মাঝে-মাঝে ইচ্ছে হয় আত্মহননের স্বাদ নিই। বেঁচে থেকে বেশি সুখ, কী আত্মহননে তৃপ্তি ঢের,
পরখ করি। এ কথা সত্য জানি, মৃত্যু-গহ্বরের
তুহিন শীতল জলে একবার যদি ডুব দিই,আর ফিরব না কোনোদিন। তবু তো মানুষ
হর-হামেশাই বেছে নেয় স্বেচ্ছামৃত্যু, গাল-ভরা
নাম দেয় ‘হারিকিরি’, ‘সুইসাইড’। অথচ তারা
ফিরে এসে বলে না মৃত্যুর রূপ দেখেও চাক্ষুষ!
এ-জীবন কখনো কখনো দুর্বিষহ মনে হয়।
যেন সব ছেড়ে-ছুড়ে চলে গেলে অনন্তে কোথাও
পাবো দূর আকাশের নীলিমায় নিশ্চিন্ত কোথাও
পাবো দূর আকাশের নীলিমায় নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
চিরতরে সংসারের কদর্যতা, ছলনা উধাও
হবে হয়তো সেখানে। তাই এক মুহূর্তের তরে
হলেও আত্মহনন চাই-জ্যোৎস্নায় বা বন্ধ ঘরে।