কিছুদিন আগে এক তরমুজওয়ালার একটা ডায়ালগ ভাইরাল হয়েছিল, ওই কীরে, ওই কীরে! মধু, মধু। এই যে মধু জিনিসটা, এই মধু জিনিসটা আমরা কারও কারও মুখে আবিষ্কার করছি। মানে আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদের মুখে মধু আর মধু। এই মধু মিশিয়েই তারা মিঠা মিঠা কথা বলে থাকেন। কিন্তু একটু খোঁজখবর নিলেই জানা যায়- এই মধুর আড়ালে আছে তিতা উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গটা নিয়েই কথা হচ্ছিল আমার এক ছোটভাইয়ের সঙ্গে। তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, এই যে মানুষ মুখে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে, এ বিষয়ে তোর মতামত কী? ছোটভাই বলল, আমার কোনো মতামত নেই। যেমন কর্ম, তেমন ফল। আমি বললাম, তোর কথা ঠিক বুঝলাম না। ছোটভাই বলল, না বোঝার কী আছে? যাদের মুখে সবসময় মিষ্টি কথা থাকে, তারা দুই ধরনের পরিণতি ভোগ করবে। তাদের শরীরের আর কোথাও ডায়াবেটিস হোক বা না হোক, মুখে হবেই। আরেকটা পরিণতি হচ্ছে, তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। একটা আতঙ্ক কাজ করবেই। কিসের আতঙ্ক জানেন? পিঁপড়ার আতঙ্ক। মানে তাদের মুখে পিঁপড়া উঠবেই। মিষ্টির প্রতি পিঁপড়ার একটা টান আছে না? ছোটভাইয়ের কথায় আমি খুব বিরক্ত হলাম। বললাম, অপ্রাসঙ্গিক কথা কেন বলিস? ছোটভাই বলল, অপ্রাসঙ্গিক কথা না ভাই, যেটা বাস্তব সেটাই বললাম। ছোটবেলায় আমি একবার মিষ্টি খেয়ে মুখ না ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন পিঁপড়া... আমি এবার ধমক মারলাম। বললাম, এই গাধা, এই মিষ্টি আর মিষ্টি কথা এক জিনিস? এই সামান্য পার্থক্যটাও বুঝিস না? ছোটভাই এবার সিরিয়াস হয়ে গেল। বলল, বুঝি ভাই, বুঝি। সবই বুঝি। আর বুঝি বলেই যারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে, তাদের এড়িয়ে চলি। আমি বললাম, শুধু এড়িয়ে চললে হবে? তাদের মিষ্টি কথা মানুষকে সাময়িক আনন্দ দিলেও এটা যে তাদের জন্য ক্ষতিকর, এ বিষয়টা সবাইকে বোঝাতে হবে না? ছোটভাই বলল, বুঝিয়ে লাভ নেই ভাই। মানুষ বুঝতে তো চায়-ই না, ক্ষেত্রবিশেষে উল্টা বোঝে। ভুল বোঝে। আমি বললাম, কী রকম? ছোটভাই বলল, কী রকম আবার! আমার এলাকার বড়ভাই স্থানীয় নির্বাচনের আগে খুবই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেন। লোভনীয় সব অফার দিতেন। অথচ পাস করার পর তার কথা, কাজে কোনো মিল পেলাম না! আমি এলাকাবাসীকে বললাম, এই লোকের মিষ্টি কথায় ভোলো না। তার কিন্তু মুখে মধু, অন্তরে কদু। যে কদু লাগে না কোনো কাজে। ছোটভাই বলল, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিঠা কথা বলে, লোকজন তাদের ঠিকই চেনে। আর তাদের ব্যাপারে নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে। তাদের ঠেকাতে দুইটা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। প্রথম পদক্ষেপ হাতের কাছে তুলা রাখতে হবে। এসব লোক কথা বলা শুরু করলেই নিজের কানে তুলা গুঁজে দিতে হবে। দ্বিতীয় পদক্ষেপ হচ্ছে, আমাদের মাত্রাতিরিক্তি মিষ্টি খাওয়া কমাতে হবে।
শিরোনাম
- উন্নয়নের নামে প্রতারণা করে ক্ষমতায় ছিল স্বৈরাচারী সরকার : রিজভী
- হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস : ‘এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি’
- নাটোরে সেনা অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার
- ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরান পাঁচদিনের রিমান্ডে
- র্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে ৭ ইসরায়েলি সেনা আটক
- চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে ১৫ দিনের কর্মসূচি
- স্পেনের আদালতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু
- জুলাই বিরোধী শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
- সিরাজগঞ্জে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে হ্যারি ব্রুক
- সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির
- ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে জাকেরের বড় লাফ, শান্ত-লিটনের অবনমন
- খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ শেফালিকা ত্রিপুরার
- ট্রাম্প টাওয়ারে অফিস খুলছে ফিফা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
- দেশজুড়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮৭
- সজল হত্যা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর
- দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৮৭
- বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মিষ্টি মিষ্টি কথা
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
