সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাত্রী নিবাস

শফিকুল ইসলাম শফিক

পাত্রী নিবাস

হাবলু বিয়ে করতে চায়। প্রয়োজনে ঘটকের হাতে-পায়ে ধরতে চায়। হালি হালি প্রেম জুটলেও কোনো প্রেমেই বিয়ের ফুল ফোটেনি। আর নয় প্রেমের কথা। বিয়ের কথা নিয়ে অনেক কথাই তাকে হজম করতে হয়। নইলে সে বিয়ের পাত্র নয়। তার আসল বয়স ত্রিশ বছর। নকল বয়স আঠাশ বছর। যদিও এটিই তার আসল বয়স বলে প্রমাণিত। বিয়ের জন্য সবাইকে সনদের বয়স বলে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। সে অনেক ভেবেচিন্তে দেখল, আলাদা একটি বাড়ি তৈরি করা যায় কিনা! যেই গালে হাত, সেই পরিকল্পনা শুরু। কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ। বাড়ির নাম ‘পাত্রী নিবাস’। একদিন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কী ব্যাপার, এমন আজব বাড়ির নাম বাপের জীবনেও শুনিনি। নামের হেতু কী ভাই?

সে বলল, অনেক সুবিধা আছে।

কেউ পাত্রীর সন্ধানে এলে তাকে পাত্র সন্ধানের কথা বলব। সন্ধান পেলে ঘটক ছাড়াই পাত্রীপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারব। বিনা ঘটকে বিয়ে দেওয়াটাই আমার মুখ্য বিষয়। এখানে উপযুক্ত-অনুপযুক্ত উভয় পাত্রদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাত্র-পাত্রী উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। যে কোনো পক্ষ পাত্রী নিবাসে উন্মুক্ত বিয়ের আলোচনা করতে পারে। পাত্রী নিবাসে যেহেতু পাত্রপক্ষের লোক আসবে সেহেতু ভালোভাবেই আপ্যায়ন করে খাবার বিলটা হাতিয়ে নিতে পারব। আমার বাড়ি পাত্রী নিবাস পাড়া। আগামী নির্বাচনে সেই সুযোগ কাজে লাগাব। সবাই আমাকে সাপোর্ট করবে।

ইংরেজির প্রবাদ বাক্যের মতো আপন চড়কায় তেল দাও। অর্থাৎ, এখানে সব বয়সী বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা যায়। সর্বোপরি, এখানে নিজের বিয়ের কথা নিজেই পাকাপাকি করতে পারব। আরও অনেক সুবিধা আছে। বিয়ের পর না হয় বলব।

এরপর তাকে বললাম, কথাগুলোর জোরালো যুক্তি আছে। এজন্যই হয়তো বিয়ে হচ্ছে না। বয়স ত্রিশ অতিক্রম করতে আরও দুই বছর বাকি। এই দুই বছরে কমপক্ষে দেড়শ পাত্রী দেখার চান্স আছে আরকি!

 

- কনইল, নওগাঁ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর