নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জিন দিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে মো. নুর আলম (৩৫) নামক এক কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত নুর আলম রংপুর জেলার তারগঞ্জ থানার কুটিপাড়ার মৃত রজব আলীর ছেলে ও ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর জামালের গ্যারেজ সংলগ্ন মহিউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। 

কবিরাজকে আটকের বিষয়ে থানায় দায়েরকৃত মামলায় মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ফতুল্লা মাসদাইর খানকা মোড়ের গিয়াসের ভাড়াটিয়া আমিনুল ইসলামের মেয়ে নারী গার্মেন্ট কর্মী মোসা. রিক্তা বেগমের (৩৪) শরীর ব্যাথা, জ্বালা পোড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত। গার্মেন্টসের সহকর্মীদের নিকট থেকে সে জানতে পারে গ্রেফতারকৃত কবিরাজ নুর আলম এ সকল রোগের চিকিৎসা করিয়ে থাকে। সে তার চিকিৎসার জন্য গত ২৯ মে আটক কবিরাজ নূর আলমের নিকট চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানে গেলে কবিরাজ তাকে জানায় জিনের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা হবে। এ জন্য ৫ হাজার টাকা লাগবে। সে তখনই কবিরাজকে ২ হাজার ৫ শত টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে একদিন পর গত ৩০ মে সন্ধ্যায় কবিরাজের নিকট গেলে করিবাজ জানায় যে, রাতে জিন দিয়ে চিকিৎসা করাবে। এ জন্য ২ টি কবুতর, ৭ টি কলা, সরিষা,পানির বোতল, কাঁচা পেপে, সোনামুখী সুই সহ বিভিন্ন জিনিস লাগবে। এতে খরচ হবে ১৫শ টাকা। ওই দিন রাত সাড়ে ১১ দিকে জিন দিয়ে চিকিৎসা করার কথা বলে কবিরাজের নিজ ঘরে পানির সাথে চেতনানাশক কিছু একটা সেবন করিয়ে তাকে অচেতন করে বাদীকে মারধরসহ ঝাড়ফুক করে। রাত ১টার দিকে বাদী ঘুম থেকে উঠে পুরো শরীর ব্যথা অনুভব করে। বিষয়টি কবিরাজকে জানালে দু-একদিনে মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে আশ্বস্ত করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্ত শরীরের অবস্থা আরো বেশী অবনতি হলে পুনরায় কবিরাজের নিকট গেলে করিবাজ কিছু কবিরাজি ওষুধ দেয়। এতে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে পরে। পরে এ ঘটনায় ওই নারী গার্মেন্ট কর্মী থানায়  কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে নারীর  মামলায় ওই কবিরাজকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সোহাগ সাহা জানান, মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এএম