বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বর্তমানে পণ্যের মান এবং সেবা নির্দ্বিধায় বিশ্বমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে পণ্যের মান এবং সেবা নির্দ্বিধায় বিশ্বমানের

সিমেন্ট উৎপাদনকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি প্রিমিয়ার সিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ করছে। সিমেন্ট খাতের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক।

 

সিমেন্ট শিল্পের বর্তমান অবস্থা কেমন?

আমিরুল হক : কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল হচ্ছিল কিন্তু বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াও যুদ্ধের মতো নতুন সংকট এসে কাঁচামাল আমদানির নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

 

সিমেন্ট শিল্পে অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলুন-

আমিরুল হক : একসময় আমদানিনির্ভর ছিল এ শিল্প। দেশের বড় শিল্প গ্রুপগুলো এ সেক্টরে বিনিয়োগ করায় বর্তমানে পণ্যের মান এবং সেবা নির্দ্বিধায় বিশ্বমানের। দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাসহ আরও তিন-চারটি কোম্পানি তো এখন ভারতের সেভেন সিস্টার্স-এ পণ্য রপ্তানি করছি।

 

 

এই শিল্পে চ্যালেঞ্জগুলো কী?

আমিরুল হক : দেখুন উদ্যোক্তারাই শিল্পকারখানা স্থাপন করবেন। সরকার শুধু নীতিসহায়তা দেবে। সব শিল্প খাতের জন্য সমান সুবিধা চাই আমরা। যেমন করভার নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। এমন নীতি নিতে হবে, যাতে বছর বছর পরিবর্তন করতে না হয়। আর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তো ব্যাপক। মোট উৎপাদনের দিক থেকে আমরা বিশ্বে ২০তম। তবে জনপ্রতি সিমেন্ট ব্যবহারে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। এখন দেশে জনপ্রতি বার্ষিক সিমেন্টের ব্যবহার মাত্র ১৮০-১৯০ কেজি। বিশ্বে জনপ্রতি বার্ষিক সিমেন্টের ব্যবহার সাড়ে ৫০০ কেজির বেশি। এর অর্থ হলো, এ দেশে আগামী কয়েক দশক সিমেন্টের ব্যবহার বাড়ার সুযোগ আছে।

 

প্রিমিয়ার সিমেন্টের অবস্থান কেমন?

আমিরুল হক : প্রিমিয়ার সিমেন্টের ঢাকা ও চট্টগ্রামের কারখানায় ডেনমার্কের এফএল স্মিথ প্রযুক্তি (ভিআরএম) ব্যবহার করে সিমেন্ট উৎপাদিত হচ্ছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। দেশের মেগা প্রকল্পে ব্যবহারের আগে বিদেশি পরামর্শকরাই কিন্তু সিমেন্টের মান যাচাই করে প্রিমিয়ার সিমেন্টে ব্যবহার করছেন। প্রতিটি ব্যাচের পণ্যের মান পরীক্ষা করা হয়। দেশের মেগা প্রকল্পে রয়েছি আমরাসহ আরও দু-তিনটি কোম্পানি প্রধান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। বর্তমানে ৮০টির মতো প্রকল্পে আমরা সিমেন্ট সরবরাহ করছি। উৎপাদন ক্ষমতা বেশি না থাকায় অতীতে অনেক প্রকল্পে আমরা সিমেন্ট দিতে পারিনি।  তাই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে প্রিমিয়ার সিমেন্টের বার্ষিক প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ৮১ লাখ মেট্রিক টন।

 

সর্বশেষ খবর