শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

তাঁর গানের ঝর্ণাতলায়

হোসেন আবদুল মান্নান

তাঁর গানের ঝর্ণাতলায়

আমার শৈশবের স্মৃতিতে লেগে থাকা যে গানটি সারা জীবন মুগ্ধতাভরে শুনে এসেছি তার কথা দিয়েই শুরু করছি। ষাট দশকের শেষ দিককার ঘটনা, আমাদের রেলস্টেশন সংলগ্ন মানিকখালি বাজারে তখন মাঝেমধ্যে  বায়স্কোপ দেখানো হতো। একটি বহনযোগ্য বড় পর্দায় যদ্দূর মনে পড়ে পরিবার পরিকল্পনার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছিল। সঙ্গে মাইক্রোফোনে শ্যামল মিত্রের গাওয়া অসাধারণ একটি দেশাত্মবোধক গানের দরাজ কণ্ঠ। বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে প্রচার হতো এ গান। ‘সাত সাগর আর তের নদী পাড়ে, ময়ূরপঙ্খী ভিড়িয়ে দিয়ে সেথায়, দেখে এলেম তারে।’ মূলত এ গানের আকর্ষণেই হাটের সব শ্রেণির স্রোতা এসে ভিড় জমাত। কালক্রমে আমরাও বড় হয়েছি। একসময় রেডিওতে গান শুনতে শুনতে বলা যায়, বাংলা গানের বাণী, সুর, তাল-লয় ও অনুপ্রাসের প্রেমে পড়ে যাই। একই সঙ্গে জেনেছি, আমাদের মাতৃভাষায় লিরিক ও স্বরলিপি রচনার প্রধান এই কিংবদন্তিকে। আর শৈশবে শোনা সেই গানটি পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে মুক্তি পাওয়া বাঙালির আরাধ্য ও আলোচিত উত্তম-সুচিত্রা জুটির অন্যতম সেরা ‘সাগরিকা’ ছবিতে শুনে বারবার বিমোহিত হয়েছি। তিনি অবশ্যই বাংলা গানপ্রেমীদের কাছে প্রাতঃস্মরণীয় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। গানের এ ভুবনে সম্ভবত যুগে যুগে নয় বরং শতাব্দীতে তিনি একা এবং একজন।

২. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৪ সালের ডিসেম্ব^র মাসে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা অধ্যাপক গিরিজাপ্রসন্ন মজুমদার ছিলেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, তাই ছেলেকে তিনি বিজ্ঞান পড়ার জন্য উৎসাহ দিতেন। মা সুধা মজুমদারও একজন স্নাতক এবং লেখালেখিতে অভ্যস্ত ছিলেন। তাদের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের পাবনা জেলায়। পরিবার ছিল শিল্প- সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সংগীত অনুরাগী। স্কুল থেকেই গৌরীপ্রসন্ন কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠেন, কাব্যচর্চা ও কাব্যপ্রীতি যেন তাঁকে পেয়ে বসে। পড়াশোনা প্রেসিডেন্সি কলেজে। বাংলা এবং ইংরেজিতে এম এ ডিগ্রি থাকায় উভয় ভাষায় তাঁর অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ও পান্ডিত্য ছিল। তিনি ইংরেজি কবিতা লিখেও এক সময় অভিজাত শ্রেণির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। সহপাঠীরা তাঁকে কবিতার পাশাপাশি গান লেখার জন্য উৎসাহিত করেছিল। বিশেষ করে বন্ধু কবি অরুন মিত্র এবং প্রখ্যাত সুরকার নচিকেতা ঘোষ তাঁর বহুমাত্রিক প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন মূলত তাদের পরামর্শেই গান লিখতে শুরু করেন। তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে সি ভি রমন এবং ডক্টর রাধাকৃষ্ণও ছিলেন। বিস্ময় হলো, ১৯৪৬ সালে ছাত্রজীবনেই গীতিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যান। ’৪৭-৪৮ সালের দিকেই বিখ্যাত শচীন দেববর্মণ তাঁর গান গেয়ে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। ১৯৫১ সালে মীরা দেবীর সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাঁরা ছিলেন নিঃসন্তান।

৩. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯৪৬-৮৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ  ৪০ বছরে বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে হাজারো গান রচনা করেছেন। তিনি সিনেমার জন্য প্লেব্যাক গানের অতুলনীয় গীতিকার ছিলেন এবং একসময়ে ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের গানের জন্য একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তাঁর। বিশেষ করে পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের অন্যতম সেরা রোমান্টিক গানের গীতিকার মানে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। চলচ্চিত্রের বাইরে আধুনিক, দেশাত্মবোধক গানেরও সফল স্রষ্টা ছিলেন তিনি। আমার এমন ধারণা সব সময়ই হয়-কাজেই বলা যায়, পৃথিবীব্যাপী আজও বাংলা গানের সমৃদ্ধ বাণীনির্ভর সুর ও ছন্দের মাধুকরী সমন্বয় মানে গৌরীপ্রসন্ন। প্রতিদিন বিশ্বব্রহ্মান্ডে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী লক্ষ কোটি মানুষের বিনোদনের অন্যতম উপাদেয় উপাদান যদি হয় সংগীত তা হলেও মাতৃভাষায় শ্রুত যে গানগুলো সর্বাধিক আলোচিত হয় তার অধিকাংশ হবে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা। এখানে উল্লেখ করার মতো বাংলা গানের হিরণ্ময় কণ্ঠের অধিকারী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্বরে আর বন্ধু সুরকার নচিকেতা ঘোষের মায়াবী সুরের ইন্দ্রজালে সৃষ্টি হয়েছে তাঁর অনেকগুলো অভূতপূর্ব কালজয়ী গান। 

কালক্রমিক না হলেও এখানে কিছু স্মরণীয় ও নিত্য-শ্রুত গানের কথা উল্লেখ করা হলো- মনে হয়, বাঙালিদের কাছে চিরদিন এগুলোর অনিঃশেষ, অফুরন্ত আবেদন থাকবে। আমার নিজের কথা যদি বলি, গত ৩০ বছর ধরে আসা যাওয়ার চলতি হাওয়ায় গাড়িতে বসে যত গান আমি শুনেছি এর হিসাব রাখা অসম্ভব। সেই ক্যাসেট, সিডি, পেনড্রাইভ হয়ে হালের মুঠোফোনের মধ্যেও গান আমাকে অমূল্য প্রশান্তি দিয়ে চলেছে, মনের মেঘলা আকাশকে নিমিষেই করে তুলেছে ঝলমলে সুপ্রসন্ন। গান আমার ভাষার গহীন ভিতরে থাকা শব্দের ভান্ডারকে অনবরত সমৃদ্ধ করেছে, এমনকি আমাকে দুশ্চিন্তাহীন পথে বাঁচতেও শিখিয়েছে। আমার এমন অদৃশ্য ঋণের কথা স্বীকার করেই তাঁর গানের কিছু নস্টালজিক শিরোনাম তুলে ধরা হলো- তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়; গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু কার স্বপ্ন ছড়াতে চায়; কে তুমি আমারে ডাকো অলখে লুকায়ে থাক; মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে; আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে; নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশ তো বড়; ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা; মেঘ কালো আঁধার কালো; পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব; ওগো বর্ষা, তুমি ঝরো না গো অমন জোরে; এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না যে মন; জানি একদিন আমার জীবনী লেখা হবে; মরমীয়া তুমি চলে গেলে দরদী আমার কোথা পাব; প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে; ও পলাশ ও শিমুল কেন এ মন মোর রাঙালে; কি আশায় বাঁধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে; কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই; তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার; এই স্বর্ণালি সন্ধ্যায়/একি বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু; ও নদী রে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে প্রভৃতি।

(১৯৮৬ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র জন্য লেখা গান ‘আমি যে কে তোমার’ সম্ভবত এটাই শেষ)। জনশ্রুতি আছে, একসময় সিনেমার প্রযোজক বা পরিচালকগণকেও তাদের ছবির ব্যবসায়িক সফলতার জন্য তাঁর কাছে ধরনা দিতে হতো। কেবল কাহিনি নয় তাঁর জাদুকরী গানের বাণী দিয়েও ছবিকে সফল করে দিতে পারতেন গৌরীপ্রসন্ন।

৪. আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের এক অসাধারণ ভূমিকা ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। রামগড়ের একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন সঙ্গে দীনেন চৌধুরী ও অংশুমান রায়। সেদিনই টেপরেকর্ডারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শোনার প্রথম সুযোগ পান গৌরীপ্রসন্ন। সঙ্গে সঙ্গে সিগারেটের প্যাকেটের সাদা কাগজে লিখে ফেললেন, ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি- প্রতিধ্বনি/আকাশে বাতাসে উঠে রণী।’ সুর করলেন অংশুমান রায় গাইলেনও তিনি। এর ইংরেজি অনুবাদও হয়, a million Mujibur singing নামে।

মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠানেও এ গান বাজানো হয়েছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারও এসেছিলেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ বেতারের জন্য লিখে দিয়েছিলেন, ‘মাগো ভাবনা কেন/আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, কভু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি।’ সে সময়ে হেমন্ত মুখার্জির কণ্ঠে ঝড় তুলেছিল এ গান।

হেমন্ত মুখার্জির সঙ্গে গৌরীপ্রসন্নের সম্পর্ক ছিল অসাধারণ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি হিমালয় পর্বততুল্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আরও বলতেন, হেমন্তের সেরা গানটি আমার লেখা আর বন্ধু নচিকেতার সুরের জাদুতে সৃষ্টি ‘আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে’। তবে সলিল চৌধুরী বা পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর অম্লমধুর সম্পর্কের অভিজ্ঞতার কথা সমসাময়িক অনেকেরই কমবেশি জানা ছিল। আর এসব ছিল মূলত গানের বাণী বা লিরিক রচনার ক্ষেত্রে যথাশব্দের বুননকৌশল প্রসঙ্গে। একে বলা যায়, গুণ ও মান নিয়ে স্নায়ুর প্রতিযোগিতা।

৫. গীতিকবি হিসেবে তাঁর প্রতিভা ছিল অনবদ্য ও অতুলনীয়। কয়েক বছর আগে বিবিসি বাংলার শ্রোতা জরিপে নির্বাচিত সেরা ২০টা গানের তালিকার শীর্ষে থাকা গান ‘কফি হাউসে সেই আড্ডাটা’ বিষয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। গানটি রচনার জন্য প্রথমে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া হয়েছিল। পুলক অনেক দিন ধরে লিখে দিবেন দিবেন বলেও কালক্ষেপণ করছিলেন। এদিকে সুরকার সুপর্ণকান্তিও হতাশা ব্যক্ত করছিলেন। বিষয়টা জেনে গৌরীপ্রসন্ন তাঁর পুত্রতুল্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু নচিকেতা ঘোষের ছেলে সুপর্ণকান্তি ঘোষের ওপর খানিকটা বিরক্ত ও কষ্ট পেয়েছিলেন। যদিও পরে শিল্পী মান্না দে‘র মধ্যস্থতায় মিটে যায়। অসুস্থ অবস্থায় কালোত্তীর্ণ এ গান লিখে দেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। তবে জটিলতা দেখা দেয় গানটির শেষাংশে এসে এর দীর্ঘ কাহিনির ইতি টানতে গিয়ে; গীতিকার কিছুটা অসম্পূর্ণ ও অস্পষ্টতায় থামিয়ে দেন বলে সুরকার মনে করেন এবং এ বিষয়ে অনেক দিন মতবিরোধ থেকেই যায়। এদিকে ক্যানসারে আক্রান্ত গৌরীপ্রসন্নকে চিকিৎসার্থে চেন্নাই চলে যেতে হচ্ছে। তিনি হাওড়া রেলস্টেশনে তখন ট্রেনের অপেক্ষায়। গানের বিষয়টি জানানো হলে, তাৎক্ষণিকভাবে আবারও একটা সিগারেটের প্যাকেটের সাদা অংশে লিখে দিলেন, ‘সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজও খালি নেই।’ সেদিনই একজন পরিচিতজনের হাতে দিয়ে সুপর্ণকান্তির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর সম্পূর্ণ লিরিকে মান্না দে’র কণ্ঠে গিয়ে রচিত হয় বাংলা গানের এক আকাশস্পর্শী মাইলফলক ও পরবর্তী চার দশকের গল্পের ইতিহাস।

৬. সাদাসিধে ও আনমনা একজন গুণী প্রতিভাবান মানুষের প্রতিকৃতি ছিলেন গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। ঢোলা পাজামার সঙ্গে সাদা শার্ট জাতীয়  খুবই সাধারণ জামা কাপড় পরতেন। ব্যক্তিগত জীবনের সারল্য, মহত্ত্ব, ঔদার্য ইত্যাদি কারণে সমসাময়িক কালও তাঁকে অন্যতম প্রধান অগ্রগামী পথিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পকেটে টাকা না থাকলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতেন পায়ে হেঁটে। আসলে তাঁরা এমনি বোহেমিয়ানই হন। কলকাতার অনেক বিশিষ্টজনও তাঁকে দিয়ে কাজ করিয়ে যথাযথ সম্মানী বা আর্থিক মূল্য দিতে কার্পণ্য করতেন। এতে তাঁর অনেক দুঃখবোধ ছিল যদিও প্রকাশ করেছেন খুবই কম। দুরারোগ্য ক্যানসার নিয়েও অনেক কাজ করেছেন তিনি। আশির দশকের মাঝামাঝিতে জীবন কালের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েও রচনা করে গেছেন অসংখ্য জনপ্রিয়, গীত-নন্দিত গান। সে সময়েও তাঁর গানের বদৌলতে সুপার হিট হয়েছে টালিউডের অনেক সিনেমা। কিন্তু দুর্ভাগ্য! গৌরীপ্রসন্ন ক্রমাগত মৃত্যুর দিকেই ধাবিত হয়েছিলেন। স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে, তখন কলকাতাকেন্দ্রিক খুব বেশি সংস্কৃতিজন কী এগিয়ে এসেছিলেন তাঁর সুচিকিৎসার নিমিত্ত? মনে হয়, মৃতের ওপর বন্দনাবাক্যে পটু বাঙালি জাতি দুনিয়ার সর্বত্র একই।

শেষ পর্যন্ত ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে ২০ আগস্ট ১৯৮৬ সালে মুম্বাইয়ের একটি সাধারণ হাসপাতালে এই লিজেন্ডের জীবনাবসান হয়। জানা যায়, মাত্র বাষট্টি বছর বয়সে অনেকটা অনাদর, অবহেলা আর অবজ্ঞার ভিতর দিয়েই তাঁর মহাপ্রস্থান হয়। আমার বলতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব লাগে না, তাঁর চলে যাওয়া মানে বাংলা সংগীত ইতিহাসের এক গৌরবময় যুগ ও অধ্যায়ের যবনিকাপাত ঘটেছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর