শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জীবন্মৃত এক জরায়ুর আর্তনাদ

মিনার মনসুর

ঘোড়াটি ঘামছিল। ভাদ্রের চাবুক-যদিও দৃশ্যমান নয় তার তীব্র দংশন, তবু তার ক্ষত থেকে অবিরল ঝরে পড়া রক্তস্রোত তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল কুরুক্ষেত্রের ভয়াল স্মৃতি। এখানেই যতিচিহ্ন টানা গেলে একটি গতি হলেও হতে পারতো ত্রিশঙ্কু বাবুর! হয়তো এ যাত্রা বেঁচে যেতেন জীবনানন্দ দাশ।

মুশকিল হলো তোমার রহস্যময় সাদা শাড়ি। ১০টি আঙ্গুলের অলৌকিক সম্মোহন-যারা বাউ-ুলে মেঘের রুক্ষ চুলে শিশিরের আলপনা আঁকে আর ধামরাইয়ের ইটভাটায় পুড়তে থাকা ভাদ্রের দগ্ধ শরীরে ছিটিয়ে দেয় গঙ্গাজল। কোন কৈলাস থেকে তুমি আসো সে কেবল তুমিই জানো। তুমি ছুঁয়ে দাও বলে বিশল্যকরণীর মতো ঘোড়াটির বিক্ষত শরীরজুড়ে শিউলির শুশ্রুষা ঝরে পড়ে।

হিমের আদরে গদগদ ঘোড়াটি ভাবে : বেঁচে থাকা নেহাতই মন্দ নয়। তবে মায়ের হাতে বোনা একটি নকশিকাঁথা হলে মৌতাতটা জমতো ভালো! ঠিক তখনই লালনের আখড়া ছাপিয়ে কুঠিবাড়ির হৃদয় বিদীর্ণ করে সাঁইরেনের মতো বেজে ওঠে জীবন্মৃত এক জরায়ুর আর্তনাদ। বাজতেই থাকে।

সর্বশেষ খবর