আকাশের দাদশী চাঁদ ছেলেবেলার মত আমার সাথে সাথে চলছে আর জেলেপাড়ার পাশে আমাদের স্মৃতির মাঠে ছড়াচ্ছে আজো নিকেল আলো।
পাশের বাঁশবাগানের ঠিক লাগোয়া বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় প্রভুর কীর্তি-জপ নয় ভেসে আসছে চোখভেজা মৃত্যুর বিলাপ!
আহারে মৃত্যর মিছিল:গতকাল সকালে যে শোকের রোল তুলে চুলখোলা পাড়ার প্রবীণ করোনায় ভুগে চলে গেলেন-এত বড় হিতৈসীর শেষযাত্রায় গুটিকয় ভয়ার্ত পায়ের ধ্বণি!
যিনি দিন পাঁচেক আগে দৃপ্ত তাঁর গানের কণ্ঠের মতই বলেছেন: করোনা তাঁকে হারাতে পারবে না! তিনি যে হেরে, আমাদের ছেড়ে অনন্ত যাত্রা করলেন- তাঁর সকিনা এখন তেজী, রিসকা নিয়া তবে এই লকডাউনে ভীত রাস্তায় কি ঘোড়দৌড় দেবে?
আহারে অতিমারীর হীন আগ্রাসী কর্কশ কাঁটা!
আহরে সকিনা, আহারে আমার বোন
বন্ধুহীন স্ত্রী, ফুলের মত কণ্যারা;
পিতাহীন নিস্পলক পুত্রের নির্ঘুম সব চোখ!
আর তাকাতে পারিনা, আর শোক নিতে
আমাদের ন্ব্জ্যু মেরুদন্ড ব্যথায় নীল-
ও দরিয়া, ও বঙ্গোপসাগর আমাদের
আবার থৈথৈ হাস্নাহেনার গন্ধে ভাসাও
আমাদের নীল মাস্কহীন তরতাজা
সবুজ ফসলের মাঠের মত নদীতে
প্রাণভরে জলপায়ে হাটতে দাও, প্রভু।