সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

ব্যাচেলর হইতে সাবধান!

শফিক শাহরিয়ার

ব্যাচেলর হইতে সাবধান!

সবাই বলে বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেছে আরও বছর পাঁচেক আগে। মাথার চুল নাকি কাঁঠালের মতো পাকতে শুরু করেছে। পরিচিত-অপরিচিত সব বেকার ছেলেরা বিয়ে করে ফেলেছে। বয়স ৩০ প্লার হলে নাকি পাত্রী জুটবে না। ওই অবস্থাকে ‘ডেট এক্সপায়ার’ বলা যেতে পারে। আজকাল এমন প্রশ্ন শুনে শুনে অনেকেই অভ্যস্ত। এসব নিয়ে আর একদম টেনশন করি না। সারাটা দিন কীভাবে যায় বুঝতেই পারি না। একগাদা প্রশ্নের জবাব নিয়ে আজ তাদের সামনে হাজির হয়েছি। এরপর আবার কেউ প্রশ্ন করলে তার নাক ফাটিয়ে দিলে আমি দায়ী নই। তাই তো বলি, ‘ব্যাচেলর হইতে সাবধান!’

 

► বয়স বাড়বে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে অস্বাভাবিকের কোনো স্থান নেই। সময় ও নদীর স্রোত যেমন থামানো যায় না, তেমনি বয়সকে থামানো যায় না। বয়স যত বাড়ে, ধৈর্য তত বাড়ে। কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে।

 

► চুল পাকলে আবার নতুন করে প্রেম শুরু হয়।  পাকা চুল স্থায়ী প্রেমের লক্ষণ। এক শ্রেণির সুন্দরীরা পাকা চুলওয়ালা তরুণদের বেশি পছন্দ করে। তারা পার্কে যায়, দুজনে বসে বাদাম খায়। প্রেমিকা তার পাকা চুল নিয়ে খুব গর্ব করে। সবাই সেটা টের পায় না বলেই তাদের প্রেমটা মাখোমাখো হয়।

 

► চাকরি আছে যার, বিয়ের সুযোগ তার। একটা চাকরি থাকলে বয়সকে ত্রিশের ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায় না। বয়স নিয়ে লাফালাফির কী আছে? আজকাল সাধারণ ব্যাচেলরের চাকরি পেতে অনেক সময় লাগে। পাত্রীপক্ষও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।

 

► যাদের পারিবারিক বা শ্বশুরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক সাপোর্ট আছে তাদের বিয়ে করাতে দোষের কিছু নেই। সত্যি কথা বলতে আমার এ ধরনের কোনো সাপোর্ট নেই। তাই পাত্রী থেকে একশ গজ দূরে থাকি।

 

► ওরে ভাই আমি এখনো সিঙ্গেল আছি। স্টক ব্যাচেলরদের সঙ্গেই আছি। চাকরি পাইনি বলেই বিয়ে করিনি। আমার কেন ‘ডেট এক্সপায়ার’ হবে? যারা বিয়ে করেছে তারাই এমন আজেবাজে কথা বলে। মনে হয় তারা বউয়ের ধাক্কা সামলাতে পারে না। সো, প্রমাণ হলো, বয়স কোনো ব্যাপার নয়, যখন খুশি বিয়ে হয়।

-কনইল, নওগাঁ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর