► একজন বাস ড্রাইভার আর এক পাইলট বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছিল-
বাস ড্রাইভার : আমি মাঝে মাঝে আমার যাত্রীদের খাটিয়ে নিতে পারি। কিন্তু তুই পারিস না।
পাইলট : কী রকম?
বাস ড্রাইভার : তুই কি মাঝপথে প্লেন থামিয়ে বলতে পারবি, ‘ভাইয়েরা, একটু নামেন, ধাক্কা দিতে হবে?’
► খ্যাতিমান শিল্পী পাবলো পিকাসোর বাড়িতে একদিন এক অতিথি এলেন বেড়াতে। সারা বাড়ি ঘুরে তিনি ভীষণ অবাক। বাড়িতে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু পিকাসোর কোনো চিত্রকর্ম নেই। এত বড় একজন শিল্পীর বাড়িতে তাঁর নিজের আঁকা ছবি থাকবে না, এ কেমন কথা! কৌতূহল দমাতে না পেরে তিনি পিকাসোকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘কী ব্যাপার, বাড়িতে আপনার আঁকা কোনো ছবি নেই কেন?’ পিকাসো দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলেন, ‘আমার এত টাকা কোথায় যে বাড়িতে পিকাসোর ছবি থাকবে? তাঁর ছবিগুলোর যে দাম!’
► বিকাল বেলা ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলেন মফিজ সাহেব। এমন সময় দেখলেন একটি ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ছেলেটির পাশেই দাঁড় করানো আছে একটি সুদৃশ্য সাইকেল।
মফিজ সাহেব : কী ব্যাপার খোকা, কাঁদছ কেন?
খোকা : আজ আমার জন্মদিন।
মফিজ সাহেব : সে তো ভালো কথা! শুভ জন্মদিন!
খোকা : সকালে বাবা আমাকে এই সাইকেলটা উপহার দিয়েছেন। আমি সাইকেল নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছি।
মফিজ সাহেব : বাহ্! খুব সুন্দর তোমার সাইকেল।
খোকা : বাসায় আমার সব বন্ধু বেড়াতে আসছে।
মফিজ সাহেব : ভালো তো, বন্ধুরা নিশ্চয়ই তোমার জন্য অনেক উপহার নিয়ে আসবে।
খোকা : মা আমার জন্য বাসায় কেক নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
মফিজ সাহেব : সবই তো ভালো কথা, তো তুমি কাঁদছ কেন?
খোকা : কিন্তু আমি হারিয়ে গেছি!
► এক মাসে বাসার ফোন বিল অস্বাভাবিকভাবে বেশি এলো। বাসায় জরুরি মিটিং বসল।
বাবা বলল, ‘আমি গত মাসে বাসার ফোনটা একবারও ধরিনি। আমি সব ফোন করেছি অফিসের ফোন থেকে।’
তখন মা এসে বলল, ‘আমিও গত মাসে কোনো ফোন বাসা থেকে করেছি বলে মনে হয় না। আমার অফিসের ফোনটাই আমি ব্যবহার করি।’
একমাত্র ছেলে এসে বলল, ‘আমার তো বাসা থেকে ফোন করার প্রশ্নই আসে না। কোম্পানি আমাকে মোবাইল বিল দেয়। আমি অফিসের সেই মোবাইল ব্যবহার করি।’
এরপর বাসার কাজের মেয়ে এসে বলল, ‘তাহলে তো কোনো সমস্যাই দেখি না। আমরা সবাই যার যার অফিসের ফোন ব্যবহার করি!’
সংগ্রহ : নওরিন আক্তার, ডেমরা, ঢাকা।