শিরোনাম
সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিখ্যাতদের কান্ড

বিখ্যাতদের কান্ড

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও এক মাতাল

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের আর্থিক অনটনের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে টাকা-পয়সা দিয়ে সহায়তা করতেন। এক দিন এক মাতাল তার কাছে সাহায্য চাইতে এলো। বিদ্যাসাগর বললেন, ‘আমি কোনো মাতালকে সাহায্য করি না। কিন্তু আপনি যে মধুসূদনকে সাহায্য করেন তিনিও তো মদ্যপান করেন, মাতালের চতুর উত্তর। বিদ্যাসাগর জবাব দেন, ‘তা ঠিক আছে। আমিও তোমাকে মধুসূদনের মতো সাহায্য করতে রাজি আছি। তবে তুমি তার আগে একটি মেঘনাদ বধ কাব্য লিখে আন দেখি।’

 

ধনকুবের কার্নেগির প্রতিজ্ঞা

মার্কিন ধনকুবের এন্ড্রু কার্নেগি ছিলেন তার সময়ের শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ছিলেন বস্তির ছেলে। তার বয়স যখন বারো তখন খেলার জন্য একবার তিনি পাবলিক পার্কে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার পরিধেয় পোশাক এতই মলিন ও নোংরা ছিল যে, পার্কের দারোয়ান তাকে পার্কে ঢুকতে দেয়নি। সেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, এক দিন তার টাকা হবে এবং তিনি এই পার্কটি কিনে ফেলবেন। ধনকুবের হওয়ার পর তিনি সত্যই সেই পার্কটি কিনে ফেলেন এবং সেখানে একটি বড় সাইনবোর্ড লাগানো হয়। যেখানে লেখা ছিল, ‘আজ থেকে দিনে বা রাতে যে কোনো মানুষ যে কোনো পোশাকে পার্কে অবাধে প্রবেশ করতে পারবে।’

 

মার্ক টোয়েনের ট্রেনযাত্রা

অনেক বছর আগের কথা। সে সময় আমেরিকান ট্রেনগুলো বেশ ধীরগতিতে চলত। লেট করত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। রাত ৮টার ট্রেন সকাল ৮টায় স্টেশনে এসে পৌঁছবে কিনা সে বিষয়ে সবাই থাকত সন্দিহান। সে সময় বিখ্যাত রম্যসাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার কোথাও যাওয়ার জন্য ট্রেনে চেপে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পরই ট্রেনে উঠল টিকিট চেকার। মার্ক টোয়েন গম্ভীর মুখে চেকারের দিকে একটা হাফ টিকিট বের করে দিলেন। বুড়ো মানুষের হাতে হাফ টিকিট দেখে চেকার তো অবাক! তার প্রশ্ন, ‘কী মশাই, আপনি হাফ টিকিট কেটেছেন কেন? গোঁফ চুল সবই তো পেকে সাদা হয়ে গেছে। আপনি জানেন না চৌদ্দ বছরের বেশি হলে তার ক্ষেত্রে আর হাফ টিকিট চলে না?’ মার্ক টোয়েনের সোজা জবাব, ‘যখন ট্রেনে চড়েছিলাম তখন তো বয়স চৌদ্দই ছিল। কে জানত ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে এত দেরি করবে!’

 

►  সংগ্রহ : সাইফ আহমেদ খান (সিফাত), শিক্ষার্থী, বি এ এফ শাহীন কলেজ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর