সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফুড ব্লগারের খপ্পরে আলুভর্তা

ফুড ব্লগারের খপ্পরে আলুভর্তা

আজকাল রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে দেখা যায়, সেখানে ফুড আইটেমের চেয়ে ফুড ব্লগারের সংখ্যা বেশি।  তাদেরই একজন রবিউল ইসলাম সুমন করেছেন আলুভর্তার রিভিউ-

> আলুর কালারটা দেখেছেন? কত সুন্দর, তাই না? দেখেই মন ভরে গেল।

> ভর্তার ঘ্রাণটা কি দুর্দান্ত! মনে হচ্ছে, শুধু ঘ্রাণ শুঁকেই দুই প্লেট ভাত খেয়ে ফেলা যাবে।

> ভর্তার আলুটা একেবারে সফট। বাবুর্চি যে অনেকক্ষণ ধরে যত্ন নিয়ে মেখে মেখে ভর্তাটা বানিয়েছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে।

> ভর্তার ভিতরটা অনেক জুসি আর টেন্ডার হয়েছে।

> আহ! আলুটা কি মোলায়েম! মুখে দিতেই কেমন যেন মুখের ভিতর মিলিয়ে যাচ্ছে। একেবারে পারফেক্ট একটা ভর্তা হলে যা হয় আরকি।

> ভর্তার পিঁয়াজগুলো কিন্তু কাটা হয়েছে অনেক মিহি করে। আর তাই মুখে নিয়ে কামড় দিলেই পিঁয়াজের কচকচ একটা শব্দ পাবেন।

> শুকনো মরিচটা অল্প আগুনে, ধীরে ধীরে জ্বাল দিয়ে ভাজা হয়েছে। তাই এত মুচমুচে লাগছে। মুখে নেওয়ার পর যখন মরিচের একটা বিচি আপনার দাঁতের নিচে পড়বে, দেখবেন মরিচের ঘ্রাণে আপনার পুরো মুখ ভর্তি হয়ে গেছে।

> ভর্তাটাতে একদম পিওর সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য একটা ঝাঁজালো ফ্লেভার নাকে এসে লাগছে। ব্যাপারটা কিন্তু খুব জোশের!

> ভর্তায় লবণ কিন্তু একদম পারফেক্ট ছিল। আর আমরা রান্নাঘরে গিয়ে দেখে এসেছি হোটেলের লোকেরা তাদের সব রান্নায় আয়োডিনযুক্ত লবণই ইউজ করে থাকেন। অতএব ভর্তার যে গুণ তা পুরোপুরি অক্ষুণœই থাকছে।

> ভর্তার মাঝে ঝালের জন্য কিছু লাল এবং কিছু কাঁচা অর্থাৎ সবুজ মরিচও ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যাপারটা কিন্তু ইন্টারেস্টিং। খাবারটা দেখেই একদম বাঙালিয়ানা একটা ফিল চলে আসছে।

> ভর্তায় যে ধনেপাতাটা ব্যবহার করা হয়েছে তা একদম ফ্রেশ। মনে হচ্ছে এখনই বাগান থেকে তুলে আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর