভোটাভুটির মাধ্যমে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর তার পরিবার মাজদাল আসকালান ছেড়ে গাজার খান ইউনিসে বসবাস শুরু করে। সেখানে শরণার্থী হিসেবে তাদের জীবন শুরু হয়। সিনওয়ার ২২ বছর ইসরায়েলের কারাগারে কাটান এবং ২০১১ সালে বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পান। ২০১৭ সালে হামাসের গাজা শাখার প্রধান হন এবং চলতি বছরের জুলাইয়ে ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের পর তিনি হামাসের প্রধান নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য তিনি বীরের মতো লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিশ্বের সব স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও মুসলিম উম্মাহ তার এই ত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের জন্য ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন একজন অন্যতম অগ্রনায়ক। বিশ্ববিজয়ী বীর শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত! আমরা বিশ্বাস করি, ফিলিস্তিন এবং গাজার মজলুম জনগণের মুক্তি সংগ্রামের এই অবিসংবাদিত নেতা তার জীবনে যে বিশাল দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন, ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ তার শাহাদাত কবুল করুন এবং তার পরিবার ও সহযোদ্ধাদের এই শোক কাটিয়ে ওঠার তাওফিক দান করুন, আমিন।