শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মাশুক চৌধুরী ব্যক্তিগত স্মৃতি অথবা কবিতালগ্ন জীবন

সোহরাব হাসান

মাশুক চৌধুরী ব্যক্তিগত স্মৃতি অথবা কবিতালগ্ন জীবন
মাশুক ভাই শেষ দিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে এসে স্থিতু হয়েছিলেন। জীবনভর তাঁকে যে আর্থিক অসচ্ছলতা তাড়িয়ে বেড়াত, তার অবসান ঘটে। কিন্তু বছর চারেক আগে ব্রেন স্ট্রোক হলে আরেক যুদ্ধ শুরু হয় তাঁর জীবনে। তাঁকে সিআরপিতে বেশ কিছু দিন থাকতে হয়েছিল। তিনি ছিলেন অদম্য প্রাণশক্তির অধিকারী।

স্বাধীনতা-উত্তর কালে যে একঝাঁক তরুণ দোর্দ- প্রতাপ নিয়ে বাংলাদেশের কবিতাঙ্গনকে পুষ্পিত ও পল্লবিত করেছিলেন, মাশুক চৌধুরী তাঁদের অন্যতম। গেল শতকের সাতের দশকেই তিনি খ্যাতিমান কবি। আমরা তখন লেখালেখি শুরু করেছি মাত্র। আমাদের বেশির ভাগ সময় কাটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে, গ্রন্থাগারের সামনের খোলা চত্বরে, টিএসসিতে কিংবা শরীফ মিয়া ও গফুর মিয়ার ক্যান্টিনে। তখন ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে প্রায়ই কবিতা পাঠের আসর হতো। তবে কম আসরেই মাশুক চৌধুরী কবিতা পড়তেন। তিনি কবিতায় দ্রোহী ও উচ্চকণ্ঠ হলেও ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন নিভৃতচারী।

 

ছাত্রাবস্থায় মাশুক চৌধুরী সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন; জাসদ প্রতিষ্ঠিত ও আল মাহমুদ সম্পাদিত গণকণ্ঠের মাধ্যমে। চুয়াত্তরের শেষ দিকে গণকণ্ঠ বন্ধ হওয়ার পর মাশুক ভাই বেশ কিছু দিন বেকার ছিলেন। ১৯৭৭ সালে বাংলার মুখ নামে একটি দৈনিক পত্রিকা বের হলে সেখানে চাকরি নেন তিনি। সত্তরের দশকের শেষার্ধে জাসদ সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখতেন। মাশুক চৌধুরী জাসদ করতেন না; কিন্তু  গণকণ্ঠে চাকরির সুবাদে তাঁরা তাঁকে খুব সমীহ করতেন। তিনি কাজ করতেন রাতের পালায়। দিনের বেলায় তাঁকে ঘিরে ছাত্রলীগের কর্মীরা নিয়মিত আড্ডা দিতেন, যাদের বেশির ভাগ ছিলেন ছাত্রী। কিন্তু তাঁর মানস প্রেমিকা ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী উম্মে তুকা মোকাদ্দেসা। তাঁকে নিয়ে মাশুক ভাইয়ের একাধিক কবিতা আছে।

কিছু দিন পর আমিও ‘বাংলার মুখ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ি। বলতে গেলে তিনি আমাকে হাত ধরে কাজ শিখিয়েছেন। একটা সময় আমরা কেবল সহকর্মী ছিলাম না; দিন ও রাতের সঙ্গী ছিলাম। আমরা একসঙ্গে  অফিসে যেতাম, একসঙ্গে রাতে হলে বা বাসায় ফিরতাম। তখন জিয়াউর রহমানের শাসনামল। পৃথিবীর দীর্ঘতম কারফিউ জারি ছিল। প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত। আমাদের কাজ শেষ হতে রাত দেড়টা দুটো বেজে যেত। এরপর র‌্যাংকিন স্ট্রিট বা টিপু সুলতান রোড থেকে হাঁটতে হাঁটতে হলে ফিরতাম। অনেক সময় বিপত্তিও ঘটত।  নিশিকুটুম্বের চেয়ে পাগলের উপদ্রুব ছিল বেশি। আমাদের স্থায়ী কোনো ঠিকানা ছিল না। হলে আমরা যাদের কক্ষে থাকতাম, মাঝে মধ্যে বন্ধ পেতাম। তখন অন্য কোনো বন্ধুর কক্ষে আশ্রয় নিতে হতো। 

মাশুক ভাইকে নিয়ে আমাদের এক সময় একাধিক বন্ধুবৃত্ত গড়ে উঠেছিল, যাতে সৈয়দ মনোয়ার হোসন, আবু করিম, মোরশেদ শফিউল হাসান, মহিউদ্দিন আহমদ, হাসান আবুল কাশেম, আলতাফ আলী হাসু, নকিব ফিরোজ, দিলওয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে থাকতেন। আমাদের আড্ডা-আলোচনার আরেকটি জায়গা ছিল ৪৭ দিলকুশায় দৈনিক ঢাকা (তখন এটি সাপ্তাহিক) অফিস। সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ইউনূস তাঁকে গুরু হিসেবে মান্য করতেন। তারও আগে কমলাপুরে সাপ্তাহিক স্পষ্টবাদী অফিসেও আমাদের আড্ডা হতো। সেখানে আবদুল মতিন, ফালগুনী হামিদ প্রমুখ থাকতেন। রাতের শিফটে অফিস আর দিনের বেলা  লাইব্রেরিতে কিংবা ঢাকা শহর চষে বেড়ানোয় ব্যস্ত ছিলাম আমরা। সেই আমাদের উড়নচ-ী জীবন।

মাশুক ভাই ছিলেন দক্ষ বার্তা সম্পাদক। কিন্তু তাঁর চাকরিভাগ্য প্রসন্ন হয়নি। বেশি দিন কোনো কাগজে থাকেননি বা থাকতে পারেননি। বেশির ভাগ পত্রিকা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও তিনি সহকর্মীদের পরশ্রীকাতরতার শিকার হয়েছেন। মাশুক ভাই শেষ দিকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে এসে স্থিতু হয়েছিলেন। জীবনভর তাঁকে যে আর্থিক অসচ্ছলতা তাড়িয়ে বেড়াত, তার অবসান ঘটে। কিন্তু বছর চারেক আগে ব্রেন স্ট্রোক হলে আরেক যুদ্ধ শুরু হয় তাঁর জীবনে। তাঁকে সিআরপিতে বেশ কিছু দিন থাকতে হয়েছিল। তিনি ছিলেন অদম্য প্রাণশক্তির অধিকারী। অসুস্থ শরীরেও নিয়মিত অফিসে যেতেন, প্রেস ক্লাবে কবিতা পাঠের আসরে হাজির হতেন। শেষ দিকে প্রেস ক্লাব কবিদের মুখপত্র কবিতাপত্রের সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি।

মাশুক ভাইয়ের সঙ্গে অসংখ্য স্মৃতি ও অগুনতি ঘটনা জড়িয়ে আছে। তখন আমাদের ব্যক্তিগত কোনো জীবন ছিল না। আমরা যৌথ জীবনের স্বপ্ন দেখতাম। কবিতায়ও সে তিনি যৌথ জীবনের ছবি আঁকতেন। ১৯৮২ সালে আমি গণকণ্ঠ ছেড়ে বাংলার বাণীতে যাই। মাশুক ভাই গণকণ্ঠে থেকে যান, পত্রিকাটি তৃতীয়পর্বে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের যোগযোগ ছিন্ন হয়নি কখনো। দেখা হলে স্মিত হেসে পরিবার ও কাছের বন্ধুদের কুশল জানতে চাইতেন। রাজনীতি ও সাহিত্য নিয়ে কথা বলতেন। কিন্তু নিজের কবিতা সম্পর্কে কখনো কিছু বলতে শুনিনি। মাশুক ভাই সাধারণত দৈনিক পত্রিকায় লিখতেন না। লিখতেন লিটল ম্যাগে। তখন একুশে উপলক্ষে প্রচুর লিটল ম্যাগ বের হতো। প্রায় প্রতিটিতে তাঁর কবিতা থাকত। 

বছর দুই আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কবি আলেয়া চৌধুরী দেশে এসেছিলেন। তিনি মাশুক ভাইকে নিয়ে কবি আল মাহমুদের বাসায় গিয়েছিলেন কিছু উপহার নিয়ে। আমিও তাঁদের সহযাত্রী হয়েছিলাম। আল মাহমুদ তখন কানে কম শোনেন। চোখে একদম দেখতে পান না। তারপরও অনেকক্ষণ গল্প করলেন। তাঁর আর্থিক দুরবস্থার কথাও বললেন। আল মাহমুদ মাশুক ভাইকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। দুই কবির আদি বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

মাশুক ভাই সাধারণত কোনো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করতেন না বা বক্তৃতা দিতেন না। গত বিশে ফেব্রুয়ারি প্রেস ক্লাব আয়োজিত কবিতা পাঠের আসরে তাঁকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হয় প্রেস ক্লাবের সদস্যদের অনুরোধে। এরপরও কয়েকবার দেখা হয়েছে। করোনাকালেও তাঁর সঙ্গে টেলিফোন করে তাঁর কুশল জানতে চাই। তখন তিনি বেশ সুস্থ। বললেন, বাসায় থেকেই কাজ করছেন। কিন্তু এই করোনাকালেই আরও অনেক সুহৃদের সঙ্গে আমরা কবি মাশুক চৌধুরীকেও হারালাম।

শুনেছি কবিরা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হন। তিনি কী আগেই মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছিলেন? না হলে কী করে উচ্চারণ এমন অমোঘ সত্য?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত নতুন দিগন্ত-এর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তাঁর দুটি কবিতা। জননী ৭১ ও কিছুই নেব না। শেষোক্ত কবিতায় তিনি লিখেছেন : 

“কিছুই নেবো না, সব কিছু রেখে যাবো।

আমাদের গ্রাম নদী, স্বদেশের ধূসর ইতিহাস,

অরণ্যের সবুজ বিছানা-হিল্লোলিত ধান ক্ষেত,

বৃষ্টির শীতল উৎপাত, রোদের উত্তাপ

চাঁদের করুণা, প্রেমের উষ্ণতা

ঘাসের ডগায় বিদ্ধ শিশির সাজানো পথ

পদ্মদীঘির পানিতে ভাসানো রমণীর চুল

মাঠের উদাস হাহাকার... কিছুই নেবো না।

ইচ্ছে হলে বুকের কৌটো থেকে

শুষে নিতে পারো জীবন পাত্রে লেগে থাকা

সর্বশেষ রক্তবিন্দুর মতো লাল প্রেমের স্পন্দন

নিঃস্ব মানুষের চেয়ে নির্ভার সুখী প্রাণী নেই

পুষ্পবতী পৃথিবীতে।”

আসলে মাশুক চৌধুরী কিছুই নিয়ে যাননি। আমাদের জন্য রেখে গেছেন ‘জীবনপাত্রে লেগে থাকা সর্বশেষ রক্তবিন্দুর মতো লাল প্রেমের স্পন্দন।’

২.

মাশুক চৌধুরীর প্রথম কবিতার বইয়ের নাম বিশ্বাসের আগুন। বিশ্বাসের আগুন নিয়েই কবিতাঙ্গনে তাঁর যাত্রা শুরু। সেই বিশ্বাস ছিল স্বদেশ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং গণমানুষের মুক্তি। সেই বিশ্বাস ছিল শ্রেণিহীন সাম্যের সমাজ গড়ে তোলার। সেই বিশ্বাস ছিল নারীর প্রতি ভালোবাসার। তিনি এমন এক পৃথিবী কল্পনা করেছিলেন, যেখানে শিশুরা আনন্দে-আহ্লাদে দিন কাটাবে। তিনি সেই শাসকদের নির্বাসনে পাঠাতে চেয়েছিলেন, যারা শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন না। মাশুক চৌধুরী লিখেছেন, “রাংতা কাগজের মতো আত্মার নরম মাংসের ক্যানভাসে একটা পুতুলের ছোট ছোট/ হাত-পা আঁকতে আঁকতে আমার মা একদিন এঁকে ফেললেন এক টুকরো জীবন্ত/ শিশু। এঁকে ফেললেন একটি পুতুল/... পুতুলটা হামাগুড়ি দিতে দিতে হাঁটতে শিখলো।/... পতুলগুলি মানুষ হয়ে গেলে আর/ পাগলা ঘোড়ার মতো লাগাম মানে না।”

কবি মাত্রেই প্রেমিক। মাশুক চৌধুরীর এই প্রেম ছিল আত্মশুদ্ধির হাতিয়ার। ন্যায়ের পক্ষে নিরন্তর লড়াই।  লিখেছেন, “প্রেমিক মানেই মনে মনে একজন নিঃসঙ্গ মানুষ/ মনে মনে আলোকিত/ একা একা প্রচ- সাহসী/... প্রেম আমাকে দুঃখের চেয়ে বেশি দিয়েছে আগুন/ সুখের চেয়ে বেশি দিয়েছে শুদ্ধ হবার মন্ত্র/... ন্যায়সঙ্গত প্রেমের পক্ষে আমি/ একাই একশ মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক।” [ন্যায়সঙ্গত প্রেমের পক্ষে]

মাশুক চৌধুরী  বিশ্বাস করেন, “বসন্তে কেউ মরে না, যদি মরে/ ফুল হয়ে ফোটে গহীন অরণ্যে/ শীতে মৃত বিরহী প্রেমিক/ জেগে থাকে পাতার মর্মরে/ হেমন্তেও মৃত্যু নেই/ হেমন্তের মৃত্যুগুলি বেঁচে থাকে/ শিশির বিন্দুর চোখে/... সকল ঋতুর মৃত্যু জয় করে জাগে নতুন জীবন/ আত্মা এক অমর বিজ্ঞান।” [অবিনশ্বর]

মৃত্যু জয় করে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন মাশুক চৌধুরী। বাংলাদেশের জয়ে তিনি উজ্জীবিত হতেন। পরাজয়ে ব্যথিত। মূল্যবোধের স্খলন, পরনির্ভরশীলতা, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথাও উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। তিনি শোষণহীন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছেন।

তাঁর শেষ আকুতি :

“একমাত্র শিল্প ও নারীর সান্নিধ্যে আমি ভেঙে পড়ি

বার বার খুন হই, আহত রক্তাক্ত হই অন্তরে অন্তরে

একা একা ভেঙে পড়ে-নিজেই নিজের পদতলে

নতজানু হয়ে থাকি।”

মাশুক চৌধুরী এই সমাজ ও রাষ্ট্রকে হৃদয় দিয়ে অবলোকন করেছেন এবং শব্দশিল্পের অনুপম ভঙ্গিমায় তা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কবিতায় যেমন আনন্দের কথা আছে, তেমনি আছে বেদনা-বিরহের কথা। তিনি বারবার মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন সেটি ভেঙে যেতে দেখেছেন। তারপরও তিনি আশা জিইয়ে রেখেছেন। তাঁর একটি বইয়ের নাম দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ প্রিয়তমা আমার। তাঁর উল্লেখযোগ্য অন্যান্য বই : বিশ্বাসের আগুন, অত্যাগসহস, স্বর্গের রেপ্লিকা, নদীর নাম দুঃসময়। গত বছর একুশের মেলায় মাওলা ব্রাদার্স থেকে বের হয়েছিল নির্বাচিত কবিতা।

মাশুক চৌধুরী একই সঙ্গে প্রেমিক ও দ্রোহী। তাঁর কবিতায় বাস্তবতা ও কল্পনার আশ্চর্য সম্মিলন ঘটেছে। নাগরিক জীবনের টানাপড়েন, অন্তর্দাহ তাঁর কবিতায় আছে, কিন্তু তারচেয়েও বেশি আছে চিরায়তকে খুঁজে নেওয়ার প্রয়াস। কোনো কোনো সমালোচকের মতে, তাঁর কবিতায়  চিলির বিপ্লবী কবি পাবলো নেরুদার কবিতার মতো মহাকাব্যিক ছায়া আছে।

মাশুক চৌধুরী কেবল কবিতা লিখেননি। প্রচুর গদ্যও লিখেছেন। এক রমণীর লজ্জা নামে তাঁর একটি উপন্যাসও ছাপা হয়েছিল। কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, ‘অনেক অগা মগাও’ বাংলা একাডেমি পুরস্কার বগলদাবা করেছেন। কিন্তু মাশুক চৌধুরী-আহমদ ছফারা বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান না। কেননা আত্মপ্রচার ও গোষ্ঠীপ্রচারের ঢঙ্কানিনাদের যুগে এসব পুরস্কার পেতে যে দলানুত্য দেখাতে হয়, তোষামোদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামতে হয়, সেটি তাঁদের পক্ষে কখনোই সম্ভব ছিল না। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নয়, পাঠকের ভালোবাসাই কবি মাশুক চৌধুরীর বড় পুরস্কার হয়ে থাকবে।

সর্বশেষ খবর