কিশোরীর বুকের উত্তাপ দিয়ে বোনা সুগন্ধি রুমাল
কে যেন ছিনিয়ে নিলো পূর্ণিমার রাতে!
দখিনা হাওয়া ছিল, জ্যোত্স্নার মাতাল স্পর্শ ছিলরাতভর বাগানের সমস্ত ফুলেরা নির্ঘুম ছিল, তবু!
রাতজাগা পাখিরাও এতটুকু শব্দও করেনি
সারারাত জেগে থাকা পথের কুকুরটাও
শুয়ে ছিল পরম আরামে ঠেস দিয়ে আলোর কার্ণিশে,
রাস্তার নিয়ন আলোকিত দিনের মতন জ্বলছিল খুব!
তবুও কেমন যেন বিপরীত অট্টহাসি এসে
পৃথিবীজোড়া তাণ্ডবে ছারখার ক’রে দিলো সৌরভের ডালি,
মাধবীলতার বুকে শুঁয়োপোকা হামাগুড়ি দিয়ে কাঁপালো সবুজ;
চতুর্দিকে নীরব নিথর খুব অন্ধকার নেমে এল সবুজবাংলায়!
দুঃখগুলো ভাসে ওই নদীর কল্লোলে...
কষ্টগুলো দোলে ওই ক্রন্দনের রোলে...