সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

পিয়াজ বিষয়ক ফালতু গবেষণা

মাহবুব নাহিদ

পিয়াজ একটি পচনশীল বস্তু। পিয়াজ খুব ঝাঁজযুক্ত জিনিস। খাবি কি ঝাঁজে মরে যাবিÑ টাইপ অবস্থা। পিয়াজ এখন আর খেতে হয় না ঝাঁজেই কাজ হয়ে যায়। রান্নায় সরাসরি পিয়াজ না দিলেও চলে। শুধু একটু ঝাঁজ দিয়ে দিলেই সবাই খুশি। পিয়াজ সরাসরি না খেয়ে, খাওয়ার  টেবিলে ঝুলিয়ে রাখলেও হয়। একে বলে দর্শনেই অর্ধভোজন।  পিয়াজের গন্ধ কোনো বাড়ি থেকে আসলে ভাবা হয় তাদের পয়সা-কড়ি ভালোই আছে। পিয়াজ আজকাল কেজি ধরে কেনার সাহস কম লোকেরই আছে। পিয়াজ তাই এখন হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাসায় পিয়াজ দিয়ে এখন বেরেস্তা করা যাচ্ছে না। করতে হচ্ছে পিয়াজের  খোসা দিয়ে। একে বলে উপাদানের ঠিক ব্যবহার। গার্লফ্রেন্ডকে পিয়াজ ফুল দেওয়ার কথা কেউ একসময় ভাবতেও পারত না কিন্তু এখন পিয়াজ ফুল দেওয়া হলে কেউ রাগ করবে না বরং গর্বে বুক ফুলিয়ে সবাইকে বলে বেড়াবে। সবাই তাকে বাহবা দেবে আর বলবে ‘ভাই, জিতছেন’।

বাতাবিলেবুর ফলন না দেখিয়ে পিয়াজের বাম্পার-জাম্পার ফলন  দেখানো হবে চ্যানেলে-চ্যানেলে। গ্রামগঞ্জ থেকে পিয়াজচাষিদের ডেকে এনে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। বিয়েতে মিষ্টির বদলে পিয়াজ চাওয়া শুরু হয়ে যেতে পারে খুব দ্রুত। সোনার ভরি বেশি নাকি পিয়াজের ভরি এটা জানার জন্য কমিটি গঠন করা হতে পারে শিগগিরই। গয়নায় সোনার বদলে পিয়াজ চলে আসবে। নাকফুলের বদলে হবে পিয়াজ ফুল আর কানের দুল হবে পিয়াজ দুল। হাতে পরতে হবে পিয়াজ চুড়ি।

বদলে যাবে কিছু বাগধারা ও প্রবাদ বাক্য। বলা হবে তুমি পিয়াজ হরিণ হয়ে যাচ্ছ। কিংবা বলা হবে উলুবনে পিয়াজ ছড়ানো। লেখা হবে গান ও কবিতা। গান গাইবে লোকে, ‘পিয়াজ ছাড়া আর কিছু চাই না এ জীবনে-এ-এ-এ...’ আরও কত কী হবে, সবে তো শুরু!

 -ঢাকা

সর্বশেষ খবর