শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

পিতার প্রতি প্রতিশ্রুতি

শেখ মফিজুর রহমান

সূর্য ডুবে গেলে গাঢ় অন্ধকার ঘনিয়ে আসে

তবুও আশায় থাকি পরদিন সূর্য উঠবে

কিন্তু বাঙালি জাতির সূর্য জানি কোনো দিনই উঠবে না

কাপুরুষ ক-জন গলা টিপে হত্যা করেছে

আমাদের সৌভাগ্যের সূর্যকে।

সামরিকের সাময়িক অমাবস্যায়-

চিরদিনের জন্য আমাদের চাঁদ ডুবে গেছে।

প্রতিটি দিন ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হয়।

হাতড়ে হাতড়ে ঘুরে ফিরি সেই সূর্যের

মুখ দেখব বলে।

রাতের আঁধারে গুমোট কষ্টে হা-হুতাশ করি

ঝলমলে চাঁদের চেহারা দেখব বলে।

 

এই জাতি আজ কাঁদতে কাঁদতে অশ্রু

শুকিয়ে ফেলেছে, দু-চোখ বেয়ে তাই

ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরে পড়ে।

হঠাৎ যেন থমকে দাঁড়াই!

মনে পড়ে যেন, সেই অপশক্তিরা

ডেকে আনতে চেয়েছিলো

অতলান্তিক অন্ধকার।

থেমে রাখতে চেয়েছিলো সূর্যের নাম উচ্চারণ।

কিন্তু সেই সূর্য নিজেই বলেছে কোনো

এক মধ্য দুপুরে, বজ্রকণ্ঠে দৃঢ় উচ্চারণে-

‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না।’

 

চোখ থেকে এখন রক্ত ঝরে না

চোখ যেন প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ড

ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে

শোকের ছাই থেকে জন্ম নিয়েছে

বাঙালি নামক ফিনিক্স পাখি

জপতে থাকে বারংবার একই উক্তি-

‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না।’

শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়াই, শোকে খুঁজি

শক্তির উৎস, বাঁদুড়ের মত অন্ধকার খোঁজা

সেই অপশক্তির ভয় ছিলো আলো

দেখ, সূর্যের সন্তানেরা জেগে উঠেছে

উঠে দাঁড়িয়েছে, হয়ে উঠেছে একেকটা সূর্য!

 

বঙ্গবন্ধু; হে পিতা..

যেখানেই তোমার কর্মের সমাপ্তি

সেখানেই আমাদের শুরু।

তোমার নামের অগ্নিশিখা নিয়ে

আলোকোজ্জ্বল করব সমগ্র পৃথিবী।

পিতার প্রতি সন্তানের এই সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি।

সর্বশেষ খবর