শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

মায়া

মাসউদ আহমাদ

মায়া

অলঙ্ককরন শাকীর

দ্বিতীয় বিয়ের পর আতিফ ভাবলো, এবার সে সংসারী হবে।

ঘরে নতুন মানুষ এলে, একই ঘর-বারান্দা ও বিছানা ভাগ করে নিতে অস্বস্তি হওয়ার কথা; তারও হলো। আতিফ চেয়েছিল, দ্বিতীয়পর্বের জীবনটা যেন নির্ঝঞ্ঝাট হয়। তাই সে সংসারে মন সংযুক্ত করতে প্রগাঢ়ভাবে ঝুঁকে পড়ে।

কিন্তু নিয়তি এই যে, অভ্যস্ত জীবনের বাইরে গেলে মানুষের হাঁসফাঁস লাগে। অন্য কোথাও মন ছুটে যায়। আতিফেরও তেমন হয়। সে ভাবে, এভাবে হয় না। বাদ দেই। কিন্তু পারে না।

দ্বিতীয় বউয়ের সঙ্গে শরীর ও মনের দূরত্ব বেশি না হলেও বোঝাপড়াটা কম। বিয়ের রাতেই আতিফ টের পায়, দ্বিতীয় বউয়ের গোপন সম্পর্ক আছে। বউটা একা একা কথা বলে। হাসে। আতিফ কাছাকাছি যেতেই কথা ও হাসি থেমে যায়।

বিয়ের রং ও রেখা মৃদু হয়ে এলে যে সত্যটা বেরিয়ে আসে, তাতে বিড়ম্বনার বদলে এক ধরনের কৌতূহল জেগে থাকে। বউকে ঘিরে অমূলক সন্দেহ বা রহস্যটা অন্যদিকে টার্ন করে। কোনো সম্পর্ক নয়, নতুন বউ নিজের মনে একা একা কথা বলে; শব্দ করে নয়, তবে ফিসফাসের চেয়ে একটু উপরে।

প্রথম বিয়েটা কেন টিকলো না, এখন আর আতিফ মনে করতে চায় না।

প্রথম বউয়ের সঙ্গে প্রেমটা ফুরিয়ে গিয়েছিল; আতিফের মনে হয়। বোঝাপড়া, মায়া কিংবা নৈকট্যের সুতো আলগা হয়ে গিয়েছিল। দেয়ালে গাম বা আইকা দিয়ে লাগানো ছবি ও নোটিস বোর্ড খুলে গেলে যেমন দলছুট হয়ে খসে পড়ে, তেমন। প্রথম বউকে মনেও পড়ে না তার।

দ্বিতীয় বউটা শান্ত। নির্ঝঞ্ঝাট ও উপকারী। বউ কখনো উপকারী হয়? নিজের মনেই হাসে আতিফ। হাসি তার হঠাৎই পায়। চাকরির বাইরে সে আর একটি কাজ করে, হাসির কবিতা লেখে। পত্রিকায় সেসব কবিতা খুব যে ছাপাটাপা হয়, এমন নয়। লিখে সে রেখে দেয়। কখনো নিজেই পড়ে। কাটাকুটি করে। উপকারী বউটা রাগ করে না। অভিযোগও করে না। রাত করে বাড়ি ফিরলে, কোনো ভুল কাজ করলে, সময়মতো সংসারের বাজারটা করা হয়নি... দ্বিতীয় বউ রাগ করে না। আতিফ ফোনে কার সঙ্গে কথা বলে, আঁড়ি পাতে না। তারও ফেসবুক আছে; আগের পক্ষের পাঁচ বছরের একটা মেয়ে আছে, তার ছবি দেয়। জগতের নানা কিছুতে তার সে নিষ্পৃহ। বড়বোনের মতো, কখনো সে অভিভাবকের ভূমিকা নেয়। বউটা বয়সে বড়, এমনও নয়। এক আশ্চর্য সরল গতিতে চলছে সংসারটা। আতিফ বেশ আছে আজকাল। জীবন বড় মধুময়; অনুভব করে সে।

প্রথম পক্ষের সঙ্গে কেন ডিভোর্স হয়েছে? বউটা কখনো জানতে চায়নি। আতিফও তার আগের পক্ষ নিয়ে কৌতূহল দেখায়নি।

দ্বিতীয় বউ চাকরি করে। কিন্তু খুব সংসারী। বাইরে থেকে তার সবকিছু আন্দাজ করতে পারে না আতিফ। দরকারি মুহূর্তে ঠিক কাজ ও উপলক্ষটি সে তৈরি করে ফেলে।

বাসায় ফিরছে আতিফ। বিকেল ফুরিয়ে গেছে, কিন্তু ভ্যাপসা গরমটা যায়নি।

সকালে, বেরোনোর মুখে দ্বিতীয় বউ বলেছিল, ফেরার সময় সংসারের জন্য কিছু সদাই আনতে। কাগজে জিনিসগুলোর নামও লিখে দিয়েছিল, এখন কাগজটা খুঁজে পায় না। তা না পাওয়া গেল, জিনিসগুলোর নাম তো মনে পড়বে। মনে পড়ছে না।

‘ধুর, আমি কি বুড়ো হয়ে গেলাম’? নিজেকেই শুধায় আতিফ। ঠোঁট ও চিবুক কুঁচকে সে একবার রাস্তার ওপারে চোখ রাখে। তখন, জুন মাসের তীব্র গরমের ভিতরেও অন্তর্গত চোখে সে টের পায়, কেউ একজন তার ওপর নজর রাখছে। রিকশা ভাড়া মিটিয়ে সে কিছুক্ষণ দাঁড়ায়, মুঠোফোনে সময় দেখে; এরপর তেরচা-চোখে ডানে বাঁয়ে তাকায়। সন্দেহ করার মতো অনুসন্ধিৎসু কোনো চোখ সে খুঁজে পায় না।

কিন্তু লোকটা কে হতে পারে? পুলিশ? গোয়েন্দা? নাকি পকেটমার? আতিফের ভারি অস্বস্তি বোধ করে। সে বাসার গলিতে ঢুকে পড়ে।

কিন্তু সংসারের দরকারি জিনিসপত্র?

সে বউকে ফোন করে।

না, কল যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ।

কলিংবেল বাজাতেই হাসিমুখে দরজা খুলে দেয় দ্বিতীয় বউ।

আতিফ অপরাধী মুখ করে বলে, তুমি যে একটা লিস্ট দিয়েছিলে কী সব আনতে, একদম ভুলে গেছি। আসলে কাগজটা হারিয়ে গেছে।

বউটা সারামুখে এমন ¯িœগ্ধ ভঙ্গি করে হেসে দেয়, আতিফের ইচ্ছে হয় বউকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু সে তা করে না। পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢোকে।

বউ বলল, আজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। কাল নিয়ে এসো।

বউটা এমন। আতিফ নির্ভরশীল হয়ে ওঠে দিনে দিনে।

কাপড় ছেড়ে আতিফ ফ্রেশ হয়। মুখটুখ ধুয়ে বারান্দায় যায়। বারান্দার ওপাশে বড় কোনো বিল্ডিং নেই। মৃদু বাতাস বয়ে আসে। তার শরীরটা আরাম বোধ করে। বউয়ের পাঁচ বছরের মেয়েটা উঁকি দিয়ে চলে গেলে সে সিগারেট ধরায়। 

ঘুমের ভেতর কিছু সমস্যা হয় আতিফের। রাতবিরেতে দড়াম শব্দে দরজা খুলে বেরিয়ে যায়। অস্পষ্ট ও জড়ানো ভাষায় কথা বলে। এটা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়তো কোনো নাম ধরে বিড়বিড় করে কথা বলে।

কেন এমন হয়?

একদিন নরম গলায় বউটা বলল, এই, তোমাকে একটা কথা বলব?

আতিফ বই পড়ছিল। চোখ তুলে বলল, হুম, বলো।

না, থাক। তুমি রাগ করতে পার।

আতিফ বই রেখে উঠে আসে। বউয়ের শরীরঘেঁষে দাঁড়ায়। বউয়ের একটা হাত নিজের হাতে নিয়ে বলে, রাগ করব না। বলো।

নীতু মেয়েটা কে?

আতিফ অবাক; কোন নীতু?

লতিফা ফাঁকা দৃষ্টি ছুঁড়ে দেয়। বলে, তা তো জানি না।

কোথায় পেলে নীতুকে?

দ্বিতীয় বউ হাত কচলে মুখ নিচু করে। বলে, তুমি ঘুমের ভেতরে কথা বলো। তখন, নীতুকে কী যেন বলো তুমি।

আমি সত্যি জানি না।

আতিফের কথা বলায় বউ হেসে দেয়। নিজের মাথাটা আতিফের বুকে এলিয়ে দিয়ে বলে, আমার না ভয় করে জানো। কী হলো তোমার...

একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার।

বউকে ডাক্তারের কাছে যাবে বলে বলে ঠিকই, কিন্তু মনের ভেতর প্রশ্ন রয়ে যায়-কেন এমন হয়?

সকালে অফিসে বেরুচ্ছে আতিফ। জামা-কাপড় পরে তৈরি হচ্ছে, খবর এলো-ছোটকাকার সদ্য বিবাহিত মেয়েটা মারা গেছে।

কয়েক মুহূর্ত সে কথা বলতে পারে না। মাস ছয়েক আগে বিয়ে হলো, এরমধ্যে মেয়েটা মারা যাবে কেন?

গ্রামের বাড়িতে যাবে যাবে করেও আতিফের যাওয়া হয় না। অফিসে এসে মনটা অস্থির হয়ে থাকল সারা দিন।

বিয়ের পর চাচাতো বোন কি পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিল? স্বামী তাকে খুন করেছে? নাহ, ভাবতে পারে না আতিফ। মাথাটা বড় কটকট করছে, যেন ছিঁড়ে যাবে।

এরমধ্যে কয়েকদিন কেটে যায়।

বউয়ের মেয়েটার খুব জ্বর। হঠাৎই। বউ অফিস থেকে দুদিন ছুটি নিয়েছে। আতিফ গলির মোড়ের ডাক্তার ডেকে এনেছিল। মেয়েকে যে বউ বড় ভালোবাসে, অসুখের পরে আতিফ বুঝতে পারে।

শুক্রবার রাতের ট্রেনে আতিফ গ্রামের বাড়িতে এসেছে, বহুদিন পর। মা-বাবা, বিশেষ করে ছোটবোনেরা তাকে পেয়ে খুব খুশি হয়। বাড়িতে ভালো রান্না হয়।

দুপুরের মুখে কড়া করে ঝড়বৃষ্টি নমলো। সন্ধ্যার পর ঝড়বৃষ্টি নেই, তবে কালো অন্ধকার চারপাশে।

মোড়ের দোকানে অন্ধকারে বসে আছে আতিফ। ঢাকায় সংসারে অশান্তি; না, অশান্তি ঠিক নয়, অস্বস্তি। বাড়িতে এমন অকাজে বসে থাকা। কী করা যায়?

...ভাবছে সে। আতিফের প্যান্টের পকেটে আলো জ্বলে ওঠে। কেউ তাকে ফোন করছে। নিঃশব্দ মুডে রাখায় শব্দ হয় না। আতিফ না দেখার ভান করে লাজু চাচার কথা শোনে।

কিছুক্ষণ পর ফোনটা আবারও বেজে ওঠে।

ফোনটা বের করতেই দেখে, ছোটবোন।

আতিফ কেটে দিয়ে ব্যাক করে।

ভাইয়া, তুমি কোথায়?

এই তো আছি। কেন রে?

সবার ভীষণ খিদে পেয়েছে। তোমাকে খুঁজছে।

তোর ক্ষুধা পায়নি?

মিমি কথা না বলে মিষ্টি করে হাসে।

আতিফ বুঝুতে পারে, সে বাড়িতে গেলে মিমি তার সঙ্গে খাবে। কথাটা সরাসরি বলে না, বাড়ির সবার ক্ষুধা পেয়েছে বলে।

ছোটবেলায়, মিমি যখন প্রাইমারিতে পড়ত, তখনো সে এমন ছিল। খেতে বসেছে একসঙ্গে। সে হয়তো পানি খাবে। মা বসে খাওয়াচ্ছে। মিমি বলত, মা, দাদাকে একটু পানি খেতে বলো না, প্লিজ।

তার মানে সে পানি খাবে, কথাটা বলতে পারছে না।

মিমি কলেজে পড়ছে এখন। বড় হয়েছে, কিন্তু সরলতাটুকু রয়ে গেছে।   

আতিফ বলল, শুধু বাড়ির সবার, তোর খিদে পায়নি তো?

মিমি আর কথা বাড়ায় না। বলে, না, না, আমারও খুব ক্ষিদে পেয়েছে। তুমি জলদি এসো বাপু।

আতিফ হাঁটতে শুরু করে। কয়েক পা এগুতেই তেড়ে বৃষ্টি নামে। শরীর ভিজে সপসপে হয়ে যায়।

বাড়ির সামনে প্রায় এসে গেছে আতিফ। বৃষ্টিটা কমে আসে। তখন, সে দেখে, একটা কমবয়সী মেয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পাশ কাটিয়ে যেতেই মেয়েটা কথা বলে ওঠে।

আতিফ দাঁড়িয়ে যায়।

মেয়েটা সরে আসে। আতিফ চোখ গোল করে তাকায়, দেখে, সামনে তার চাচাতো বোন সীমু দাঁড়িয়ে।

আতিফ হকচকিয়ে যায়। সহজ হওয়ার চেষ্টা করে।

সীমু মিষ্টি করে হাসে। প্রায় ফিসফিস করে বলে, লতিফা।

লতিফা? আতিফ আকাশ থেকে পড়ে।

তোমার নতুন বউ।

আতিফ বিষম খায়। দ্বিতীয় বিয়ের কথা সে কাউকে বলেনি। সীমু জানলো কীভাবে?

সীমু বলে, মেয়েটা ভালো। ওকে কষ্ট দিও না।

আতিফের শরীর কেঁপে ওঠে। সে কখনো ভূত বা প্রেতাত্মা দেখেনি। ওসবে তার একবিন্দু বিশ্বাস ছিল না কখনো, এখনো নেই। তবুও, সে ভূত দেখার পর মানুষ যেভাবে দিশাহারা বোধ করে, গলা শুকিয়ে আসে, বুকের ভিতরে ধড়াস করে ওঠে; তেমন তীব্র অনভূতি টের পায়।

কথা বলছ না কেন, ছোটভাইয়া?

আতিফ চোখ কচলায়। টিনের চালের বাটামের সঙ্গে যে বৈদ্যুতিক বাল্ব আছে, সেই আলোয় দেখে সীমুকে। অবিকল সীমুই দাঁড়িয়ে আছে। সেই চোখ-মুখ-নাক। গলার স্বরও এতটুকু এদিক ওদিক নয়।

রাগ করেছ, ভাইয়া? সীমু বলে।

আতিফ আচমকা ভয়ার্ত গলায় চিৎকার করে ওঠে, মা...

ভাইয়া মনে হয় এসেছে, বলে ঘরের বাইরে ছুটে আসে মিমি।

এরপর কী হয়, আতিফ বুঝে উঠতে পারে না। সিনেমার শেষ দৃশ্যে গুলি খাওয়া ভিলেনের মতো দুলতে দুলতে সে ঢলে পড়ে। তাকায় না। কথা বলে না। সাড়াও দেয় না।

কুড়ি মিনিট পর, মা মুখের ওপর ঝুঁকে আসেন-তোমার কী হয়েছিল বাবা?

আতিফ ফ্যালফ্যাল করে তাকায়।

বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, দেখি, দেখি, সবাই সরো তো। এই মিমি, ওকে একটু বাতাস কর।

সকালে বেলা করে ঘুম ভাঙে আতিফের।

ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে সে কলতলায় যায়। ছেলেকে দেখে মা বললেন, উঠেছিস, বাবা? কী ভয়টা যে পেয়েছিলাম রাতে।

আতিফ কপাল কুচকে তাকায়, কিসের ভয়, মা?

রাতে তুই যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলি? মনে নেই?

আতিফ বোকা চোখে তাকিয়ে থাকে।

মা বলে, আচ্ছা থাক। তুই বারান্দায় গিয়ে পাটিতে বোস। আমি নাশতা দিচ্ছি।

টিউবলের পানিটা কুসুম গরম। মুখে পানির ঝাপটা দিতেই রাতের ঘুমের ক্লান্তিটা সরে যায়। কিন্তু মুখ ধুতে ধুতেই আতিফের খটকা লাগে, রাতে কী ঘটেছিল? জ্ঞান হারানোর কথাই বা আসছে কেন?

গামছায় মুখে সে বারান্দায় যায়। নাশতা খেতে বসে।

পাশের ঘর থেকে মিমি চেঁচিয়ে বলে, ভাইয়া তোমার ফোন বাজছে। লতিফা ইজ কলিং...

আতিফ সবার অলক্ষে জিভে কামড় দেয়, লতিফার কথা কি সবাই জেনে গেল?

মা চালের আটার রুটি আর দেশি মুরগির মাংস সামনে এনে রাখে-খা বাবা, আমি চায়ের পানি বসাই।

খেতে খেতে বউকে সে টেক্সট পাঠায়-‘আমাকে তোমার অসহ্য লাগে না? অসহিষ্ণু ও উন্মাদ একটা লোক। তোমার টায়ার্ড লাগে না? এমন অস্বাভাবিক একজন মানুষ, তার নিত্য পাগলামি...’

কোনো উত্তর আসে না।

নাশতা শেষ করে চায়ের মগ নিয়ে সে বসার ঘরে যায়।

বউয়ের ফোন আসে-তুমি কবে আসবে সোনা? আমার খুব একা লাগছে।

আতিফ অবাক, কী বলো? একা লাগবে কেন? তোমার বাবুটা আছে না?

তোমাকে না পাওয়ার বিরহ কি বাবুকে দিয়ে ভরে, বলো?

দ্বিতীয় বউ এমন মাধুরী মিশিয়ে কথা বলতে পারে, প্রথম খেয়াল করে আতিফ।

টিনের চালে ঝমঝম শব্দ হয়। বাইরে কি বৃষ্টি নামলো? কটা বাজে এখন?

সময় ও বৃষ্টির কথা ভুলে গিয়ে আতিফ চায়ের মগ হাতে স্ট্যাচুর মতো বসে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর