যখন ঘুমিয়ে যাবো, জানি, শুধুই থাকবে জেগে দীর্ঘশ্বাস।
বাজারের থলে হাতে ত্রস্ত ছুটে যাবে ছায়াসঙ্গিনী আমার।
ছেলের পরীক্ষা ছিল; হই-হট্টগোলে হয়নি খাওয়া তারদীর্ঘ দুটি দিন। মুখ ফুটে বলবে না কিছু। যে গেছে সে গেছে
ঢের বেশি জীবনের খাঁই! অন্ধকার তবু তো উৎপাত নাই
অন্তহীন ক্ষুধা ও তৃষ্ণার।
মেয়েটি বিরক্ত খুব নিজের উপর।
বাবাকে যে কত্তো ভালোবাসে অথচ হয়নি বলা।
এটা কি সময় হলো ডানা গুটাবার!
জরুরি মিটিং আছে ইউএন সদরদপ্তরে।
মিরপুর থেকে ম্যানহ্যাটান এত যে দৌড়ঝাঁপ
সব বৃথা যাবে? এমন সুযোগ কি বারবার আসে
বলো, বিশ্বসভায় নিজেকে প্রমাণের?
‘ভালো থেকো মা আমার।’ নিদ্রার কৃষ্ণবিবর ফুঁড়ে
তখনও উঠবে বলে ব্যাকুল হৃদয়।
শুধু দীর্ঘশ্বাস?
শিশিরের আলিঙ্গনে বেজে চলে যে-নিভৃত ঘাসের সংগীত
ঝরা বকুলের ঘ্রাণে যে-গান ঝংকার তোলে বাতাসের প্রাণে
যে-সংগীত মূর্ত হয়ে আছে ঝরনার জলমগ্ন তিন জোড়া নগ্ন পায়ে
কুমারীর কম্পমান ঠোঁটে ফুটে ওঠে যে-আশ্চর্য গানের গোলাপÑ তার
শেকড়ে শেকড়ে নুড়ি ও পাথরে পাতায়-পল্লবে
সতত উড্ডীন জেনো আমার পতাকা।
মৃত্যুই এ জীবনের শেষ কথা নয়।