একটি ভায়োলিন বাজছে বহুদূরে
রাতের নির্জন রন্ধ্রে সেই সুর
আহ্ কী মূর্চ্ছনা তুলছে! ভাষা নেইব্যাখ্যা করি তার, মুগ্ধ বিহ্বল।
উঠোনজুড়ে দেখি ঝরছে সেই সুর
জ্যেৎস্না হয়ে যেন নামছে সুরস্রোত!
রুপালি ঘামে ভেজা তোমার ঠোঁট আর
চিবুক থেকে ঝরা শিশির কণাগুলো!
পৃথিবীর ছবি আঁকে রাতের নির্জনে,
বেহালা সুরে আঁকে বিষাদ নীলরঙে
নদীর বুকে জ্বলে জ্যেৎস্না-কুয়াশায়
সুরের সেই আলো অনির্বচনীয়।
স্বপ্নে কেটে যায় আধো এ জাগরণ
দুঃখতাপ যতো মাতৃশূন্যতা, রাতের সাদা ঘ্রাণ
হঠাৎ ডেকে আনে মৃত্যু-মৌনতা! কাফন-শুভ্রতা
রজনীগন্ধার ভয়াল মায়াঘ্রাণে!
দু’চোখ ভিজে ওঠে যখন মা-কে দেখি,
রাতের কুয়াশার ভেতরে ছায়া হয়ে
একাকী হেঁটে যায় ওই তো মা আমার!
বিষাদ ঝরে পড়ে রাতের নিঃশ্বাসে, বেহালা বাজো তুমি।
ইচ্ছে জুড়ে আজ গহন রাত্রিতে কেবল ছেলেবেলা
আহ্ কী হাহাকার! বেহালা বাজো তুমি মর্মভেদী সুরে।