শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মেঘলা সিরিজ-১২

পুলিন রায়

আধুনিক স্থাপত্য। নয়নাভিরাম ভবন।

চারতলা? নিপাট সাজানো ঘরদোর।

তৈজসপত্র।  এবং

অপরূপ নকশা করা মেঘলার শরীর।

জানালায় রোদ বা হয় জোছনারা বসে। হাসে।

আর বসে মেঘলার কাঁধে।

চুলের ডগায়। খিলখিল হাসির ফুল্লরায়।

মেঘলা চারতলায় থাকে। একা।

ভুল বললাম, ঠিক একা নয়।

মা, বোন আসে মাঝে মধ্যে। ভাইও।

আর আমি? যাই। প্রতিদিন। অলক্ষে।

মেঘলা ঘরে ফিরলে। ছায়াহীন কায়া হয়ে।

মেঘলার শরীর দুধে আলতা। ফর্সা।

চিপচিপে গড়ন। মায়াবী।

মেঘলা উদোম হয়। আমি চেয়ে দেখি নির্নিমেষ। প্রাণভরে। আনন্দে। সাথী হয় ভরা পূর্ণিমা কিংবা রোদ।

না হয় বৃষ্টির রিমঝিম।

আজ ছিল শ্রাবণবৃষ্টি। মেঘলা জানলো না। কতটা সৌন্দর্য করেছি লুট। কিছু নেয় বৃষ্টি। কিছু পাঠাই চাঁদের ঠিকানায়। কিছু রাখি বুক পকেটে।

অলক্ষেই চলুক প্রণয়।

মেঘলা নাই বা জানলো, আমার গোপন অভিসার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর