সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফেসবুকার কত প্রকার ও কী কী

রাজু আহমেদ

ফেসবুকার কত প্রকার ও কী কী

♦ লাইক দাও, লাইক নাও ফেসবুকার : কেউ কেউ বলে এরা সেই সব প্রজাতির ফেসবুকার যারা একসময় লাইক চেয়ে বেড়াতেন সবার পোস্ট অথবা ইনবক্সে। আপনি কে, কেন, কোথা থেকে এসেছেন তা জানার দরকার নেই, আপনি তাদের লাইক দিয়েছেন, আর তারা দৌড়ে এসে আপনার পোস্টে লাইক দিয়ে যাবে।

 

♦ ছাব্বিশ ঘণ্টা অ্যাক্টিভ ফেসবুকার : এদের কোনো কাজ নেই। এরা দিনে ছাব্বিশ ঘণ্টা (২ ঘণ্টা ঘুমে) এমন একটা ভাবে থাকেন যেন ফেসবুক এদের জন্যই তৈরি। খাইতে গেলে, শুইতে গেলে মানে যে কাজই করুক না কেন ফেসবুকে থাকবেই।

 

♦ ভাবুক ফেসবুকার : এরা সবসময়ই একটা মুডে, মানে ভাবে থাকে। কারও পোস্টে এরা যায় না আবার নিজের পোস্ট নিয়েও মাথাব্যথা নেই।

 

♦ খাই বা পড়ি না ফেসবুকার : এরা চুরি করে নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করবে। সে কথা বলতে গেলে বলবে রিপোর্ট করে দেন অথবা আমার ইচ্ছে আপনার যা ইচ্ছে তাই করেন। আমি কারোরটা খাই বা পড়ি না।

 

♦ ক্রাশ ফেসবুকার : এরা অন্যের ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে নিজের ছবি তুলে পোস্ট দেয়। তাতে আকাশ বাতাস রং দিয়ে, অন্যের লেখা ক্যাপশন, বা ইংরেজি ক্যাপশন চুরি করে ছেপে দেয় ফেসবুকে।

 

♦ এরাবিয়ান ফেসবুকার : এদের কাছে তেলের অভাব নেই। এরা ফেসবুকের কমেন্টে সেই তেল ঢেলে দেন। এদের বেশি দেখা যায় মেয়েদের প্রোফাইলের কমেন্টে।

♦ বিদ্যাসাগর ফেসবুকার : এদের কাজ হচ্ছে প্রচুর পড়া। কমেন্টে এসে এরা ফ্রি জ্ঞান বিতরণ করেন।

 

♦ রবিন হুড ফেসবুকার : এরা সবার থেকে আলাদা। এদের কাজই হচ্ছে অন্যের উপকার করা, খাবার জোগান দেওয়া, রক্ত জোগান দেওয়া, ইত্যাদি  সামাজিক ও মানবিক কাজ করা।

 

♦ পাশের বাড়ির ভাবি ফেসবুকার : এদের আইডি প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। কয়েক মাস বা বছর পর পর এরা ফিরে আসেন ফেসবুকে। আর এসেই তাদের পোস্ট থাকে- কেমন আছ বন্ধুরা? তোমরা আমাকে ভুলেই গেলে?

 

♦ ইনবক্স ফেসবুকার : এরা পোস্ট দেখেন এবং সেই পোস্ট সংক্রান্ত কথা বলতে হলেও তাদের ইনবক্সে আসতে হয়, এসেই বলবে, আসলে আপনি ভালো লেখেন।

 

♦ ইস্যু ফেসবুকার : ইস্যু পেলে এরা তাদের ত্যানা ত্যানা বানিয়ে নাতি-নাতনিদের ঘুমানোর কাঁথা বানিয়ে ফেলেন।

সর্বশেষ খবর