সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
নাটক না দেখে

ফেসবুকের জন্য রেডিমেড রিভিউ

রাফিউজ্জামান সিফাত

ফেসবুকের জন্য রেডিমেড রিভিউ

পজেটিভ রিভিউ

  বড় ভাইয়ের এইবারের ঈদের নাটক দেখে আমি জাস্ট স্তব্ধ! ভাই এইটা কি বানাইল! সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এক প্রেমের গল্প ভাই এই নাটকে বলছে। নাটকে দেখা যায়, নায়ক গরিব, বেকার। নায়িকা বড়লোক বাবার একমাত্র আদরের কন্যা। নায়ক-নায়িকা একে অপরকে ভালোবাসে। তারা পার্কে বসে প্রেম করে, বাদাম খায়। তারপর সন্ধ্যায় যে যার বাড়ি ফিরে যায়। ওইদিকে নায়িকার পরিবার তাদের প্রেম মেনে নেয় না। নায়িকা নায়কের হাত ধরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। নাটকের গল্প যেমন বৈচিত্র্যময়, অভিনয় তেমনি জীবনমুখী। বিশেষত নায়কের চাচীর চরিত্রটি হৃদয়ে আঁচড় কেটে গেছে। নাটকের শেষের দিকে চাচীর সেই আবেগমাখা ডায়ালগ- ‘তোরা পালিয়ে যা রে’ শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। ওয়াও! এমন কাহিনির নাটক টেলিভিশনে এর আগে কখনো তৈরি হয় নাই।     

 

নেগেটিভ রিভিউ

টেলিভিশন খুললে সেই একই বস্তাপচা গল্প, একই নায়ক-নায়িকার মুখ, গদগদ প্রেমের একই সংলাপ। দুর্বল চিত্রনাট্য, অতিরিক্ত ভাঁড়ামি যেন কাতুকুতু দিয়ে জোর করে দর্শক হাসানোর চেষ্টা।  

 

মধ্যস্থতাকারী রিভিউ

এবারের ঈদে প্রচারিত প্রায় তিনশ নাটকের মাঝে আমার কাছে একশ নাটক ভালো, একশ মন্দ আর একশ নাটক মোটামুটি লেগেছে। যে নাটকগুলো ভালো লেগেছে সেগুলো ভালো ছিল। যে নাটক ভালো লাগেনি সেগুলো ভালো ছিল না। মোটামুটিগুলো মোটামুটি ছিল, তবে আরও ভালো হতে পারত। আজকাল নাটক হিট করতে নায়িকাকে অবশ্যই মুখে ওড়না চেপে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে ঢেঁকুর তুলে কাঁদতে হবে, নায়ককে অযথাই গালাগাল আর নায়কের বন্ধুকে চামচামি করতে হবে। তবে যতই কাঁদুক আর গালাগাল দিক শেষ পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার মিলন অবশ্যম্ভাবী। আমাকে বেশ অবাক করেছে কিছু কিছু নাটকে নায়িকার চোখে এক ফোঁটা পানিও ছিল না। কান্না ছাড়া নায়িকা হয় কীভাবে!

   

বোনাস রিভিউ

বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে কয়েক মিনিটের নাটক বিরক্তির উদ্রেক ঘটালেও তুলনামূলকভাবে গতবারের চেয়ে এইবার নাটকের পরিমাণ খানিকটা কম ছিল। কর্তৃপক্ষকে তাই ধন্যবাদ। বিজ্ঞাপনের নিত্যনতুন চিন্তা, নির্মা, গ্রাফিক্স এডিটিং এবং শিল্পীদের অভিনয় সবকিছুই মনোমুগ্ধকর ছিল।

 

 

 

সর্বশেষ খবর