শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মুজতবা আলীর মজার ঘটনা

১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মেছিলেন বাংলার সৈয়দ মুজতবা আলী। রসিকরাজ এই সাহিত্যিকের জীবনের মজার কিছু ঘটনা জেনে নিন-

মুজতবা আলীর মজার ঘটনা

► সৈয়দ মুজতবা আলী তখন বেশ বিখ্যাত লেখক। প্রতিদিনই তাঁর দর্শন লাভ করতে ভক্তরা বাসায় এসে হাজির হয়। একদিন এক ভক্ত মুজতবা আলীর কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কোন বই কী অবস্থায় লিখেছেন। মুজতবা আলী যতই এড়িয়ে যেতে চান, ততই তিনি নাছোড়বান্দা।

শেষে মুজতবা আলী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বললেন, ‘দেখো, সুইস মনস্তত্ত্ববিদ কার্ল গুসতাফ জাং একদা তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন, কিছু লোক আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কীভাবে লিখি। এ ব্যাপারে আমাকে একটা কথা বলতেই হয়, কেউ চাইলে তাকে আমরা আমাদের সন্তানগুলো দেখাতে পারি, কিন্তু সন্তানগুলো উৎপাদনের পদ্ধতি দেখাতে পারি না।’

► জার্মানিতে এক জাহাজে চড়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী। জাহাজে স্কুলের মেয়েদের একটি বনভোজন দলও যাচ্ছে। সোনালি চুল, নীল চোখের এক মিষ্টি মেয়ে বারবার তার দিকে তাকাচ্ছে। তিনি বেশ বিব্রতবোধ করছেন। জাহাজ থামার আগে আগে মেয়েটি এসে তার পথ আগলে বলে, ‘আমাকে সত্যি কথা বলে যাবে হানি?’

ধক করে উঠল মুজতবা আলীর বুক। বললেন, ‘বলো ছোট্ট মেয়ে, কী জানতে চাও?’ মেয়েটি বলল, ‘তুমি চুলে কী রং লাগাও?’ হেসে তিনি বললেন, ‘আমার চুল ন্যাচারালিই কালো।’

মেয়ে বলে, ‘মিথ্যুক! লুকাচ্ছ। যদি না বলো, আমি মিসকে বলে দেব যে তুমি আমার সঙ্গে ফ্লার্ট করছিলে।’

কাঁপন ধরে গেল মুজতবার। বুদ্ধি আঁটলেন। চট করে শার্টের বোতাম খুলে বললেন, ‘দেখো, আমার বুকের চুলও কালো। বুকের চুল কেউ কালার করে?’ মেয়েটি এবার বিশ্বাস করল। অবাক হয়ে তাকিয়ে ‘ইউ আর সো বিউটিফুল’ বলে দৌড়ে উধাও হয়ে গেল।

►  মুজতবা আলীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহম্মদ আবদুল ওয়ালী একবার কলকাতার নামকরা কলেজের প্রাণিবিদ্যার এক অধ্যাপককে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে পরিচয় করাতে। অধ্যাপককে দেখে মুজতবা আলীর জিজ্ঞাসা, ‘হঠাৎ এখানে এসে হাজির কেন?’ এমন জিজ্ঞাসায় অধ্যাপক একটু জড়সড়।

ডাক্তার জানান, ‘পরিচিত হওয়ার আগ্রহে এসেছেন।’

আলী সাহেব বললেন, ‘না! না! না! আসল মতলবটা হলো এই চ্যাংড়া অধ্যাপকের রিসার্চ সেন্টারে জন্তু জানোয়ারের নিশ্চয় কিছু অভাব ঘটেছে। তাই আমাকে দেখতে এসেছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর