সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরীক্ষার্থীর প্রকারভেদ

রাফিউজ্জামান সিফাত

পরীক্ষার্থীর প্রকারভেদ

উত্তর মিলানি গ্রুপ : এক শ্রেণীর পরীক্ষার্থী আছে, যারা পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর থেকেই এর ওর সঙ্গে উত্তর মিলিয়ে যায়। তাদের সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে ফলাফল প্রকাশের আগের রাত পর্যন্ত। ১৩নং প্রশ্নের উত্তর (গ) নাকি (ঘ), কোনোমতেই সন্দেহ দূর হতে চায় না। অবশেষে মোবাইল বের করে ক্লাসের সবচাইতে মেধাবী বন্ধুকে ফোন  দেয়। বন্ধুটি জানায় উত্তর হবে (ক)

 

তুলনা গ্রুপ : এদের কাছে নিজের ফলাফলের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুর ফলাফল। ফলাফল প্রকাশের পর অন্য বন্ধুরা কে কত নম্বর পেল তা জানতেই তাদের অধিক আগ্রহ। ‘দোস্ত,  তোর রেজাল্ট কী? ওহ! এক বিষয়ে ফেল করেছিস? আহা রে! আজ বাসায় নিশ্চয়ই তোকে খুব মারবে, তাই না? পিঠে ছালা বেঁধে নে দোস্ত।’ ( খিক খিক হাসি ) ওইদিকে নিজে যে সব বিষয়ে ফেল মেরেছে এবং তার জন্য বাসায় রুটি বেলার বেলুন হাতে মা অপেক্ষায় আছে সে হিসাব তার নেই। আর যদি কোনোভাবে তাদের নিজেদের ফলাফলই ভালো হয়ে যায় তবে তো কথাই নেই। তাদের ফোন আর ফেসবুক ইনবক্সের জ্বালায় অন্যদের বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়।

 

সুদূরপ্রসারী চিন্তাশীল গ্রুপ : তারা রেজাল্ট প্রকাশের আগেই চিন্তা করে ফেলে পরবর্তী সময়ে কে কী করবে। কেউ কেউ পরবর্তী ক্লাসের জন্য বইপত্র জোগাড় করে পড়াশোনা শুরু করে অর্ধেক বই  শেষ করে ফেলে। কেউবা আবার রিকশা কিংবা সিএনজি গ্যারাজে খোঁজ লাগায় কার দৈনিক ইনকাম কত। কিছু মেয়ে মানসিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। 

 

‘আমি শ্যাষ’ গ্রুপ : এই গ্রুপে কমন বাক্য, ‘দোস্ত, আমি শ্যাষ, এইবার নিশ্চিত ফেল করব রে’ তাদের নিশ্চিত ফেলের পূর্বাভাস ক্লাসের মোটামুটি সবাই জেনে যায়। যে বন্ধুর কাছে তারা এসব গল্প করে সেই বন্ধুটি পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দেয়। ‘আরে  রেজাল্ট খারাপ হইলে একলগে পালামু, টেনশন লইস না।’ অথচ ফলাফলের দিন দেখা যায় দোস্ত ‘আমি শ্যাষ’ গ্রুপই সর্বোচ্চ নাম্বার  পেয়ে পাস করেছে। আর যে বন্ধুর কাছে তারা এতদিন ফেলের গল্প করেছিল সেই বন্ধু সত্যি সত্যি ফেল করে বাড়ি থেকে পালিয়েছে!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর