মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

গ্রাহককে সেরা পণ্য দেওয়াই লক্ষ্য

সেলিম উল্যা সেলিম, পরিচালক, (মার্কেটিং), যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড

গ্রাহককে সেরা পণ্য দেওয়াই লক্ষ্য

যমুনা রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে নিয়োজিত কর্মীরা

বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড যমুনা যার উৎপাদন ত্রুটি ১% এর নিচে

কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স জগতে যমুনার পথচলার শুরু ২০১৪ সালে। যদিও দেশীয় বাজারে রেফ্রিজারেটর ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসায় আমাদের কোম্পানিগুলো দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিন্তু ভালো মানের পণ্যের সরবরাহের ঘাটতি থেকেই আমাদের গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল মনে করলেন, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জনগণের দুয়ারে সেরা পণ্যটি পৌঁছে দিতে হবে। সে লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেড ২০১৪ সালে বৃহৎ পরিসরে ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন শুরু করে। আধুনিক যন্ত্রপাতি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দক্ষ জনবল, উন্নত কাঁচামাল ও প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী ও উৎকর্ষ সাধনে কাজ করছি আমরা। রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বর্তমান সময়ে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কেট সংশ্লিষ্টদের ধারণা আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এর মার্কেট সাইজ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। মানুষের ক্রমবর্ধমান এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা ইলেকট্রনিক্স সাশ্রয়ী মূল্যে দেশসেরা রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করছে। আমরা সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘ স্থায়িত্ব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উন্নত কম্প্র্রেসার, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পণ্যটি সরবরাহ করছি। ‘সকল প্রয়োজন আয়োজনে যমুনার পণ্য’ স্লোগানে যমুনা ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহ করছে। গুণগত মান ঠিক রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা সংখ্যাই নয়, গুণে ও মানে সেরা হতে চাই। আমাদের রেফ্রিজারেটরগুলোর বিক্রয়োত্তর সার্ভিস প্রায় নেই বললেই চলে (০.০১%)। প্রতি পাঁচ বছরে কম্প্রেসার পরিবর্তনের হার প্রায় ১%-এর নিচে যা বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরের থেকে অনেক কম। বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড যমুনা যার উৎপাদন ত্রুটি ১% এর নিচে। সিলিকন জেল মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খাদ্যমান নষ্ট করে। অথচ এই সিলিকন জেল দিয়ে আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি হয়। একমাত্র যমুনা রেফ্রিজারেটরই তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করে না। আমাদের ফ্রিজগুলোতে ব্যবহৃত পণ্য পরিবেশবান্ধব ও মানব দেহের ক্ষতি করে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে খাবারের মান ঠিক থাকে সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ ৭০% কম হয়।  আমাদের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার অন্যদের তুলনায় কম মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক গুণগত মান ঠিক রাখতে আমাদের উৎপাদন ব্যয়ও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তিসঙ্গত মূল্যে টেকসই পণ্য, গুণগত মান, দেশের মানুষের চাহিদা এবং আবহাওয়া উপযোগী পণ্যের কারণে রেফ্রিজারেটরের বাজারের ক্ষেত্রে দেশি ব্র্যান্ডগুলো বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণত সারা দেশে আমাদের পণ্যগুলো তিনটি নেটওয়ার্কে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছায়। একটা আমাদের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম। এই সালের শেষ নাগাদ আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অন্তত পক্ষে ৩০০টি ফ্ল্যাগশিপ শোরুম আমরা তৈরি করব। সারা দেশে আমাদের ডিলার শোরুম আছে প্রায় ৪৫০-এর মতো। ঈদকে কেন্দ্র করে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো আমরাও অনেক অফার নিয়ে আসছি। আমাদের বিশাল এ কর্মযজ্ঞে দেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

সর্বশেষ খবর