♦  ছোট ছেলেটি স্কুলে যেতে দেরি করেছে। চুপি চুপি ক্লাসে ঢুকতে গিয়েছিল সুপারিনটেনডেন্টের নজর এড়িয়ে। কিন্তু ধরা পড়ে গেল। সুপার খপ করে তাকে ধরলেন এবং দেরির জন্য জবাবদিহি চাইলেন। আমতা আমতা করে সে জবাব দিল, ‘আমি আজ মাছ ধরতে যাব ঠিক করেছিলাম, কিন্তু বাবা যেতে দিল না।’ সুপারের মুখ মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হলো। তিনি বললেন, ‘বিচক্ষণ পিতা, তোমাকে মাছ ধরতে যেতে না দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন। কারণটাও তিনি নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করেছেন, তাই না?’

ছোট ছেলেটি জবাব দেয়, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই স্যার! তিনি বললেন, যা টোপ আছে, তাতে আমাদের দুজনের কুলোবে না!’

বন্ধু বলল, ‘আর বল কেন? বউ আলটিমেটাম দিয়েছে, হয় বরাবরের মতো আমাকে মাছ ধরা ছাড়তে হবে, নইলে সে আমাকে বরাবরের মতো ছেড়ে চলে যাবে! ইশরে! এত ভালো বউটাকে আমি হারাতে চলেছি!’

♦ সমুদ্রতীরে মাছ ধরছেন এক দম্পতি। স্বামীর বড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ। কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটিকে তীরে আনার আগেই সুতা-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্রশৈবালের স্তূপে। স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বললেন, ‘ওগো জলদি কর! ঝাঁপ দাও! সাঁতরে চলে যাও ওই শেওলাগুলোর কাছে! ডুব দিয়ে সুতাটা ছাড়াও। নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে!’

♦ মৎস্য শিকারির প্রতিবেশী : এই যে বাবু! কাল নাকি আপনারা কয়েকজন মিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন? হে হে! তা মেজো মাছটা কে ধরলেন? হে হে!

বাবু : মেজো মাছ? সেটি আবার কী?

প্রতিবেশী : হে হে! মানে সবচেয়ে বড় মাছের পরেরটা। সবচেয়ে বড় মাছটা তো নির্ঘাত আপনিই ধরেছেন, তারপরের বড় মাছটা কে ধরলেন, সেটাই জানতে চাইছি!