আমার জলের উচ্চতায়
অবাক মানতো মোগলেরা,
জোয়ারে ছিলো যৌবনজলেতে জ্বলেছে আগুন।
বেপথু বুড়িগঙ্গার সূর্যাস্ত
আজও ক্যামেরাবন্দী হয়,
কবিতাও লেখে কেউ,
আজও বিষণœ সন্ধ্যায়
আমার হৃত যৌবন টানে
তিনদেশী পর্যটক।
এখন আমাকে নিয়ে
নিয়মিত চলে নোংরামি,
টনকে টন গ্যালন গ্যালন
বর্জ্য ফেলো আমার জলে,
ফর্দ মেলো, কি না ফেলো-
কল কারখানার বর্জ্য,
পয়োনালির নোংরা,
ভাঙা ভবন মরা প্রাণী,
হরেক কিসিম নষ্ট ভুতি,
পলিথিনের ছড়াছড়ি,
গোটা শহরের পচা গলা
ছুড়ে দিচ্ছো আমার বুকে,
এসত্ত্বেও গোলামের মত
সুনাগরিকের সেবায় রত,
ধুঁকে ধুঁকে বইছি দায়
মুমূর্ষু স্রোতধারায়।
বিমর্ষ দিন দূষণে ক্লিন্ন
জরাগ্রস্ত আমার জল,
জীবনের চিহ্ন উচ্ছেদের
উৎসব হয়েছে সফল।