
ছেলে বাবার দুই পা চেপে ধরে, মেয়ে ধরে দুই হাত। আর মা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামীকে। এ ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায়। যদিও হত্যা করে গোপনে লাশ দাফন করতে গিয়ে আটক হয়েছেন নিহতের স্ত্রী শারমীন আক্তার ডলি (৪০), মেয়ে সামিয়া আক্তার (২০) ও ছেলে তানভীর হাসান ডালিম।
হত্যার পেছনের কারণ ছিল স্বামী স্ত্রী একে অপরকে পরকীয়ায় জড়িত বলে সন্দেহ করত। এর জের ধরেই স্ত্রী সন্তানদের সাথে নিয়ে পরিকল্পনা করে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এ ঘটনায় নিহত জামাল মিয়ার বড় ভাই আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে বুধবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা রাতে শারমিন আক্তারকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, নিহত জামাল মিয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্নগুলোই প্রমাণ করে এটা হত্যাকাণ্ড। তাই নিহতের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
থানায় দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদে প্রথম দিকে একেক জন এককভাবে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে রাতে তারা স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। পরিকল্পিতভাবেই তারা জামাল মিয়াকে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃতরা জানায়, জামাল মিয়াকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হয়। এক সময় জামাল মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়। পরে ঘুমের মধ্যে জামাল মিয়ার দুই পা চেপে ধরে ছেলে ডালিম। আর দুই হাত ধরে মেয়ে সামিয়া আক্তার। এরপর হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রী ডলি মাথায় একের পর এক আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে জামাল মিয়ার লাশ টেনে হেচড়ে বাথরুমে ফেলে রাখা হয়। পরে পরিকল্পনা মতে, তারা ঘটনাটির একটি গল্প বানায় এবং ভাড়াটিয়া ও প্রতিবেশীদের কাছে প্রচার করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন