সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
রয়েল মালাবার জুয়েলার্স

মানসম্পন্ন পছন্দসই জুয়েলারি

মো. আসলাম খান অপু , চেয়ারম্যান, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি.

সাইফ ইমন

মানসম্পন্ন পছন্দসই জুয়েলারি

নিত্যনতুন ডিজাইনের জুয়েলারি পণ্য দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে রয়েল মালাবার জুয়েলার্স। রাজধানীর উত্তরা এবং গুলশানে শোরুমের পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আসলাম খান অপু। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে সফলভাবে রয়েল মালাবার জুয়েলার্স। উচ্চমানের গোল্ড এবং ডায়মন্ডের নিত্যনতুন ডিজাইনের জুয়েলারি পণ্য গ্রাহকদের সরবরাহ করতে তারা বদ্ধপরিকর। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আসলাম খান অপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রয়েল মালাবার জুয়েলার্সের যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে। সে বছর পয়লা বৈশাখ প্রথমে আমরা উত্তরায় শোরুম চালু করি। পরবর্তীতে গুলশানে আমাদের শাখা বৃদ্ধি করি। চলমান ট্রেন্ডের সঙ্গে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আমরা পণ্য সরবরাহ করে থাকি। নিত্যনতুন ইউনিক ডিজাইন পাওয়া যাবে আমাদের শোরুমে।’ মো. আসলাম খান অপুকে অনেকে বলেন দেশের সবচেয়ে কম বয়সী স্বর্ণ ব্যবসায়ী। পারিবারিক ব্যবসায় হাতেখড়ি হওয়ার পর নিজেই হয়ে ওঠেন উদ্যোক্তা। আরও অন্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছেন দেশের জুয়েলারি শিল্পে।

তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসায়িক পরিবার থেকে এসেছি। বাবার কাছেই হাতেখড়ি। ও লেভেল শেষ করার পরই আমি বাবার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে শুরু করি। ২০১৮ সালে এসে আমি নতুন কিছু করার তাগিদ অনুভব করি। আর আমি জুয়েলারি ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠি। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আমি মনে করি এই ব্যবসায় অনেক ভালো করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় গ্রাউন্ড ওয়ার্ক শেষে ওই বছরই যাত্রা শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানের।’

রয়েল মালাবার জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মাথায় আসে করোনা মহামারির ধাক্কা। পুরো পৃথিবীতেই এর আঘাত আসে। মো. আসলাম খান অপু বলেন, ‘সরকারের যে নিয়মনীতি রয়েছে সেগুলো মেনেই আমরা কাজ করেছি।

অনলাইনে আমাদের গ্রাহকদের সে সময় সার্ভিস দিয়ে এসেছি। কর্মীদেরও যেন কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়টিও দেখভাল করেছি। জীবনে চলার পথে নানা বাধা আসবে। এটা মোকাবিলা করতে পারাই আসল সফলতা। সে সময় কিছুটা অসুুবিধা হয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু তা আমাদের সবার প্রচেষ্টায় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।’

বাজারে ডলারের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে জুয়েলারি শিল্পেও। এ প্রসঙ্গে মো. আসলাম খান অপু বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় সমস্যা হচ্ছে। এখন হলো টেকনোলজির যুগ। বিশ্বায়নের যুগ। তথ্য পাওয়ার সুযোগও অবারিত। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কিন্তু বেশি নয়। কারেন্সির জন্য আমাদের দেশে দামটা বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্যটাও অনেক বেশি। এ কারণে আমাদের বাজার একটু ধীরগতির বলতে পারেন। তবে আমি আশাবাদী।’

রয়েল মালাবার জুয়েলার্সের ডিজাইন বরাবরই আলাদা দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টা সরাসরি আমি নিজেই দেখভাল করে থাকি। এ ছাড়াও আমাদের ডিজাইনার সবসময় নিত্যনতুন ডিজাইন করে থাকেন। সবসময়ই আমাদের চেষ্টা থাকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা এবং বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের জুয়েলারি গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে। এ ছাড়া আমরা পণ্যের কোয়ালিটিতে কোনো প্রকার আপস করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের পছন্দসই জুয়েলারি পণ্য মানেই রয়েল মালাবার জুয়েলার্স। তাদের কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা। তবে সিজনাল কাজও করে থাকি। ঈদ-পূজাসহ নানা উৎসবকেন্দ্রিক আয়োজনও আমাদের থাকে। এ সময় আমরা বাজেট ফ্রেন্ডলি আইটেম নিয়ে আসি। যাতে সব পেশা-শ্রেণির মানুষ রয়েল মালাবারের জুয়েলারি পণ্য সংগ্রহ করতে পারে। আমাদের চেষ্টা থাকে সবসময় গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেদিকে। এ জন্য আমরা সবসময় গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলি।’

বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবের নেতৃত্বে দেশের জুয়েলারি শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মো. আসলাম খান অপু বলেন, ‘আমাদের বাজুসের সভাপতি জনাব সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি সভাপতি হওয়ার পর সবার মধ্যে নতুন করে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।  শুধু বাজুসের সভাপতি হিসেবে নয় আমি মনে করি উনি আমাদের মতো তরুণদের আইডল। উনার চিন্তাভাবনা, ব্যক্তিত্ব অনুপ্রেরণীয়।’

সর্বশেষ খবর