অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়। এ কথাটা মফিজের ক্ষেত্রে কত যে সত্য, তা বলে শেষ করা যাবে না। এমনকি তার সাগর নামের বন্ধুটা পর্যন্ত আজ তার অবন্ধুতে পরিণত। মফিজ কতটা অভাগা তার কিছু প্রমাণ দিই। বাসে পঞ্চাশজন যাত্রী। একজন পকেটমার কারও পকেট মারল। নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন সেটা মফিজের পকেট। বাকি ঊনপঞ্চাশ জনের পকেটে লাখ টাকা থাকলেও ১০০ টাকা থাকা মফিজের পকেটই কাটবে পকেটমার। ঘর থেকে নতুন কাপড় পরে বেরোল মফিজ। কাক বেটাও বসে থাকে সেই কবে মফিজ বেরোবে তার জন্য। দেখে দেখে ঠিক তার কাপড়েই তার প্রাকৃতিক কর্ম সারবে। সেদিন মফিজ বাসের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। পাশে আরও কয়েকজন। একজন সুন্দরী নারীও আছে। আকাশে হালকা হালকা মেঘ। বৃষ্টি নামবে বলে। এই গরমে বৃষ্টি হবে আশীর্বাদ! তাই আবিদ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে, ‘আয় বৃষ্টি আয়। এবারের মতো আয়। আয়, আয়! আজ বৃষ্টি বিলাস করব!’ হঠাৎ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভদ্রলোক এসে মফিজের কলার চেপে লাগিয়ে দিলেন গালে দু’চারটা। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু বুঝতে পারে না। লোকটি চিৎকার করে বলছে, ‘শালা, আমার মেয়েকে নিয়ে পালানো? কয়েকদিন থেকেই দেখছি বেটা আমার বাড়ির চারদিকে ঘুর ঘুর করছে!’ চারপাশে লোকজন ভিড় হয়ে গেল। কিছু বুঝে না উঠেই মফিজ বলল, ‘ভাই ঘটনা কী? আপনার মেয়ে কে?’ লোকটি বলল, ‘আমার মেয়ে বৃষ্টিকে চিনিস না? এইমাত্র না বললি, আয় বৃষ্টি আয়। আজ বৃষ্টি বিলাস করব! কত বড় সাহস তোর!’ মফিজ নিজের লাল টকটকে গাল ঢলতে ঢলতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করল।
-পটিয়া, চট্টগ্রাম