শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
গল্প

বেসর্মিন্দা

সিফাত উদ্দিন

বেসর্মিন্দা

ট্রেনিং সেন্টার! একে ট্রেনিং সেন্টার বলাও ঠিক না। ব্যস্ত মেট্রোপলিটন শহরের মাঝে বেখাপ্পা একটা জায়গা। চারপাশ ঘিরে থাকা উঁচু দালান শপিংমল হুমড়ি খেয়ে পড়ার তালে আছে যেন। এই ছোট্ট একখানা জায়গার মধ্যে আবার দুইটা ঢাউস বিল্ডিং। একাডেমিক বিল্ডিংটার পাশে মান বাঁচানোর মতো একটা টেনিস গ্রাউন্ড। পশ্চিম কোণে জোড়াতালির বাস্কেটবল কোট। আর ঢুকতেই নামকাওয়াস্তের একটা মাঠ। চারজনে মিলে কিছু খেললে তাতে চল্লিশজন দর্শক মিলে যায়। এদের অধিকাংশই আবার দর্শক থেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে খেলা দেখাবার সুযোগ সন্ধানে থাকে। ‘শ-এর ওপর ট্রেইনিরা কেউ খেলছে, কেউ খেলা দেখছে, কেউ দৌড়াচ্ছে আবার কেউ বসে বসে কিশোরকালে দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প দিচ্ছে। এরকমই এক ট্রেনিং সেন্টারে গ্রীষ্মের এক বিকালে শহুরে রোদের তেজ, ভ্যাপসা গরম আর গমগমে ভিড় ঠেলে ছোট্ট মাঠের ধার ঘেঁষে ধীরে ধীরে জগিং করছে ইরতিজা। বিকাল হলেই মাঠে-কোটে সব জায়গায়ই গেমস প্র্যাক্টিসের আয়োজন চলতে থাকে। এই প্র্যাক্টিস কোনো স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে লড়াইয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নয়। কেবল একটু গা গরম করে শরীর ও মন চাঙ্গা রাখার প্রয়াস মাত্র। কিন্তু এই প্রয়াসে কেউ শামিল হয়, কেউ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সন্ধানে থাকেন, আবার কেউ কেউ আগ্রহের আতিসহ্যে তারুণ্যের লিটমাস টেস্টে ঝাঁপ দেন। অতি লম্ফঝম্পে কেউ কেউ আট আনা বার্ধক্যের ষোল আনা হিসাব বুঝে গিয়ে দুই বগলের নিচে দুটো স্ক্র্যাচার জুটিয়ে সাত দিন বেড রেস্টে থাকেন। সেন্টারের ট্রেইনাররাও একটু ঢিমেতালে ট্রেনিং চালাচ্ছেন। মিনিটপাঁচেক ব্যায়াম করিয়ে মিনিটতিরিশেক খুচরো আলাপ করেন। খুচরো পয়সা যেমন পকেট আর মানিব্যাগের এক কোনায় পড়ে পড়ে জং ধরে আর কালেভদ্রে রিকশা ভাড়া কিংবা একটা সিগ্রেট কেনার জন্য দরকারি শেষ এক দুই টাকার খোরাক জোগায়, এ আলাপের ঠিক ততটুকু মেরিটও নেই। খুচরো এই আলাপে যারা খুচরো পয়সা সমআগ্রহও খুঁজে পায় না, তারা আবার রাখালবিহীন গরুর পালের মতো এদিক ওদিক ঢুুঁ মারে। এই দৌড়টা শুরু করার আগ পর্যন্ত বেঞ্চে বসে বসে খুচরো আলাপের হর্তাকর্তাদের খানিক পর্যবেক্ষণ করছিল ইরতিজা। নিত্যদিন এদের দেখে দেখে চোখে জ্বালা ধরে গেছে তার। তাই এদের মনে মনে শূলে চড়িয়ে শান্তি লাভ করে সে।

বুড়ো বয়সে এসে ট্রেনিং করতে হচ্ছে। ইরতিজা চেয়েছিল ট্রেনিং না করেই চাকরিটা কোনোরকম পার করে দেবে। কিন্তু হলো না। তার সহকর্মীরা বারবার বলেছিল যখন, তখন সে পাত্তা দেয়নি। এখন নতুন সার্কুলার দিয়েছে অফিস থেকে। জানা গেল এই ট্রেনিং না করলে নেক্সট ইনক্রিমেন্ট বা প্রমোশন কিছুই হবে না। অগত্যা এই বয়সে অপরিচিতদের মাঝে অনেকটা একা একা ট্রেনিং করতে হচ্ছে তাকে। প্রথমে গুটি গুটি পায়ে হাঁটলেও এখন ধীরে ধীরে জগিং করতে শুরু করেছে সে। গায়ে সাদা গেঞ্জি আর সাদা রংয়ের ট্রাউজার। পায়ে এক জোড়া সাদা জুতা। বিকালে গেমস টাইমে এটাই ইউনিফরম। প্রতিদিন বিকালে এভাবেই চারদিকে বাহ্যিক সফেদ মানুষগুলোর আড়ং বসে। আর চারপাশের ঘিরে থাকা বিল্ডিংয়ের জানালা-বারান্দা দিয়ে এসব বিরস শারীরিক কসরত দেখার জন্য ভিড় লেগে যায়। আহা! এক টুকরো টেনিস গ্রাউন্ড, সবুজ ঘাসে ছাওয়া এক ফালি মাঠের জন্য সে কী চাতক চাহনি। ট্রেনিং সেন্টারের খেলায় তারা ঘরে বসেই হাততালি দেয়। এ যেন স্টেডিয়ামের গ্যালারি!

আস্তে আস্তে দৌড়ের গতি বাড়াতে থাকে ইরতিজা। মাঝে মাঝে হাঁপরের জোরটা বোঝার চেষ্টা করে। গত দুই মাস ধরে এই একটা অভ্যাস ধরে রাখার চেষ্টা করছে সে। ট্রেনিংটা যাচ্ছেতাই হোক কিন্তু এ সুযোগে শরীরের ফিটনেসটা যুৎসই করে নেওয়া যাক। ভোরে পিটি থাকলেও তখন ঠিক ঘুম জড়ানো আয়েশি শরীরে কিছু করতে ভালো লাগে না ইরতিজার। দুই-একদিন সময়মতো পিটিতে হাজিরও হতে পারেনি সে। এই তো সেদিন পিটিতে দেরি হলো বলে ক্লাসের সেশনে শোকজ লেটার ধরিয়ে দিল ক্লাস এটেন্ডেন্ট মোখলেস। ট্রেনিং সেন্টারে এর একটা ভালো নাম আছে-লাভ লেটার। গত দুই মাসে প্রায় দুটো লাভ লেটার জমিয়েছে ইরতিজা। আর একটা হলে নাকি ট্রেনিং থেকেই বের করে দেবে। তাই শেষ মাসটা খুব হিসাব কষে চলছে ও। মোখলেসের কথা মনে পড়লেই হাসি পায়। নেমপ্লেটে তার ইংরেজি অক্ষরে লেখা নামের নিচে বাংলায় লেখা শরীয়তপুরটা কখনো ভুলতে পারবে বলে মনে হয় না। হাসি হাসি মুখ নিয়ে বৈষয়িক বিষয়ে মনের গোপন বাসনা বলে ফেলতে কসুর করত না মোখলেস। ট্রেনিং শেষ হলেও ট্রেনিং সেন্টারের এরকম দুই-একটা কেরেক্টার ভোলা যাবে না। দৌড়াতে দৌড়াতে মাথায় এরকম নানা ঘটনা ঘুরপাক খায় ইরতিজার। তাতে মোটামুটি চার ল্যাপ দেওয়া হয়ে যায়। এই প্রায় আয়তাকার মাঠটা দশবার ঘুরলে মোটামুটি পাঁচ কিলোমিটারের মতো জগিং হয়। আর শেষ ল্যাপটা যখন দিতে যায় তখন একেবারে কিশোর বয়সের মতো ভোঁ দৌড় দিতে চেষ্টা করে ইরতিজা। দৌড়ও দেয়! কিন্তু অর্ধেক মাঠ পেরুতেই হাঁপিয়ে ওঠে। চালশের একটা টান পড়ে যেন বুকে।

এই পাঁচ কিলো দৌড়াতে সময় লাগে এক ঘণ্টা এদিক-সেদিক। শেষ ল্যাপ দিয়ে ক্যাফেটোরিয়ার দিকে ফিরতে গেলে আজ পেছন থেকে একটা ডাক পড়ল। নারী কণ্ঠের ডাক। স্পর্শিয়া। ইরতিজাদের কলিগ। একসঙ্গেই ট্রেনিং করছে। ইরতিজার মুখোমুখি হতেই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল- কী ইরতিজা ভাই? কত কিলো?

এই তো? হালকা একটু দৌড়াচ্ছিলাম আর কী!

হালকা না ছাই! প্রতিদিনই দেখি ভালোই দৌড়াচ্ছেন!

স্পর্শিয়ার দৌড় থামে না। ইরতিজাকে পেরিয়ে গার্ডারে বাঁধা লম্বা চুল দুলিয়ে দুলিয়ে চলে যায় সে। আর তাই দেখতে দেখতে মাঠের পাশে সিমেন্ট পাথরের বেঞ্চে বসে পড়ল ইরতিজা। একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য। ভাবল ‘আরেকটু পরেই যাওয়া যাক। বিকালের স্ন্যাক্স তো সেই একই রকম ছোলা-মুড়ি-চা আর না হয় সেমাই-মুড়ি-চা’। স্পর্শিয়ার দিকে পেছন থেকে অনেকটা আনমনেই স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকল। মুহূর্তেই চোখ সরিয়ে আনল। ‘শিট! অন্যরা কী ভাববে? এভাবে একজন নারী সহকর্মীকে ফলো করছি।’ স্বগত ভাবতে ভাবতে চারদিকটা দেখে নিল। নিজেকে এ অবস্থায় কেউ আবিষ্কার করে ফেলল না তো! ইরতিজার ভাগ্য ভালো যে, ট্রেনিং গ্রাউন্ডে সবাই যে যার ক্রীড়ামোদ ফলাতে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু হঠাৎ তার মনে হলো পুরো প্রিমিজের বাইরে থেকে কেউ তার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ট্রেনিং সেন্টারের বাউন্ডারির লাগোয়া একটা মার্কেটের তিনতলা থেকে। সে যেখানটায় বসে আছে ঠিক তার অপজিটে একশ গজ কৌণিক দূরত্বে একজন তরুণী দাঁড়িয়ে আছে। চোখের চশমাটা আরেকটু ভালোভাবে নাকে চেপে দেখে নিল সে। বিকালের পড়ন্ত আলোয় যতটুকু দেখা গেল তাতে সে নিশ্চিত যে, মুখটা ঠিক তার বরাবরই। রেডিমেড গার্মেন্টের একটি ব্র্যান্ড শপের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে তরুণী। ইরতিজা যে তাকাল তাতে তরুণীর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই! ‘এ তো দেখি বেসর্মিন্দা নারী’। মনে মনে খুব বিরক্ত হলো ইরতিজা। ‘মেয়েদের মধ্যে যদি একটু ভারিক্কি ভাব না থাকে তাহলে কি মানায়? হেংলামি জিনিসটা ছেলেদের জন্য।’ দূর থেকে তরুণীর শরীরের কাঠামো দেখে যতদূর আন্দাজ করা যায় তাতে মনে হয় বয়স ত্রিশের কোঠা এখনো পেরোয়নি। উচ্চতাও খারাপ না। হঠাৎ মনে হলো তার নিজের বউ না তো? তড়িৎগতিতে তাকিয়ে পরীক্ষণ করে মনে হলো, ‘চৈতি? এ চৈতি না! ও কেন আসতে যাবে এখানটায়?’ ‘আমাকে ফলো করতে?’ ‘নাহ! ওর মন-মানসিকতা এমন না’। ইরতিজার দৃঢ় বিশ্বাস চৈতি ওকে জানে। বাসরঘরে চৈতির একটাই চাওয়া ছিল আর যাই হোক পরনারীতে আসক্ত হওয়া যাবে না। সব মেনে নিলেও এটা চৈতি মেনে নেবে না। ইরতিজাও চৈতিকে ভালোবেসে বিয়ে করে যেন তার রোমান্টিসিজমের ষোলকলা পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্য নারীতে সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বড়জোর পরনারীর বাহ্যিসৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করতে পারে। নারীর রূপের কলাই ভালো। অন্য কলার রূপ উন্মোচিত হতে গেলেই বিপত্তি বাধে।

ইরতিজা এবার একটু আড় চোখে তাকিয়ে দেখল। অবাক ব্যাপার! একেবারে রোবোটের মতো চেয়ে আছে এখনো। কোনো নড়চড় নেই? ‘কলগার্ল না তো?’ রাগে গজগজ করতে লাগল ইরতিজা। কলগার্ল শব্দটি মনে আসতেই হঠাৎ মনে পড়ল বন্ধুদের নিয়ে রেড লাইট স্ট্রিটের অভিযানের কথা। সেবারই প্রথম, এখনো পর্যন্ত সেবারই ছিল শেষ। তিন বন্ধু মিলে একবার মদ-গাঁজা খেয়ে আচানক খেয়াল হলো বেশ্যাপাড়ায় যাবে। মাতাল চুর একদল যুবকের যেই ভাবনা সেই কাজ। ইরতিজার মনে আছে শহুরে হোটেলের দোতলার অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে নেশায় টলতে টলতে যৌবনের আদিম রহস্য উন্মোচনের চূড়ান্ত মুহূর্তের দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছিল তারা তিনটি যুবক। মাতাল অবস্থায় তখন যতটুকু স্পষ্ট দেখেছিল তা এখন ততটুকুই ঝাপসা স্মৃতি। কাচের দেয়ালে ঘেরা দুটো কক্ষে হরেক বয়সের রমণীরা বসেছিল তাদের খদ্দেরের অপেক্ষায়। আলো-রং-সুগন্ধির ভুরভুর অবস্থা। ঢুকে পড়ল তিন বন্ধু তিনজন রূপজীবীকে নিয়ে তিনটি কক্ষে। ইরতিজা যে নারীকে নিয়ে কক্ষে ঢুকল তিনি ছিলেন এক মধ্য বয়স্কা। সেদিন কেন মধ্য বয়স্কার প্রতি আদিমতা জেগে উঠেছিল তা এত বছর পর ব্যাখ্যাতীত রয়ে গেল। সে যাক গে! সেই মধ্যবয়স্কার দিকে ভালো করে তাকাতেই ইরতিজার যেন কান্না আসতে চাইল। অকস্মাৎ বিছানায় বমি করে দিল সে। দ্রুত টিস্যুতে মুখ মুছে, সেই মধ্যবয়স্কা নারীকে তার প্রাপ্য টাকা আর সঙ্গে কিছু বখশিশ ধরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়ল ইরতিজা।

বসে থেকেই কেটে গেল বেশ কিছুক্ষণ। স্মৃতির সরোবরে ডুবসাঁতার দিতে দিতে ইরতিজা আনমনে দুই হাত মাথার পেছনে ভাঁজ করে আয়েশি ভঙ্গিতে হেলান দিয়ে বেঞ্চিতে বসে রইল। গ্রীষ্মের লম্বা বিকাল বলে তখনো ছিল আলোর অপ্রতিভ উপস্থিতি। ফের তরুণীর দিকে তাকাতেই তার গায়ে জড়ানো শাড়ির দিকে নজর গেল ইরতিজার। সাদা শাড়ি গায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে তখনো। ‘সাদা একটা স্ট্যান্ডার্ড কালার। রুচিশীল বলতে হবে মেয়েটিকে। নিশ্চয়ই শিক্ষিত। হয়তো শিক্ষিত পরিবারেরই সন্তান’। ভাবনায় আবার জড়াতে শুরু করল সে। ‘তো আমার কাছে তার কী চাই? ওর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করব নাকি?’ কিন্তু কি জিজ্ঞাসা করবে? তরুণী যদি অস্বীকার করে? যদি বলে, ‘আমি মাঠের সবুজ ঘাসের দিকে চেয়ে ছিলাম বরং আপনিই আমার দৃষ্টিসীমা বরাবর এসে বসেছেন?’ তখন কী হবে ইরতিজার জবাব? তারপরও যদি ইরতিজা তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় কীভাবে জিজ্ঞাসা করবে? মাঠের কিনারে সীমানা প্রাচীরের কাছে গিয়ে নাকি এখনই ট্রেনিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে মার্কেটে চলে যাবে। দোনোমনার মধ্যে পড়ে গেল ইরতিজা। মাঠের চারপাশ তখন কিছুটা ফাঁকা হয়েছে। ক্রীড়াপ্রেমী দুই-একজনের সঙ্গে এক বলবয় ছাড়া সবাই চলে গেছে। পা নাচাতে নাচাতে ইরতিজা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল মাঠের ধার থেকেই জিজ্ঞাসা করবে।

কৌতূহলবশত কিংবা সন্দেহের তাগিদে অথবা আবেগের তোড়ে যাই হোক না কেন ইরতিজা উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটা শুরু করল। মসজিদ থেকে মাগরিবের আজানের সুর ভেসে আসতে লাগল। ইরতিজাকে আরও ত্রিশ গজের মতো হেঁটে সামনে যেতে হবে। মেয়েটির চোখে চোখ রেখে দ্রুতলয়ে এগিয়ে যেতে লাগল সে। আচমকা সে দেখল ব্র্যান্ড শপ থেকে বেরিয়ে এক তরুণ মেয়েটির গায়ে হাত দিল। ইরতিজার পা নিশ্চল! চোখ নিষ্পলক! অদ্ভুত মেয়েটির তখনো কোনো বিকার নেই! মুহূর্তেই ব্র্যান্ড শপের তরুণ ম্যানিকুইনটি সযতেœ কোলে তুলে দোকানের ভিতরে ঢুকে আলো নিভিয়ে দিল!

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর