সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রেমের লভ্যাংশ

আরিফ বিন নজরুল

প্রেমের লভ্যাংশ

প্রেমে প্রধানতম দুই চরিত্র হলো প্রেমিক এবং প্রেমিকা। এই দুজনের মাঝে পুরোদমে প্রেম-পিরিতি চললে সমাজের এবং তাদের আশপাশের অনেকেই লাভবান হয়ে থাকেন। যদিও এটা স্বীকার করে নিতে অনেকেই গড়িমসি করে থাকেন। শুধু তাই নয়, প্রেমের যে  অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে সেটা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। জেনে নিন প্রেমের লভ্যাংশ কারা কারা বেশি ভোগ করেন।

রিকশাওয়ালা : কখনো কখনো রিকশাওয়ালার চাওয়া থাকে তার রিকশার প্যাসেঞ্জার হোক একজোড়া প্রেমজুটি। তাহলেই কেল্লাফতে। এ ধরনের জুটি রিকশায় উঠলে মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের গল্প ফ্রি শোনা যায়। রিকশা ভাড়ার বাইরে এটা যেন বোনাস। তাই শুধু ভাড়ার বিচারে প্রেমিক-প্রেমিকাকে গণ্য করাটা বোকামি হবে।

বাদাম-ফুচকাওয়ালা : বাদামকে অনেকেই প্রেম ফল হিসেবেই চেনেন। প্রেম চলাকালীন বাদামের গুরুত্ব যে কত সেটা বোঝানো কঠিন। বাদামওয়ালাদের বাদামের প্রায় বেশির ভাগ অংশ প্রেমজুটিরাই কিনে থাকেন। একই চিত্র ফুচকাওয়ালাদের ক্ষেত্রেও। এই ফুচকা খাওয়া বেশির ভাগ প্রেমিকার আবদার।

চায়নিজ-রেস্তোরাঁর মালিক : কাল্পনিক একটা প্রবাদ আছে। চাইনিজ না খাওয়ালে নাকি প্রেমের মেয়াদ কমে যায়। বর্তমানে প্রেমের অন্যতম উপাদানে পরিণত হয়েছে এই চাইনিজ খাওয়া বা খাওয়ানো। আর এই চাইনিজ হোটেল বা রেস্তোরাঁয় প্রেমিক-প্রেমিকার উপচে পড়া ভিড় দেখেও নিশ্চয়ই এবার ভাবতে পারছেন গুরুত্ব কতখানি।

টকটাইমওয়ালার : প্রেম হবে আর রাত জেগে

 ফিসফাস হবে না এটা যেন মেনেই নিতে পারে না আজকালকের প্রেমিক-প্রেমিকারা। অনেকের মোবাইল আসক্তি এতটাই গাঢ় যে, দুদিন ভাত না খেয়ে থাকতে পারবে কিন্তু মোবাইল হাতে কথা না বলে রাত পার করতে পারবে না। প্রেমে নিমগ্ন এই কপোত-কপোতীদের রাত জেগে ফোনে লাগাতার বকবকানি চলছে, চলবে। আর এই সুযোগে টকটাইম কেটে লাভান্বিত হচ্ছে অন্যরা।

শপিংমল : শুধু প্রেম চাঙ্গা রাখতেই নয় কিছুক্ষেত্রে প্রেম টিকিয়ে রাখতে প্রেমিকাকে শপিং করে দিতে হয়। অনেকের প্রেমের মেয়াদ অল্প সময়ে বিদায় নেওয়ার পর বিষয়টা নিয়ে ভাবা হয়। প্রেমিকার চাহিদামতো শপিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটা করতে হবে। এতে শপিংমলের মালিক প্রেমের লভ্যাংশ পকেটে পুরে      নেবেন।

ডেটিং স্পটের মালিক : আজকাল প্রেমের মাঝে ডেটিংয়ে থাকাটা যেমন আবশ্যক তেমন সেই ডেটিংগুলো পার্কে হওয়াটাও যেন অত্যাবশ্যক। তবে অধিকাংশ ডেটিং স্পটে প্রেমিক-প্রেমিকা ফ্রি প্রবেশের সুযোগ পান না। সে ক্ষেত্রে কিছু টাকা তো আপনার খরচ হবেই। সেসব টিকিটের টাকার মাধ্যমেই মালিক অধিক হারে লাভবান হন। এ ছাড়া ডেটিং স্পটগুলো মূলত টিকে আছে প্রেমের বদৌলতে। প্রেমের অর্থনৈতিক গুরুত্ব যে আমাদের সমাজে কতখানি সেটা নিশ্চয় বোধগম্য হলো, না-কি?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর