দৃশ্য এক
অফিস নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য নাই। সারা দিন ঘরে বউ, শ্বশুর-শাশুড়ি, মা-বাবা, ভাই-বোন, ননদ-শালা... চৌদ্দগুষ্টির সঙ্গে প্যাঁচাল পারতে দেখা যাচ্ছে একজন স্বামীকে-
দৃশ্য দুই
প্যাঁচালের প্রসঙ্গ- বউ লবণের বাটিতে লবণ রাখেনি। এ নিয়ে বিশাল গ্যাঞ্জাম লেগে গেছে বাড়িতে। বউকে বাপের বাড়িতে পাঠাতে চায় সবাই। কিন্তু বউ যাবে না। মইরা গেলেও স্বামীকে ছেড়ে যাবে না। স্বামী চুপ মেরে বসে আছে। নাটকের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে সে-
দৃশ্য তিন
বউমার পক্ষে শ্বশুর একটু গলা খাকারি দিলেন। পরিস্থিতি তার অনুকূলে যাচ্ছে। এ সময় ননদ আর শাশুড়ি মিলে শ্বশুরকে শক্তিশালী ‘কথা-বোম’ মেরে উড়িয়ে দিল। ‘কথা-বোম’ পড়ায় স্বামী একটু স্ত্রীর পক্ষ নেওয়ার চেষ্টা করল-
দৃশ্য চার
স্বামী বেচারা স্ত্রীর পক্ষে তেরো মিনিট বক্তৃতা দেওয়ার পর বাড়ির চৌদ্দগুষ্টি আরও সাড়ে তেরো মিনিট বক্তৃতা দিল। বক্তৃতার সারমর্ম দাঁড়াল, ‘তুমি তোমার বউকে নিয়ে বহাল তবিয়তে থাক। আমরা আজ থেকে লবণই খাব না...’
দৃশ্য পাঁচ
লবণ খাওয়া বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে না একজন গৃহবধূ। লবণে আছে আয়োডিন ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। বউমা তাই কান্নাজুড়ে দেয়। তার স্বামী সেই লোনা কান্নার ফিফটি পার্সেন্ট পাত্তা দেয়। বাকি ফিফটি পার্সেন্টকে গুরুত্ব দিয়ে সে চৌদ্দগুষ্টির পক্ষে অবস্থান নেয়। এরপর ‘দৃশ্য : এক’ থেকে পরের পর্ব দেখানোর হুমকি দেওয়া হয় দর্শকদের... সমাপ্ত।