বিষণ্ন এ বিশ্বে নিঃসঙ্গ হয়ে বসে থাকি চুপচাপ। পকেটের ভাঁজে নেই আমলকী বেলা। কলমের কাছে নেই কবিতার দুরন্ত নিঃশ্বাস। বিশ্বাসে নেই মানুষের ছায়াপথ। আমার সমীপে এসে বহতা নদীর স্রোতধারা হতে পারে না আত্মহারা। স্থবির এ অবয়ব দেখে প্রশ্ন চোখে অবাক তাকিয়ে থাকে দুপুরে বেড়াতে আসা ওপাড়ার দাঁড়কাক। নীল সমুদ্র হয়ে বয়ে যেতে পারি না এখন উত্তর থেকে দক্ষিণে। কবে এক পানাম নগরে বস্ত্র বালিকা এঁকেছিল মুঘল রাজকন্যার কামরাঙা গ্রাম, মগধের পথে পথে রথে বসে পথ দেখেছিল সুবর্ণ বণিকের একঝাঁক রাজহাঁস, তাম্রলিপ্তি হতে চম্পক নগরের রাজদূত এনেছিল নাচের নূপুর, সেইসব কলরব থেমে গেছে শ্মশানের পৌরাণিক ঝড়ে। এখন সময় সময়ের কাছে পরাজিত। দিনগুলো আজ অবনত রাতের গহিনে। রাতগুলো আজ প্রশ্নের অতলে বিলীন। কে আমি কে তুমি কাউকে চেনে না এ জন্মভূমি।