স্ত্রী : ওগো শুনছো?
স্বামী : হ্যাঁ, বলো।
স্ত্রী : আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের ভাবী একটা দারুণ শাড়ি কিনছে কাল। দাম নাকি অনেক। তুমি আমাকে ওমন একটা শাড়ি কিনে দিবে?স্বামী : কে বললো ওই শাড়ির দাম বেশি? তোমার শাড়ির থেকে ওই শাড়ির দাম কম।
স্ত্রী : না। এসব বললে হবে না। ওই শাড়ির দাম বেশি জানি আমি। তুমি কিনে দিবে না, সেটাই বলো।
স্বামী : আরে আমি তো বলছি, আমি জানি ওই শাড়ির দাম। তোমার শাড়ির দামের থেকে দুইশ বিশ টাকা কম।
স্ত্রী : থাক, আর বানিয়ে বলতে হবে না। আমি সব বুঝি। ভাবী ঠিক বলেছে আমাকে। তুমি আমাকে এত দামি শাড়ি কিনে দিবে না, তাই কত বাহানা।
স্বামী : আমার কিন্তু রাগ উঠছে ভীষণ। আমি তোমাকে বললাম না, ওই শাড়ির দাম তোমার শাড়ির থেকেও কম? একশ পার্সেন্ট শিওর।
স্ত্রী : তোমার কাছে কোনো প্রমাণ আছে? তাহলে না হয় মেনে নিতাম।
স্বামী : আমি প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলি না।
এই বলে চট করে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে কাগজটা দেখালো স্বামী বেচারা।
আসলেই তো ওই শাড়ির দাম ওখানে লেখা আছে।
স্বামী : কী? এবার বিশ্বাস হলো তো?
স্ত্রী : ও তার মানে ওই শাড়িটা তুমিই কিনে দিয়েছো! আমি আগে থেকেই লক্ষ্য করছি। তাই এতক্ষণ বাহানা করলাম আসল রহস্য উদঘাটন করার জন্য। আমি চললাম। থাকো তুমি তোমার সংসার নিয়ে।
- কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ। রসুলপুর, কুড়িগ্রাম।