মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্ষতিকারক সিলিকন ছাড়া যমুনার ফ্রিজ

ক্ষতিকারক সিলিকন ছাড়া যমুনার ফ্রিজ

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড ২০১৪ সালে মাত্র চারটি মডেলের রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ২৫০টিরও বেশি মডেলের ফ্রিজ তারা নিজস্ব অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল ও প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ও উৎকর্ষ সাধনের ফলে যমুনা এগিয়ে রয়েছে সামনের সারিতে।

সিলিকন জেল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। খাদ্যমান নষ্টও করে এই জেল। অথচ দেশের বাজারে প্রচলিত ফ্রিজগুলো তৈরি হয় এই সিলিকন জেল দিয়ে। যমুনা রেফ্রিজারেটর নিশ্চিত করছে তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করা হয় না।

রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বর্তমান সময়ে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘সকল প্রয়োজন আয়োজনে যমুনার পণ্য’ স্লোগানে যমুনা ইলেকট্রনিক্স এখন বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার ক্যাটাগরিতে একটি কোয়ালিটি ব্র্যান্ড। মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি সাশ্রয়ী মূল্যে দেশসেরা রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করছে। সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘস্থায়িত্ব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উন্নত কম্প্রেসার, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করার চেষ্টাও করছে তারা।

যমুনা ইলেকট্রনিক্স বিশ্বাস করে সংখ্যা নয়, গুণে ও মানে সেরা হওয়াই আসল কথা। তাই তাদের রেফ্রিজারেটরে বিক্রয়োত্তর সার্ভিসের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। প্রতি পাঁচ বছরে কম্প্রেসার পরিবর্তনের হার ১ শতাংশের নিচে, যা বাজারে প্রচলিত অন্যান্য ফ্রিজের তুলনায় অনেক কম। সাধারণত রেফ্রিজারেটর বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৭-১০ শতাংশ ত্রুটি থাকে। কিন্তু যমুনা বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড, যার উৎপাদন ত্রুটি ১ শতাংশের নিচে।

রেফ্রিজারেটর তৈরির কাঁচামাল, বিশেষ করে চিপ যন্ত্রাংশ সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল রয়েছে যমুনার।

বাজারের প্রচলিত অনেক ফ্রিজেই আর১৩৪এ গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যমুনার ফ্রিজগুলোয় আর৬০০এ গ্যাস ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশবান্ধব ও মানবদেহের ক্ষতি করে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট ব্যবহারের ফলে খাবারের মান ঠিক থাকার পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ ৭০ শতাংশ কম হয়। তবে আন্তর্জাতিক গুণগত মান ঠিক রাখতে উৎপাদন ব্যয় অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও যমুনার রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার বাজারে প্রচলিত যে কোনো রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের তুলনায় কম মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

নিত্যনতুন চাহিদা ও গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে যমুনা অবিরত কাজ করে চলছে। দেশের সব জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ধারণক্ষমতা ও দামে পাওয়া যাচ্ছে যমুনা রেফ্রিজারেটর। রেগুলার রেফ্রিজারেটর ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবল ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর এরই মধ্যে বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যমুনা রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে চলছে মিলিয়নিয়ার অফার। অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে একজন ক্রেতা জিতে নিতে পারেন ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ডাউন পেমেন্টে ১ হাজার ৩৬ টাকা মাসিক কিস্তি, ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ অফারে ফ্রিজ কেনার ও ৩৬টি ব্যাংকে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ইএমআই সুবিধা ছাড়াও একটি ফ্রিজ কিনলে তিনটি পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগও থাকছে। ১০ বছরের ওয়ারেন্টি ও দেশব্যাপী বিস্তৃত যমুনার সার্ভিস সেন্টারগুলোয় ক্রেতারা সহজেই বিক্রয়োত্তর সেবা নিতে পারবেন। সারা দেশে গ্রাহকের কাছে সেরা মানের পণ্য পৌঁছে দিতে অতিসত্বর বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় যমুনা প্লাজা স্থাপন করা হবে। বৈশ্বিক করোনার থাবা ও সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রেফ্রিজারেটর তৈরির কাঁচামাল, বিশেষ করে চিপ যন্ত্রাংশ সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল রয়েছে যমুনার। শুধু তা-ই নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও পণ্যের অতিরিক্ত দাম না বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। যমুনা রেফ্রিজারেটর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। যমুনা রেফ্রিজারেটরে ২২৮-৩৪৮ লিটার পর্যন্ত ৮০-১২০ টাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। রেফ্রিজারেটরের মধ্যে যমুনার আরেকটি সেগমেন্ট ফ্রিজার। কোনো রকম বিদ্যুৎ ছাড়াই যমুনার ফ্রিজার ১২০ ঘণ্টা খাবারের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক সবচেয়ে টেকসই ফ্রিজার হিসেবে যমুনার ফ্রিজার অতুলনীয়। যমুনা ভবিষ্যতে এ ফ্রিজার নিয়ে নিজেদের স্যাকলকের সঙ্গে তুলনা দেওয়ার চিন্তা করছে। স্যাকলকের একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড কিনতে খরচ পড়বে সোয়া লাখ টাকা। আর একই মান নিশ্চিত করে যমুনার ফ্রিজারের দাম ২১ হাজার টাকা থেকে শুরু। খুব অল্প সময়ে বাজারে এমন কথা প্রচলিত হয়ে গেছে যে একমাত্র যমুনাই ৯৯ শতাংশ গুণগত মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর সরবরাহ করে। কাছাকাছি প্রতিযোগীর যে পণ্য, সেটির গুণগত মান ৫০ শতাংশেরও নিচে। ইন্ডাস্ট্রির তথ্য বলছে, এ ইন্ডাস্ট্রিতে যারা উৎপাদক আছেন তারা ১০০টি পণ্য ডেলিভারি দিলে কমপক্ষে ৭-১২টির ক্ষেত্রে অভিযোগ আসে এবং সেগুলো নিষ্পত্তি করতে হয়। কিন্তু যমুনার পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয়-পরবর্তী ভোক্তার অভিযোগের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। ১ হাজারে একটিও অভিযোগ আসেনি, এমন ঘটনাও ঘটেছে বহুবার বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইন্ডাস্ট্রির অংশীদারদের প্রত্যেকের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় যমুনা ভোক্তাবান্ধব মূল্য সংযোজন করে গেছে।

 

সর্বশেষ খবর