
স্কুলে ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হতো সেক্স করতে। তারপর সে দৃশ্য ভিডিও করা হত। সেই ভিডিওর সিডি বানানো হত। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বন্দি করে রাখা হত অন্ধকার ঘরে। জোর করে কুকুরের মল খাওয়ানো হত। আর দিনের পর দিন এমনই কাণ্ড ঘটে যাচ্ছিল ভারতের মহারাষ্ট্রের এক স্কুলে।
সম্প্রতি স্কুলের কিছু বাচ্চা চাইল্ডলাইন নামক এক সংস্থার কাছে যৌন শোষণের ঘটনার অভিযোগ করলে বিষয়টি সবার সামনে আসে৷ স্কুল ক্যাম্পাসে থাকা বেশিরভাগ বাচ্চাদের বয়স ৪ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে৷
পুলিশ জানিয়েছে, এই স্কুলের শিশুদের ব্যবহার করা হত পর্ণ ভিডিও তৈরির জন্য। তদন্ত চলাকালীন স্কুলের বাচ্চারা জানিয়েছে, তাদের ভয় দেখিয়ে, ধমক দিয়ে এই কাজ করানো হত। না করলে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হত৷
তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ স্কুল থেকে আপত্তিজনক সিডি ও সিসিটিভি ক্যামেরা উদ্ধার করেছে। এগুলি স্কুলের বাচ্চাদের ও প্রিন্সিপালের ঘরে লাগানো ছিল৷ পুলিশ জানায় তারা যখন স্কুলে তল্লাশি চালায় তখন স্কুল পড়ুয়ারা ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিল৷
এই মামলার অভিযোগকারী সমাজকর্মী অনুরাধা সহস্রবুদ্ধে জানিয়েছেন, বাচ্চাদের দিয়ে ওরাল সেক্স করানো হত৷ যৌন শোষণ চলাকালীন ছবি তোলা হত এবং এগুলির ভিডিও তৈরি করা হত৷ শিক্ষার্থীরা যৌন সম্পর্ক স্থাপনে আপত্তি জানালে তাদের জোর করে কুকুরের মল খাওয়ানো হত এবং অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হত৷ বমি করলে তাদের সেগুলিও খাওয়ানো হত৷
এই মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩৭৭, ৩৫৪, ৫০৯ ও ৩৪২ ধারা ছাড়াও যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সংরক্ষণ করার আইন ২০১২ অনুযায়ী ৩, ৫ ও ৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷