মৃত্যুশয্যায় শায়িত স্বামী তার স্ত্রীকে বলছেন—
স্বামী : আমি তো আর এক মাস পর মারা যাব, তাই আমি চাই, আমার মৃত্যুর পর তুমি সাজ্জাদ সাহেবকে বিয়ে কর। এটাই আমার অন্তিম ইচ্ছে।
স্ত্রী : সাজ্জাদ! বলো কি, তিনি তো তোমার শত্রু। আর তাকে কি না বিয়ে করতে বলছ তুমি!স্বামী : আমি জানি সে আমার শত্রু। সাজ্জাদকে শায়েস্তা করার এটাই তো মোক্ষম সুযোগ।
এক রোগী অপারেশন থিয়েটার থেকে ছুটে পালাচ্ছে দেখে এক ডাক্তার তার পথ আগলে দাঁড়ালেন...
ডাক্তার : ব্যাপার কী, আপনি এভাবে পালাচ্ছেন কেন?
রোগী : সাধে কী আর পালাচ্ছি?
ডাক্তার : ঘটনাটা খুলেই বলুন না।
রোগী : নার্স বলছেন, খুব সহজ অপারেশন, ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ডাক্তার : নার্স তো ঠিকই বলেছেন।
রোগী : তিনি কথাটি আমাকে বলেননি, বলেছেন যিনি অপারেশন করবেন, সেই ডাক্তারকে।
বাবার কাছে ছেলে চিঠি লিখেছে...
শ্রদ্ধেয় বাপ, পড়ার বড় চাপ। ফুরিয়ে গেছে টাকা, কেমনে থাকি ঢাকা! টাকার দরকার তাই, কিছু টাকা চাই।
ইতি, তোমার কানাই।"
বাবা চিঠি পেয়ে উত্তর দিলেন...
জাদু কানাই, সত্য কথা জানাই। পকেট এখন ফাঁকা, কেমনে পাঠাই টাকা...? টাকার খুব অভাব,
ইতি, তোর বাপ।"
প্যারালাইসড রোগী...
ডাক্তার : বেশি বয়সের কারণে আপনার ডান পায়ের আজকে এ অবস্থা।
রোগী : বাজে কথা বলবেন না। আমার বাঁ পায়েরও একই বয়স।
একদিন সর্দারজির প্রেমিকা তাকে প্রশ্ন করল—
প্রেমিকা : প্রিয়তম, আমাদের অ্যানগেজমেন্টে তুমি আমাকে কী রিং দেবে?
প্রেমিক : অবশ্যই, প্রিয়তমা তোমার ফোন নাম্বারটা দাও আমি রিং দেব।
স্বামী রাতে বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন। এমন সময় তার স্ত্রী তাকে তড়িঘড়ি করে ডেকে তুললেন—
স্বামী : কি হয়েছে! বেশ তো ঘুমাচ্ছিলাম, আবার ডাকাডাকি কেন?
স্ত্রী : কেন আবার! তোমাকে তো ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়নি! খাবে না?
জাহাজ নাবিক ডুবুরিকে বললো, ‘জলদি উঠে এসো!’
ডুবুরি : কেন? কোনো সমস্যা?
জাহাজের নাবিক বললেন, হু আমাদের জাহাজটা ডুবে যাচ্ছে!
হাবলু ও ট্যাক্সি ড্রাইভারের মধ্যে কথোপকথন
ট্যাক্সি ড্রাইভার: স্যার, ট্যাক্সির পেট্রল শেষ হয়ে গেছে। গাড়ি আর সামনে যাবে না। এখানেই নেমে পড়ুন।
হাবলু : এত ফাঁকি মারার ধান্ধা করো কেন? গাড়ি সামনে যাবে না, তাহলে পেছনে নিয়ে যাও। আমাকে যেখান থেকে উঠিয়েছ, সেখানে দিয়ে এসো।
এক ভিক্ষুক লটারিতে ৪০ লাখ টাকা পেয়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, এই টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন?
ভিখারি : প্রথমে একটা গাড়ি কিনমু। হাঁইটা হাঁইটা ভিক্ষা করতে ভালো লাগে না!
প্রেমিক তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য।
শুনে প্রেমিকা বলল— তাই নাকি, তাহলে আগের সাত জন কে ছিল শুনি!
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে...
প্রথম বন্ধু : তোর স্যুটটা তো বেশ সুন্দর। কোথায় পেলি?
দ্বিতীয় বন্ধু : এটা আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটা সারপ্রাইজ গিফট হিসেবে।
প্রথম বন্ধু : কেমন সারপ্রাইজ গিফট?
দ্বিতীয় বন্ধু : আমি অফিস থেকে ফিরে দেখি সোফার ওপর এই স্যুটটা পড়ে আছে।
জ্যামাইকার হেনরির দিনকাল বেশ খারাপ যাচ্ছিল। তাই এক রাতে মদ খেয়ে বদ্ধমাতাল। ঘরে ফেরার পথে একটা ডাস্টবিনে উল্টে পড়ে গেল। পুলিশ এসে ক্যাঁক করে ধরল।
পুলিশ : বিষয়টা কী, এত রাতে এমন মাতলামি কিসের, যাচ্ছিলে কোথায়, শুনি?
হেনরি : যাব আর কোথায়! লেকচার শুনতে যাচ্ছিলাম। পুলিশ তো শুনে মহাখাপ্পা।
পুলিশ : পাগল পেয়েছ! এত রাতে কোন আহাম্মক তোমার জন্য লেকচার দেবে?
হেনরি : লেকচার একজনই দেয়।
পুলিশ : কে সে?
হেনরি : আছে না আমার বউ!
টুরিস্ট : নদীতে নামতে পারি? কুমিরের ভয় নেই তো?
স্থানীয় লোক : নিশ্চিন্তে নামুন। এখন আর একটি কুমিরও নেই। গত দুই বছরে সবকটি কুমির হাঙর খেয়ে ফেলেছে।
এক বোকা লোক একটা ছাগল নিয়ে যাচ্ছিল। আরেক বোকা বলল, কিরে, ছাগলটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস?
প্রথম বোকা লোক : স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে যাই।
প্রথম বোকা লোক : আমাকে বোকা পেয়েছিস? ছাগলকে স্কুলে ভর্তি করাবি কীভাবে? আজ তো শুক্রবার!
প্রথম ব্যক্তি : ভাই আপনার কাছে ৫০০ টাকা হবে?
দ্বিতীয় ব্যক্তি : আপনাকে ৫০০ টাকা ধার দেব কেন? আমি তো আপনাকে চিনি না।
প্রথম ব্যক্তি : সে জন্যই তো বলছি, কারণ যারা আমাকে চিনে তারা আমাকে কোনো দিন টাকা ধার দেবে না।
দুই মাতালের কথোপকথন—
প্রথম মাতাল : স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন?
দ্বিতীয় মাতাল : ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র থেকে দূরে থাকতে।
বাড়িতে অতিথি এসেছে, দুই সপ্তাহ যায় নড়বার কোনো লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায়। একদিন অতিথিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগল। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং কান্নার আওয়াজও শুনে মতিগতি সুবিধের নয় ভেবে অতিথি ভদ্রলোক স্যুটকেস নিয়ে এক ফাঁকে বেরিয়ে গেল।
স্বামী-স্ত্রী দুজনায় খুব হেসে নিল—
স্বামী : তোমার লাগে টাগে নি তো?
স্ত্রী: দূর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম।
তখনই হাসিমুখে অতিথির আবির্ভাব।
অতিথি: হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম।
প্রথম ব্যক্তি : বাড়িতে শান্তি নেই। বউ শুধু টাকা চায়।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : কত টাকা?
প্রথম ব্যক্তি : কোনো ঠিক আছে? ১০০, ২০০, ৫০০, যখন যা ইচ্ছে।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : এত টাকা নিয়ে কী করে?
প্রথম ব্যক্তি : কী জানি, জানি না। দেই না তো কখনো!
রেলের সিগন্যালম্যান পদের জন্য স্টেশন কর্তা চাকরি প্রার্থীকে প্রশ্ন করল—
স্টেশন কর্তা : মনে কর, একই লাইনে দুটো ট্রেন দুই দিক থেকে আসছে, তখন তুমি কি করবে?
চাকরি প্রার্থী : আমি তখন পয়েন্ট সিগন্যাল উঠিয়ে গাড়ি দুটো দাঁড় করার চেষ্টা করব।
স্টেশন কর্তা : মনে কর এমন কুয়াশা হয়েছে যাতে সিগন্যাল দেখাই যাচ্ছে না তখন কী করবে?
চাকরি প্রার্থী : আমি লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেন থামাবার চেষ্টা করব।
স্টেশন কর্তা : কিন্তু তখন যদি রাত হয়?
চাকরি প্রার্থী : তাহলে আমি লণ্ঠন নাড়াতে থাকব। চাকরি প্রার্থী বরাবরের মতো উত্তর দিয়ে যায়।
স্টেশন কর্তা : কিন্তু ধর তোমার লণ্ঠনে তখন তেল নেই এবং তোমার কাছে দেশলাই নেই।
চাকরি প্রার্থী : তাহলে আমি ছুটে গিয়ে আমার ছোট বোনটাকে ঘটনাস্থলে আনব।
স্টেশন কর্তা : তোমার বোনকে কেন?
চাকরি প্রার্থী : স্যার, আমার বোনের অনেক ইচ্ছে চোখের সামনে একটা বড় রেল দুর্ঘটনা দেখার।
প্রেমিকা : আমি তোমার জন্য সব ছাড়তে রাজি আছি।
প্রেমিক : সত্যি?
প্রেমিকা: হ্যাঁ।
প্রেমিক : তোমার বাবা-মাকেও?
প্রেমিকা : হ্যাঁ।
প্রেমিক : তোমার সব আত্মীয়-স্বজন, বিষয়-সম্পত্তি?
প্রেমিকা: হ্যাঁ।
প্রেমিক : স্টার প্লাস?
প্রেমিকা : মুখ সামলে কথা বল বলে দিচ্ছি!
শিক্ষক : বল তো বল্টু সবচেয়ে হাসিখুশি প্রাণী কোনটি?
বল্টু : হাতি স্যার!
শিক্ষক : কেন?
বল্টু : দেখেন না স্যার, হাতি খুশিতে সব সময় তার দাঁত বের করে রাখে।
শনিবার রাতে :
স্ত্রী : এই তুমি আজ মদ খেয়ে এসেছো কেন?
স্বামী : আজ অফিসে বিদেশি ক্লায়েন্টের সঙ্গে মিটিং ছিল, তাই খাওয়া লেগেছে।
রবিবার রাতে :
স্ত্রী :তুমি আজ আবার মদ খেয়েছ!
স্বামী : আরে আজ আমার এক বন্ধুর এনগেজমেন্ট ছিল।
সোমবার রাতে :
স্ত্রী : আজও মদ খেয়েছো কেন?
স্বামী : আমার এক বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে। তার মুড খুব খারাপ ছিল। মুড ভাল করার জন্য এক সঙ্গে একটু খেতে হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে :
স্ত্রী : ফের আজ!
স্বামী : ব্রেকআপ না, আজ অফিসে খুব কাজের চাপ ছিল। টেনশনে ছিলাম, তাই।
বুধবার রাতে :
স্ত্রী : হুম। আজ?
স্বামী : আজ এক কলিগের বিয়ে ছিল। খুশির চোটে...
বৃহস্পতিবার রাতে:
স্ত্রী : আজ কী বলবে?
স্বামী : আজ স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
শুক্রবার রাতে :
স্ত্রী : (রেগে গিয়ে) ছুটির দিনেও বাদ দাওনি?
স্বামী : মানুষ একটা দিনও কি নিজের ইচ্ছামতো পান করতে পারবে না, নাকি?