সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

শীতে হালচাল

শীতে শুধু লাল গোলাপ ও হলুদ গাঁদা ফুলই ফোটে না- অবিবাহিত যুবক-যুবতীর জীবনে বিয়ের ফুলও ফোটে

শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে ভারী পোশাকের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন শীতের পোশাক ব্যবসায়ীদের থাকে রমরমা ব্যবসা।

 

শীতে কারেন্ট যায় কম, ফ্যান থাকে বন্ধ। তবুও জেনারেটর বিলের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তাই জেনারেটর ব্যবসায়ীরা তখন বাড়তি মুনাফা গোনে।

 

শীতে অধিকাংশ মানুষের পানি দেখলেই ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়। তখন পিস্তলের চেয়ে এক বোতল ঠান্ডা পানিই হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। তাই ছিনতাইকারীদের অবৈধ পিস্তল বহনের ঝক্কি পোহাতে হয় না।

 

শীতের সময় সবার হাত থাকে পকেটের ভিতর। তাই গাড়িতে বা ভিড়ে পকেটমার যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের  কোঠায় নেমে আসে। তবে ভুল করে অন্যের পকেটে হাত ঢুকে গেলে নিশ্চিত গণধোলাই।

 

শীতে উঠতি বয়সী পোলাপানের রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে বিড়ি টানার সুযোগ তৈরি হয়। ঘন কুয়াশায় দূর থেকে স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না। ধোঁয়াটা কুয়াশা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।

 

অলিখিতভাবে শীতকাল মানে বিয়ের মৌসুম। তাই তখন শুধু লাল গোলাপ ও হলুদ গাঁদা ফুলই ফোটে না- অবিবাহিত যুবক-যুবতীর জীবনে বিয়ের ফুলও ফোটে।

 

অন্য সময় সামান্য ঝগড়া হলেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা রুমে রাতযাপন করেন। তবে শীতের সময় যতই ঝগড়া হোক, সেই রিস্ক কেউ নেন না।

♦  লেখা : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান

চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ, ঢাকা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর