সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বইমেলার পাঠক শ্রেণি

রাফিউজ্জামান সিফাত

বইমেলার পাঠক শ্রেণি

সৌজন্য কপি দ্যান পাঠক

এই শ্রেণির পাঠকদের ধারণা বই লেখাই হয় সৌজন্য কপি বিলানোর উদ্দেশ্যে। লেখক দেখামাত্রই তারা হাত পেতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সৌজন্য কপি দাবি করে বসেন। কপি না পেলে ঠোঁট ফুলিয়ে বলে, ‘উঁহু কি দেমাগ, কী ছাইপাঁশ লিখে জানা আছে!’ তাদের ধারণা সৌজন্য কপি চেয়ে তারা আসলে লেখকের উপকার করে দিল। উল্লেখ্য, এই শ্রেণির পাঠক বই পড়েন না, এমনকি পাতা উল্টিয়েও দেখেন না। সৌজন্য কপি বগলদাবাতেই তাদের সব সন্তুষ্টি। 

 

মডেল পাঠক

তারা মূলত বই হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার আশপাশে তাদের বেশি ঘুরঘুর করতে দেখায় যায়। তারা যতটা না পাঠক তারও বেশি মডেল। বইয়ের কভারের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি, কামিজ কিংবা পাঞ্জাবি গায়ে একের পর এক ছবি তুলে লেখককে ট্যাগ করে ফেসবুক ওয়াল ভরিয়ে তুলে। নিজেকে বইলেখার প্রমাণের জন্য কখনোবা বিকালে বারান্দার গ্রিলে খালি পা নূপুর পরে এক হাতে বই অন্য হাতে মোবাইলে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়ে বলে, ‘মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় পড়ছি...’ ক্যাপশন পর্যন্তই, তারপরই তারা চ্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করে। বই পড়ার কথা ভুলে যায়।

 

মুলামুলি পাঠক

বইয়ের গায়ে মূল্য লেখা সত্ত্বেও তারা মাছের বাজারের মতো বইয়ের দাম নিয়ে দরাদরি শুরু করে। ‘না ভাই, দাম কমান। আমি লেখকের এলাকার ক্লোজ বড় ভাই। নাম বললেই ও আমাকে চিনবে। আমিই তো ওকে লিখালিখির পথে নিয়ে আসলাম (বিস্তর প্রেমপত্র লিখিয়েছে), আমাকে এক্সট্রা খাতির করতেই হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর