২৫ জুন, ২০২২ ১৩:৪৩

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনের কৌশল

অনলাইন ডেস্ক

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনের কৌশল

ফাইল ছবি

এখন প্রায় সারাবছরই বেগুনের চাষ হয়। বেগুন একদিকে যেমন পুষ্টিকর খাবার অন্যদিকে এটি চাষ করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। তবে বেগুন চাষ করতে গিয়ে কিছু পোকার আক্রমণে চাষিদের সমস্যায় পড়তে হয়। বেগুন গাছ পোকায় আক্রমণ করলে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হলো সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা। এ পদ্ধতিতে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনের কৌশল জেনে নিতে হবে।

বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার বৈশিষ্ট্য ও ক্ষতির ধরণ হলো এরা ডগা ও বেগুন ছিদ্র করে। এ পোকার কীড়া বেগুনের ভিতরের অংশ খেয়ে থাকে এবং আক্রান্ত বেগুন মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বাজারজাতকরণ সম্ভব হয় না। এ পোকার আক্রমণের ফলে বেগুনের ফলন মারাত্নকভাবে কমে যেতে পারে। তাছাড়া সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়েও যেতে পারে। পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী পোকা পাতার নিচে দিকে কাণ্ডে, ফুলের কুঁড়ি বা বেগুনের বোটার কাছে একটি একটি করে ঘিয়ে সাদা রঙের ডিম পাড়ে।

ডিম থেকে সদ্য বের হওয়া কীড়া ফল অথবা কচি ডগায় ছিদ্র করে প্রবেশ করে। আক্রান্ত কচি ডগা ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত ফলের ভিতরটা ফাঁপা ও পোকার বিষ্ঠায় পরিপূর্ণ থাকে। কীড়া কচি ডগা অথবা ফলের ভিতরে সুড়ঙ্গ তৈরি করে খায়। যদি কার্যকর দমন পদ্ধতি সঠিক সময়ে প্রয়োগ না করা হয় তবে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ বেগুন এ পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঋতুভেদে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের মাত্রায় ভিন্নতা দেখা যায়। উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া এ পোকার বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে গ্রীষ্মকালে এ পোকার ব্যপক আক্রমণ দেখা যায়।

অন্যদিকে শীতকালে এ পোকার আক্রমণের হার কম থাকে। সেহেতু এ পোকা দমনের ব্যবস্থাপনাও ঋতুভেদে ভিন্নতর হওয়া বাঞ্চনীয়। গ্রীষ্মকালে সপ্তাহে অন্তত একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে। ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহারও করা যেতে পারে। চারা লাগানোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। প্রতি ১৫ দিন পর পর উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে। আইপিএম পদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে।

শীতকালে সপ্তাহে অন্তত একবার পোকা আক্রান্ত ডগা ও ফল বাছাই করে বিনষ্ট করতে হবে। চারা লাগানোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ফেরোমন ফাঁদ পাততে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে উপকারী পোকা, ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিজ ও ব্রাকন হেবিটর পর্যায়ক্রমিকভাবে মুক্তায়িত করতে হবে। আইপিএম পদ্ধতির এলাকাভিত্তিক প্রয়োগ করতে হবে। এতে করে এই পোকা দমন করা যাবে।

তথ্য সূত্র: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর