শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাকালে এক রাত

রণজিৎ সরকার

করোনাকালে এক রাত

সরজ সরকার শহরে থাকতেন। করোনাভাইরাসের কারণে অফিস বন্ধ হয়ে যায়। তাই তিনি গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে চলে এসেছেন। গ্রামে বসেই করোনার আপডেট খবর রাখছেন। এ সময় সবার মতো তিনিও মন্দ খবরই বেশি পান। প্রতিদিন একটা, দুটা, পাঁচটা কোনো দিন আবার দশটা করে দুঃসংবাদ। আবার এক থেকে শুরু করে সাত-আটটা করে খারাপ ঘটনা। এ ঘটনাগুলোর মাঝেই প্রিয়জন, বন্ধুজন জড়িয়ে রয়েছে। এর বাইরেও অনেক অচেনা অজানা মানুষের কত দুঃসংবাদ। এ ঘটনাগুলো মেনে না নিয়ে উপায় নেই। ঘটনাগুলোর পরিস্থিতির এমন কেউ যেন খাবার থালায় মতো করে টেবিলে সাজিয়ে নিয়ে রেখেছে। ক্ষুধার্ত মানুষের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে দেশ-দুনিয়ার সব খবর রাখতে হয়। সচেতন মানুষ হিসেবে সরজ সব খবর রাখার চেষ্টা করেন।

সরজ সেদিন নিজ গ্রাম সরাইদহ থেকে তিন গ্রাম পর ধলজান গ্রামে তার পিসিমনির বাসায় গিয়েছিলেন। বৃদ্ধা পিসিমনিকে দেখতে। সন্ধ্যায় ফেরার পথে কালীবাড়ির শ্মশানে শিশুর কান্নার শব্দ। কান্নার শব্দ শুনে সাইকেল থেকে নেমে ধীরে ধীরে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলেন। গিয়ে দেখেন এক মা তার সন্তানকে নিয়ে বটগাছের পাশে আটচালা ঘরের দক্ষিণ পাশে বসে আছেন। সরজের মনে সন্দেহ হলো এই সন্ধ্যায় এরা মানুষ রূপী ভূত! নাকি বিপদে পড়া সত্যিকারের মানুষ। ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না! সরজ সাহসী মানুষ। ভয়ভীতি তার শরীরের কম। সাহস করে এগিয়ে বললেন, ‘আপনারা শ্মশানে কেন? কোনো মৃত ব্যক্তিকে দাহ করার জন্য নিয়ে আসবে! সৎকারের সঙ্গী হবেন, সেজন্য এসেছেন?’

মহিলাটার মনে অনেক ক্ষোভ নিয়ে বললেন, ‘আমরাই মৃত মানুষ! গ্রামবাসী জীবিত মানুষকে মৃত হিসাবে ঘোষণা করেছে। সেজন্য শ্মশানে এসেছি।’

সরজ মহিলাটার কথা শুনে একটু ভয় পেয়ে গেলেন। তাহলে সত্যি কি ভূত! ভূত না হলে তো এমন চ্যাটাং করে কথা বলতেন না। তবুও মনে সাহস নিয়ে আবার বললেন, ‘সত্যি করে বলুন। আপনি আর আপনার সন্তান কেন শ্মশানে এসেছেন?’

সরজের কণ্ঠ শুনে মহিলাটি বুঝতে পারলেন তিনি ভয় পেয়েছেন। তার ভয় দূর করার জন্য সত্যি করে মহিলাটি বললেন, ‘দুঃখের কথা কিভাবে বলি দাদা। বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন কি না জানি না। কষ্টে কথা শোনা ও বোঝার মতো মানুষ খুব কমই আছে। তবুও কিন্তু মানুষ কষ্টের কথা বলতে চায়। আমি বলতে চাই কষ্টের কিছু কথা। আপনি কি মনোযোগ দিয়ে শুনবেন।’

সরজ খুব আগ্রহ নিয়ে বললেন, ‘বলেন, কোনো সমস্যা নেই। আপনার দুঃখের কথা শুনে যদি উপকারের আসতে পারি তাহলে আপনারই ভালো হবে। আর আমি মনের তৃপ্তিতে আপ্লুত হব। তাই বলছি, আপনি শ্মশানে কেন এসেছেন! কোনো সমস্যা থাকলে, সমস্যার কথা বলুন। সমস্যার কথা না বললেন কিন্তু সমাধান হবে না।’

সন্তানের মাথায় হাত বুলাতে লাগলেন, মায়ের আদরে ছেলেটা চুপ করল। তারপর মহিলাটি বললেন, ‘আমার নাম অনামিকা রায়। আমার বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে শহরে থাকতাম। স্বামী বাসার পাশেই ছোট্ট দোকানে পান বিড়ির ব্যবসা করতেন। দুই বছর আগে আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। শহর ছেড়ে গ্রামে আর যাওয়া হয়নি। ব্যবসার হালটা আমি ধরি, যখন স্বনির্ভর হয়ে ওঠার শুরু করেছি। তখনই তো করোনা-হানায় বেসামাল হয়ে গেল সারা পৃথিবী। ঢাকা শহরে শুরু হলো লকডাউন। সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল। চার মাস কোনো রকমে কাটানোর পর গ্রামের বাবার বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। এতদিন পরে বাড়ি ফেরার আনন্দে মনটা বেশ ফুরফুরে ছিল। কিন্তু এমন যে ঘটবে, তা কল্পনাতেও ছিল না। গ্রামে এলাম। আমাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন কয়েকজন গ্রামবাসী। আমরা এখানে থাকলে করোনা ছড়াবে। আমি ও আমার বাবা ওদের অনেক অনুরোধ করি। কিন্তু ওরা কিছুতেই রাজি হয়নি। বাবা অনেক অনুরোধ করে গ্রামবাসীকে কথা দিয়েছিলেন, ১৪ দিন মেয়ে-নাতি বাড়িতেই থাকবে। তাতেও ওরা রাজি হননি। গ্রামবাসী এসে দাবি করতে থাকেন, আমি আর আমার সন্তান গ্রাম থেকে চলে

যেতে হবে। চাপের মুখে চলে আসতে বাধ্য করে আমাদের। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তর্ক করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বাবা চিন্তা করছেন এই সন্ধ্যায় কোথায় যাব, কিছু ভেবে উঠতে পারছিলাম না। অনেক দুঃখে বের হয়ে রাস্তায় ঘুরতে থাকি আমরা। তারপর ঠিক করি ভূইয়াগাঁতী শ্মশান ঘাটেই কাটিয়ে দেব রাতটা। নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে শ্মশানকে বেঁচে নিয়েছি। জীবিত মানুষেরা আমাদের মৃত করে দিয়েছে। তারা আমাদের পাশে দাঁড়ালো না। মৃত আত্মীয়স্বজন তো শ্মশানে আছে। তারা তো আর আমাদের তাড়িয়ে দেবে না। তাই এ শ্মশানে এসে আশ্রয় নিয়েছি। মৃত ব্যক্তিরাই হয়তো এই রাতে আমাদের দেখে রাখবে। এটুকু মনের সান্ত¡না আর সাহস নিয়ে এ শ্মশানে এসেছি।’

অনামিকার কথা শুনে সরজ অবাক হয়ে গেলেন। মানুষ এত অমানবিক হয়! এ মুহূর্তে তিনি কি বলবেন কিছুই বুঝে ওঠতে পারছেন না। মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। তবুও গরম মাথাটা লজ্জাবতীর গাছের মতো শরীরের রাগ গুটিয়ে নিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বললেন, ‘আপনার বাবাকে দেখছি না তো।’

অনামিকা ওদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, ‘বাবা খাবার আনতে গিয়েছেন।’

সরজ বললেন, ‘মুখ দেখেই মনে হচ্ছে, অনেক সময় ধরে কিছুই খাননি।’

অনামিকা বললেন, ‘এ অবস্থায় পেটের ক্ষুধার কোনো চিন্তা থাকে না। বাবুর খুব ক্ষুধা লেগেছে।’

এমন কথা শোনার পর সরজ কোনো কিছু বলার সাহস দেখাতে পারছে না। কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি সবাই। করোনাকালে কত মানুষের জীবন নিয়ে নিচ্ছে। আবার কত মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আপন মানুষ পর হয়ে যাচ্ছে।

খাবার নিয়ে অনামিকার বাবা এসেছে হাজির হলেন।

বাবাকে দেখে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে অনামিকা বললেন, ‘ওই তো আমার বাবা ফনিভূষণ বাবু এসেছেন।’

সরজকে দেখে ফনিভূষণ বাবু বললেন, ‘আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না। আমাদের গ্রামের কেউ না তো আপনি। হঠাৎ এখানে। মাস্কটা ভালো করে পরেন।’

সরজ মাস্কটা দিয়ে নাক মুখ ঢেকে বললেন, ‘আমাকে চিনবে না। আপনাদের গ্রামে হলেও চিনতে না। আমি শহরে থাকতাম। করোনার কারণে গ্রামে চলে এসেছি।’

সরজের কথা শেষ না হতেই ফনিভূষণ বাবু বললেন, নিশ্চয়, আপনার নিকট আত্মীয়স্বজনের কেউ একজন মারা গেছে। এ শ্মশানে দাহ করার জন্য নিয়ে আসবে। সেজন্য আপনি মৃত ব্যক্তির বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি শ্মশানে চলে এসেছেন। আজ রাতে শ্মশানে মৃত ব্যক্তির সৎকার হলে আমাদের ভালোই হবে। মৃত ব্যক্তির সঙ্গে আসা শ্মশানবাসীদের সঙ্গে আমরা রাত কাটিয়ে দিতে পারতাম। আর এটা জানেন তো- শ্মশানে কিন্তু সবাই শোক আর বেদনা নিয়ে আসে। আমরা মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে আসেনি নিজেরাই মৃত ব্যক্তি হয়ে শোক আর কষ্ট নিয়ে এসেছি এ শ্মশানে।’

সরজ মনে মনে ভাবলেন, এ অবস্থায় তিনি যে কথাগুলো কি রাগভাবে বললেন নাকি গ্রামবাসীর আরও একজনের মৃত্যু কামনা করে বললেন। নাকি তাকে শ্মশানে থাকার সঙ্গী পাওয়ার জন্য এমন করে কথাগুলো বললেন। সরজ ঠিক বুঝতে পারছেন না। তবে সে নিজের চিন্তায়ভাবনায় বুঝতে পারলেন গ্রামবাসীকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বললেন। চিন্তাভাবনা শেষে সরজ বললেন, ‘আপনি যেটা ভেবেছেন, তেমন কিছু না। আমি শ্মশানের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে এলাম। এসেই আপনার মেয়ের কাছ থেকে সব শুনলাম।’

ফনিভূষণ বাবু খাবার প্যাকেটটা রেখে বললেন, ‘সব শুনে ফেলেছেন।’

সরজ বললেন, ‘এত কিছু বলার পরও আপনাদের গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে। তারা এত অমানবিক!’

ফনিভূষণ বললেন, ‘জগতে মানুষই তো অমানবিক। অন্য প্রাণী নয়। কিছু দিন আগে খবরে দেখেননি, সন্তান তার মাকে ফেলে চলে গেছে। করোনা পরীক্ষা করতে এসে হাসপাতালে ভাইকে ফেলে বোন চলে গেছে। এরকম অসংখ্যা ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে।’

সরজ রাগের মাথায় বললেন, ‘তা ঠিক বলেছেন হয়তো! কিন্তু এ ঘটনাগুলো শহরে ঘটেছে। শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। গ্রামে তো কম। আর যারা আপনাদের গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে তাদের মাঝ থেকে কেউ একজন আজ এক্ষুণি মারা যাক। শ্মশানে নিয়ে আসুক। তাহলে আর আপনাদের এই রাতে শ্মশানে একা থাকতে হবে না। গ্রামের অনেকেই শ্মশানে আসবে। আপনাদের পাহারা দেব তারাই। তারা তখন অমানবিকতার বেদনা বুঝবে!’

ফনিভূষণ বললেন, ‘এমন প্রার্থনার করার দরকার নেই। সবার ভিতর এখন মৃত ভয় কাজ করে, সবাই নিরাপদে থাকতে চায়। করোনাকালে সবাই বেঁচে থাকুক। আমি মানুষ গরিব হতে পারি। তাই বলে কারও অমঙ্গল চাই না। সব সময় সবার মঙ্গল চাই।’

সরজ মনে মনে ভাবে- মানুষের সঙ্গে মিশেই মানুষের মানবিকতা বোঝা যায়। আজ আবারও বিপদে পড়া মানুষের সঙ্গে মিশেই মানবিক মানুষ খুঁজে পেলাম।

সরজ বললেন, ‘আপনি প্রশাসনের কাছে যাননি কেন?’

ফনিভূষণ বললেন, ‘যাওয়ার সময় সাহস পাইনি। প্রশাসনের লোকজনও যদি কোনো বিপদে বা ভোগান্তিতে ফেলে দেয়, সেজন্য যায়নি আর সময়ও পাইনি। তবে পরীক্ষার কাগজগুলো নিয়ে আগামীকাল যেতে হবে।’

সরজ বললেন, ‘যদি কিছু মনে না করে তাহলে কি আপনাদের বিপদের দিনে পাশে থাকতে পারি। সারারাত আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।’

ফনিভূষণ বললেন, ‘থাকলে ভালোই হয়। আমার একটু সাহস বাড়বে। গল্প করে রাত কাটিয়ে দেওয়া যাবে।’

সরজ বাড়িতে তার মাকে ফোন করে বলে দিল আজ রাতে আর বাড়ি ফিরব না। সরজ ওদের পাহারা দিয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে শ্মশানে কাটিয়ে দিল।

ভোরের আলো ফুটতেই সরজ ওদের নিয়ে ঘরে ফেরার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন। প্রথমে তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে চিকিৎসকেরা তাদের ১৪ দিন ঘরে থাকার পরামর্শ দেন। সেই কাগজগুলো নিয়ে ফিরে আসেন গ্রামে। কিন্তু ফের তাদের গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে। হস্তক্ষেপ করেন স্থানীয় লোকজন। তার ছেলেকে ঘরে থাকতে না-দেওয়ার পক্ষে অনেক যুক্তি খাড়া করেন। ঢাকা শহরে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। সেখান থেকেই এসেছেন ওরা। ওর বাবার বাড়িতে একটি মাত্র ঘর। আলাদা শৌচাগার নেই। পাড়ায় একটি মাত্র পুকুর। ওই মহিলা পুকুরটি ব্যবহার করবেন। তাতে গ্রামে রোগ ছড়িয়ে পড়বে। এসব কারণে গ্রামে থাকতে বাধা দেয় আবারও সবাই। তখন অনামিকা এবার একটু সাহস নিয়ে উপস্থিত গ্রামবাসীর লোকজনকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘শহর ছাড়ার আগে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ মেলেনি। আমার কথা বিশ্বাস করুন আপনারা।’ গ্রামের লোকজন তাতেও মানতে চায়নি। সরজ এত সময় পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে এলাকায় পুলিশ আসে। বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার পরে তারা ওদের ঘরে ঢুকতে দিতে রাজি হলো।

অনামিকা অনেক আক্ষেপ করে গ্রামবাসীকে বলেন, ‘যেখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি, যাদের সঙ্গে খেলা করেছি, তারাই আমাকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। এটা আমার কাছে লজ্জার। মানুষের বিবেক মানবিকতা কি একে বাড়েই চলে যাচ্ছে।’

ফনিভূষণ বললেন, ‘লকডাউনের জন্য মেয়ের রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি ওকে চলে আসতে বলেছিলাম। যা হয়েছে, তা আমার কাছেও লজ্জার। এমন ঘটনার শিকার যেন পৃথিবীর আর কোথায় না ঘটে। আর কোনো বাবাকে যেন এমন ঘটনার মুখোমুখি না হতে হয়।’

সরজ বললেন, ‘লজ্জা আপনাদের কারও পাওয়ার কথা না। যারা আপনাদের সঙ্গে না জেনে না শুনে এমন আচারণ করল লজ্জা তো তাদের পাওয়ার কথা। তারা যে মানবিক মানুষ না। অমানুষ। এটা তো প্রমাণ করে দিল। যারা করোনা রোগী চিকিৎসা করছেন তাদের কথা একবার ভাবুন। করোনাভাইরাস আমাদের মানবিক ও অমানবিক মানুষ চিনিয়ে দিয়ে যাচ্ছে দিন কার দিন।’ ওদের কথা শুনে উপস্থিত সবার মাথা লজ্জায় মানবিক মানুষের কাছে নিচু হয়ে গেল। কেউ আর কোনো কথা বলতে পারল না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর