বিয়ের আগে
মেয়ে : তুমি হৃত্বিকের মতো চুল রাখবা।
ছেলে : রাখবো।
মেয়ে : তুমি এরকম শার্ট পরবে না। স্টাইলিশ টি-শার্ট, জিন্স পরবা সঙ্গে সু ম্যাচ করে।ছেলে : এসব কেন?
মেয়ে : তোমাকে তখন অনেক হ্যান্ডসাম, ড্যাশিং, ক্র্যাশিং লাগবে।
ছেলে : তাতে কী হবে?
মেয়ে : সব মেয়ে তোমাকে ফোকাস করবে আর আমি শুধু তোমাকে নিয়ে ঘুরবো।
ছেলে : ঠিক আছে।
মেয়ে : তুমি তোমার সানগ্লাসটা বদলে হানি সিংয়ের মতো সানগ্লাস পরবা। হাতে কিন্তু একটা স্টাইলিশ ব্রেসলেট পরবা সব সময়।
বিয়ের পরে
মেয়ে : এইটা কী করেছ?
ছেলে : তোমার পছন্দ মতো হৃত্বিকের মতো চুলের কাটিং দিয়ে এলাম।
মেয়ে : এইটা কী পরেছ?
ছেলে : টি-শার্ট, ম্যাচিং জিন্স, সু।
মেয়ে : টাংকি মারতে যাইবা? যাও, ঢিলাঢালা শার্টটা পরবা। ফরমাল প্যান্ট পরবা। হাতার বোতাম লাগাবা, ভাঁজ করে রাখবে না।
ছেলে : এমন কেন করছ? আচ্ছা, আমার সানগ্লাসটা দাও।
মেয়ে : কি! এই নাও পাওয়ার চশমা। সানগ্লাস পরতে হবে না। হাতে কী দেখি, ব্রেসলেট পরেছ? খুলে ফেল এখুনি। ফুলবাবু সেজে কই যাও শুনি, কার সঙ্গে দেখা করতে যাও?
হায়রে প্রেমের বিয়ে!
লেখা : নিলয় আহসান নিশো