ডিশের তার টানার কাজ পেয়েছে সুজন। কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই তার হাত থেকে কাজের যন্ত্রপাতি নিচে পড়ে যায়। গোসল করতে গিয়ে হাত থেকে সাবান পড়ে যায়। আগে কখনো এমন হয়নি। সুজনকে বুদ্ধি দিল তার বন্ধু রফিক। বলল, ওই টিয়া পাখি নিয়ে বসে আছে লোকটা, উনার কাছে যা। উনি পাখিদের কথা বুঝেন। তোর মনের কথা বুঝবে না? তার কাছেই গেল সে। সুজনকে দেখেই লোকটা বলল, ‘তুমি কারেন্টের খাম্বার ওপরে উঠে যে ধরনের কাজ করছ, এটা তোমার সঙ্গে শুট করছে না মানে ঠিক জুতসই হচ্ছে না। সুজন উত্তরে বলল, ‘এর কারণ কী?’ লোকটা বলল, ‘তুমি ইদানীং একজনের প্রেমে পড়েছ সেটা আমি জানি। সেই মানুষটি তোমাকে যতবার মনে করে ততবার তোমার হাত থেকে জিনিসপত্র নিচে পড়ে যায়, বুঝলে?’ সুজন মনে মনে খুব খুশি। যাক আমাকে অনেক ভালোবাসে আমার জানপাখি, আমাকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারে না।

তবুও লোকটার কাছে যখন এসেছি একটা সমাধান চাই। ‘আচ্ছা, এর সমাধান কী?’ জানতে চাইল সুজন। লোকটা বলল, ‘যত তাড়াতাড়ি পার, বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আস তাকে। সব যন্ত্রণা, বিপদ কাটলেও কেটে যেতে পারে।’ সুজন বিদায় নিল। পর দিন এক উঁচু খুঁটিতে কাজ করতে গেল সে। হঠাৎ পা ফসকে নিচে পড়ে, হাত ভেঙে সোজা হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো সুজনকে। এমন সময় ফোন দিল তার প্রেমিকা। ফোন দিয়েই জিজ্ঞেস করল, ‘হায়! সুজন। কেমন আছ? ব্যস্ততার জন্য তোমার খবর নিতে পারছি না।’

লেখক : শহীদুল ইসলাম ফকির, নালিতাবাড়ী, শেরপুর।