হালফিল পরবাস উচ্চকিত হয় বিচ্ছিন্নতার প্রতিবাদে
গোপনে লালন করি বইমেলার মসলিন স্মৃতিপট,
বাঙালি আমি-কিছু স্বজন আমার বারুদে পুড়ে বাগদাদেদেহেলিতে হরেক সংস্কৃতি জ্বালে দীপ-সাজায় মঙ্গলঘট।
কখনো নিজস্ব বনানীর করোটিতে ঘোরতর আড্ডা জমে ওঠে
তসরে আঁকা হয় নকশা, শালিক খুঁটে ধান-বসে বালুচরীর মাইফেল,
চালতাগাছে ফুটে নিহারিকা- ঢোলকের বাদ্যে বাজে অক্ষরের উৎসব
মনে হয়-উচ্চাশা কিংবা প্রগাঢ় প্রণয়, কিছু চাওয়া-সকলই গরল ভেল,
মেঘের কিশতিভাসা আকাশপর্যটক বলাকা উড়ায় তিশিখেতের অনুভব।
মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে ফিরে আসি-ভিজি বৃষ্টিসিগ্ধ মাটির সৌরভে
তৈরি করি কিছু কেসসা কাহিনি- খুঁজি কবিতার আদি খানদান,
ইরিত্রিয়ার জলাশয়ে বিম্বিত হয় যে চাঁদ জোৎ¯œার ষোড়শী গৌরবে
কি-বা হবে-যদি বাটা ভরা চুন থেকে খসে যায় এলাচমাখা সাঁচিপান!
খুঁজেছি জিন্দেগীর বিরান খেতে খাদ্যপ্রাণে ভরপুর কলমিলতা
অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে আমার সঙ্গহীনতা-
তৈরি করে মজলিশের তারিয়াকি,
পর্যটনী-ব্যাগ ঝুলিয়ে যদি চলে আসি বইমেলায়-তোমাকে ফিরে পাব কী?