শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
গল্প

স্বপ্ন

আফরোজা পারভীন

স্বপ্ন

অলংকরণ : শাকীর

ব্যাপারটা ছোট। কিন্তু সামান্য নয়। রাতে একসঙ্গে মৃত মা আর বড়বোনকে স্বপ্ন দেখল পরাগ। ওরা একযোগে বলছে, ‘তোকে নিতে এসেছি, এত দেরি করছিস কেন, তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নে।’ পরাগের গা ঘামছে। যতটা পারে দ্রুত লাল সুটকেসে কাপড়-চোপড় গোছাচ্ছে। এই সুটকেসটা ওর খুব প্রিয়, অনেক ঘুরে ঘুরে ব্যাংকক থেকে কেনা। সুটকেস গুছিয়ে রওনা দেওয়ার আগেই ঘুম ভেঙে গেল। আর বাকি রাতের জন্য নির্ঘুম করল পরাগকে।

ঘুম ভেঙে ঠায় বিছানায় বসে রইল পরাগ। মা মারা গেছেন ১৬ বছর, বোন সাত মাস। একবারও স্বপ্নে দেখেনি ওদের। কতবার ভেবেছে কেন ওদের একটিবার স্বপ্নে দেখে না, দেখতে বড় মন চায়! কেন ওরা তার স্বপ্নে ধরা দেয় না! অবশেষে দিল। দিল একবারে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

সঙ্গে করে ওরা কোথায় নিয়ে যাবে তাকে? ওরা যেখানে আছে সেখানে! যাকে বলে ‘অনন্তলোক’। কাব্য করে কেউ কেউ বলে ‘না ফেরার দেশ’। সেখানে?

পরাগের ঘাম বাড়ে। বিছানায় বসেই আজান শোনে। একটা, তারপর একটা, তারপর একটা। তারপর শোনে পাখির ডাক। শহরের প্রাণকেন্দ্রে তার এ বাড়ির আশেপাশে দুই-একটা পাখি আছে। তারাই ডাকে। এলার্ম বাজে একবার দুবার। বিছানা ছাড়ার ইঙ্গিত। বিছানা ছাড়ে না পরাগ। ও ভুলে যায়, মেয়ে অফিসে যাবে। ওকে নাশতা দিতে হবে। ঘরে কাজের লোক নেই। জীবনে কখনই দায়িত্বে অবহেলা হয়নি ওর। আজ হলো। মেয়ে ডাইনিং টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার না দেখে নিজের ঘরে ঢুকল। ব্যাগ হাতে বেরিয়ে এসে বলল,

: আম্মু আমি গেলাম।

পরাগ সবই দেখল। নড়েচড়ে বসল। মনে পড়ল খাবার বানানো হয়নি।

: আমি উঠতে পারিনি। খাবার বানাতে পারিনি।

: তাতে কি, অফিসে খেয়ে নেব।

মেয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে বেরিয়ে গেল। মেয়ে খেয়ে গেল না, খাবার পাবে কি পাবে না তা নিয়ে বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়া হলো না পরাগের। ও ঠায় বসে রইল আগের মতোই। বাথরুমে যাওয়ার কথা মনে পড়ল না!

একসময় ও চারদিকে তাকাল। খাট থেকে নেমে ঘরে ঘরে ঘুরল। দেয়ালে স্বামীর সঙ্গে অনেকগুলো ছবি। স্বামী চলে গেছে তাকে ছেড়ে চার বছর। স্বামী তার বড় ভালোবাসার। রোজ তার জন্য কাঁদে। দেখতে বড় মন চায়। মা আর আপার সঙ্গে গেলে স্বামীর সঙ্গেও দেখা হবে। সে কথা ভেবে আনন্দ হলো না পরাগের। ভয় হলো!

ও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল চারদিক, শাড়ি-কাপড়, ফার্নিচার, আলমারিতে আছে কত কত গয়না, ঘরজোড়া দেশ বিদেশ থেকে আনা কত জিনিস, বইপত্র, গাছপালা কতকিছু, কত স্মৃতি। দেখতে দেখতে ও ধপ করে ডাইনিং টেবিলের পাশের চেয়ারে বসে পড়ল। টেবিলের গ্লাসটা খুব সুন্দর। প্রতিদিন নিজ হাতে মোছে। গ্লাসটা অনেক ঘুরে ঘুরে কিনেছিল আর নিজে মিস্ত্রি নিয়ে এসে মাপ মতো কেটে লাগিয়েছিল। পরাগ গ্লাসটার ওপরে হাত বুলাল। আর কী আশ্চর্য চিড় চিড় করে ফেটে গেল গ্লাসটা! পরাগ হাঁ করে তাকিয়ে রইল। তারপর হু হু করে কাঁদতে লাগল।

কতক্ষণ কাঁদল জানে না। কাঁদতে কাঁদতে একসময় মনে হলো খাওয়া হয়নি, বাথরুম হয়নি। ঘরে খাবার নেই। খাবে কি! কৌটো হাতড়ে মুড়ি বের করে দুটো খেল। রান্না করা দরকার। হাত পা কিছুই যেন সরছে না ওর। সব কেমন অর্থহীন মনে হচ্ছে। একসময় মনে হলো, ছেলেমেয়ে এসে কী খাবে। ঠিক করল, ওরা বাইরে থেকে এনে খাবে। এমনটা সাধারণত ঘটে না। টাকা-পয়সা খরচের ব্যাপারে বড় সচেতন পরাগ, বাহুল্য খরচ একদম পছন্দ না।

ও আবার খাটে এসে বসল। গ্লাসটা ফেটে গেল কেন! এটা কীসের ইঙ্গিত। কোনো কারণ নেই, আঘাত লাগেনি তাহলে ফাটবে কেন? অশুভ অশুভ। রাতে যে স্বপ্ন দেখেছে সেটারই আলামত। ও ঘুমানোর চেষ্টা করল। ঘুম এলো না। আচ্ছা ও চলে গেলে কেউ কি কষ্ট পাবে! কে কে কষ্ট পাবে! খুব বেশি মানুষের মুখ ও মনে করতে পারল না। হ্যাঁ পাবে, প্রিয়বন্ধু মাহবুব তো নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পাবে! মাহবুবকে ফোন করে স্বপ্নের কথা খুলে বলল। বলল আর হুহু করে কাঁদতে লাগল। কান্না বাড়ল। পরাগ ভেবেছিল মাহবুব ওকে সান্ত্বনা দেবে, দু’চারটে মিষ্টি কথা বলবে। বিকালে এসে দেখা করার কথা বলবে। বলল না সেসব। খুবই ক্যাজুয়ালভাবে বলল,

: দূর ও কিছু না। আর এটা ভালো স্বপ্ন!

বলেই ঠক করে ফোন রেখে দিল। আপা আর মা তাকে নিতে এসেছে আর মাহবুব বলছে এটা ভালো স্বপ্ন! তার এত কান্না শুনেও! আচ্ছা ও চলে গেলে কিছু মানুষের বুঝি খুব সুবিধা হয়! তার মাঝে মাহবুবও একজন। কেন সুবিধা হবে সেটা নিয়ে ভাবল না পরাগ। দুনিয়ার সব মানুষকে শত্রু মনে হতে লাগল।

 

দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। রাতে ঘুম হয়নি। ও বিছানায় উপুড় হয়ে শুলো। অনেক বিষয়-সম্পত্তি ওর। সবগুলোতে ঝামেলা লেগে আছে। ছেলেমেয়ে মেধাবী। তবে পুরোমাত্রায় অবৈষয়িক। ওরা কিছুই সামলাতে পারবে না। না খেয়ে মরবে। মা-আপার সঙ্গে কবে যেতে হবে কে জানে যেভাবে তাড়া দিল! পরাগের মায়ের সত্তা জেগে উঠল। ছেলেমেয়েকে সবকিছু গুছিয়ে দিয়ে যেতে হবে। সে সময় কি পরাগ পাবে!

আহারে কত প্রিয় ছেলেমেয়ে বন্ধুবান্ধব আত্মজন। সব ছেড়ে যেতে হবে। কতই বা বয়স তার, মাত্র ষাট। এখন তো নব্বই একশ বছর মানুষ বাঁচে। তাকে এখনই ডাকতে হলো! ওরা তো জানে পরাগ চলে গেলে ছেলেমেয়ে দুটো পথে বসবে।

এটা ঠিক আজকাল কাউকেই আর আপন মনে হয় না, সবাই কেমন আত্মমগ্ন, নিষ্ঠুর। তাছাড়া মেজাজও ভালো থাকে না তার। দিন-রাত খাটতে হয়। ছেলেমেয়ে তার কষ্ট বোঝে না। ওদের তো বোঝা উচিত মার শক্তি সামর্থ্যের একটা লিমিটি আছে। ওদের তো কিছু দায়িত্ব নেওয়া উচিত। লেখাপড়া করেছে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। এখন বিয়ে থা করে মাকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। সেসবের নাম নেই। বরং বললেই বড় বড় লেকচার শুনতে হয়, ক্যারিয়ার, নিজের পায়ে দাঁড়ানো এসব। কয় পায়ে দাঁড়াতে চায় ওরা! কতটা দাঁড়ালে দাঁড়ানো হয়! ওসব যুক্তি শুনতে শুনতে অস্থির পরাগ। বিশেষ করে মেয়ের যুক্তি অসহনীয়। ওরা কি পরাগকে গাধা ভাবে নাকি!

এসব ভাবলে মনে হয় মা-আপার সঙ্গে চলে যাওয়াই ভালো। ভাবে কিন্তু মনের সায় পায় না।

ভাবতে ভাবতে ঝিমুনি আসে। তারপর ও দেখে বিশাল একটা নদীর পাড় ধরে হাঁটছে। আর হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছে সীমানার ওপারে। তখনই নদীতে জোয়ার এলো কূল ছাপিয়ে। পরাগ নিজেকে নদীতে ভাসতে দেখল, ও শ্বাস নিতে পারছে না, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরাগ সাঁতরাচ্ছে, হাতড়াচ্ছে কূল। একসময় একটা দোকানের সামনে নিজেকে দেখল পরাগ। দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করল, ঢাকা কতদূর! দোকানদার অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাল। আর তখনই দোকানের পেছন থেকে এগিয়ে এলো আপা।

: এসেছিস, এখানে ঢাকা কোথায় পাবি। আরে এ জায়গাটার একটাই নাম, পরলোক। অবশ্য অনেকে অনন্তলোক, না ফেরার দেশ আর কত কি বলে!

: না না আমি এখানে থাকব না, ঢাকা যাব, ঢাকা।

হুড়মুড় করে বিছানায় ওঠে বসল পরাগ। ঘামে বিছানা ভিজে গেছে। খুব বমি পাচ্ছে। ও বাথরুমে গিয়ে বমি করল। পানিতে ভিজিয়ে দিল শরীরের অর্ধেকটা। পরাগের পানিতে অ্যালার্জি। পারতপক্ষে পানি ছোঁয় না। আজ ওসব নিয়ে ভাবল না। চলে যখন যেতে হবে শরীর নিয়ে ভেবে কী হবে। আপা বার বার আসছে। হাতে একদম সময় নেই।

ভিজে শরীরে ড্রইংরুমে এসি খুলে ঘামতে লাগল পরাগ। মনে ওর ভীষণ তাড়া। স্থির করতে লাগল করণীয়। এই ভাবনার মাঝেই শব্দ পেয়ে জানালার দিকে তাকাল। আস্তে আস্তে থাই গ্লাস সরে সরে খুলে গেল বন্ধ জানালা। কেউ নেই, ঝড় নেই, বাদল নেই, জানালা খুলে গেল। পরাগ হাঁ করে তাকিয়ে রইল জানালাটার দিকে। জানালাটা কাল রাতে ও নিজে লক করেছিল। সেই জানালা খুলে গেল! মানে যাওয়ার সিগন্যাল দিল, ওকে যেতে হবে!

সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল। মেয়ে আসতে আসতে রাত সাড়ে আট, নয়। অদ্ভুত মেয়ে, বাড়িতে গাড়ি থাকতে বাসে চড়ে আসে। পরাগের কথা কানেই নেয় না। সে নাকি স্বনির্ভর হতে চায়। আম জনতার সঙ্গে মিশে থাকতে চায়। পাবলিক বাসে কত মজা, কত রকমের লোক দেখা যায়, কত মানুষ চেনা যায়, গাড়িতে ওসব পাওয়া যায় নাকি! পরাগ দুশ্চিন্তায় ভোগে, গাড়ি নিতে বলে। ওর কথা কানেও নেয় না, ওর দুশ্চিন্তাকে আমলই দেয় না। এসব পরাগের একটুও ভালো লাগে না। ছেলেও একজন, একইরকম। সকালের নাশতা খায় সন্ধ্যা ৬টায়। বললেই ব্যস্ততা ব্যস্ততা আর ব্যস্ততা। কথা বলারই যেন সময় নেই। মা যে সারাটা দিন ওদের সঙ্গে কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে এটা ওদের চিন্তাতেও নেই। পরাগের ধারণা ওর যতটা ব্যস্ততা তার চেয়ে অনেক বেশি শশব্যস্ততা। এদের দিয়ে কি হবে বোঝে না পরাগ। আজকাল ছেলেমেয়ের ওপর খুবই বিরক্ত সে। ওদের তো উচিত দিনশেষে অন্তত একবার হলেও মায়ের খোঁজ নেওয়া। মায়ের শরীর কেমন আছে সেটা দেখা। মায়ের সুযোগ সুবিধার খেয়াল রাখা। সেটা তো দূর অস্ত ছেলেমেয়ের ঘরদোর পর্যন্ত গোছাতে হয় তাকে। গভীর রাত পর্যন্ত ভাত আগলে বসে থাকে। খেয়ে নিয়ে মাকে নিস্তার দেবে সে সময়ও ওদের নেই! একসময় ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুব গর্ব ছিল পরাগের। ওরা পড়াশোনায় ভালো, নম্র, ভদ্র বিনয়ী মাকে জ্বালায় না, অহেতুক চাহিদা নেই আর কী চাই। কিন্তু এখন ওর মনে হয়, ওরা নিজেদের নিয়েই ভাবে, মাকে নিয়ে নয়।

আজকাল তাই ভিতরে ভিতরে গুমরোয় পরাগ। কারণে-অকারণে ছেলেমেয়ের ওপর রেগে যায়, অসন্তোষ প্রকাশ করে। ওর ইচ্ছা করে সব ছেড়েছুড়ে কোথাও চলে যেতে। এত কষ্ট, এত দায়িত্ব, এত আগল এখন আর ওর ভালো লাগে না। একথা সে ছেলেমেয়েকে বলে, চলে যাওয়ার হুমকিও দেয়। তাতে ওদের কোনো বিকার হয় বলে মনে হয় না। সব দেখে ভীষণ হতাশ পরাগ!

ছেলে ঘরে ফিরলে পরাগ ছেলেকে বাইরে থেকে খাবার আনতে বলে। ও অবাক হয়ে তাকায়। মেয়ে ফেরার পর পরাগ দুজনকে ফোনে ডাকে। এটাই এ বাড়িতে সিস্টেম। ওরা আসে ডাকের অনেক সময় পর। পরাগ ওদের বলে, ‘খাওয়ার পরে ঘরে আসিস কথা আছে, দেরি করবি না একটুও।’ বেশ কমান্ডিং ভয়েসে বলে। এমন করে ও সাধারণত কথা বলে না। ওরা কিছু বোঝে। না খেয়েই ওর ঘরে আসে। পরাগ ওদের বসতে বলে। ছেলে দাঁড়িয়ে থাকে। এটাও পরাগের খুব অপছন্দ। সারাদিন তো দৌড়াসই, একটু বসলে অসুবিধা কি!

অন্যদিন দ্বিতীয়বার বসতে বলে। আজ আর বলে না। এরপর পরাগ রাতের স্বপ্ন, দুপুরের স্বপ্ন, গ্লাস ফেটে যাওয়া, জানালা খুলে যাওয়া একে একে বলে। ভেবেছিল না কেঁদে বলবে। ছেলেমেয়ের সামনে সে আবেগ প্রকাশ করতে চায় না। ওদের যখন তার জন্য আবেগ নেই, তখন পরাগ কেন আবেগ প্রকাশ করবে। কিন্তু কেঁদে ফেলে। কাঁদতে কাঁদতে বলে,

: তাই আমি ঠিক করেছি কালই কাগজে বিজ্ঞাপন দেব। বাড়ি, জমিজমা তোরা দেখে রাখতে পারবি না। তোদের যোগ্যতা আমি জানি। সব বিক্রি করে দুজনের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেব। না হলে তোরা না খেয়ে মরবি। আমি তো মারাই যাব। কাজেই এ ব্যবস্থা।

ছেলে এসে মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়ায়। মাথাটা চেপে ধরে বুকের সঙ্গে। আর প্রখর যুক্তিবাদী মেয়ে সোফার ওপর একটানে পা তুলে বসে চোখ মুখ কুঁচকে কাঁদতে কাঁদতে বলে,

: এটা কোনো সমাধান হলো, এটা কি সমাধান হলো। আমাদের মা চলে যাবে আর তুমি কিনা জমিজমা বাড়ির দেওয়ার চিন্তা করছ। ও দিয়ে আমরা কী পাব, কী, মা পাব, মা?

ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে থাকে মেয়ে। পরাগ এবার নিজে নেমে ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে। তিনজন একসঙ্গে কাঁদে আর চোখ মোছে। ছেলে পরাগের হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে ডাইনিং টেবিলের দিকে যেতে যেতে বলে,

: একসঙ্গে তো খাওয়া হয় না, চল আজ একসঙ্গে খাই। সারাদিন একা থাক। কথা বলারও কেউ নেই। বাজে চিন্তা ভর করে থাকে মাথায়। ওসব কিছু না। তুমি হাজার বছর বাঁচবে মা।

মেয়ে তখনো ভ্যা ভ্যা করে কাঁদছে। বলে,

: হ্যাঁ হ্যাঁ, হাজার বছর।

ডাইনিং টেবিলের কাছে গিয়ে অবাক হয়ে পরাগ দেখে, কাচটা একদম ইনট্যাক্ট। ও ‘তোরা বস, আসছি’ বলে ড্রাইনিং রুমের দরজায় দাঁড়ায়। জানালাটা বন্ধ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর